সে বলেছিল তার নাকি প্রেমে পড়া বারন। তাই বলে যে সে আমার প্রেমে পরেনি তা কিন্তু নয়। এক গোধূলি বিকেলে কয়েক সেকেন্ডের জন্য সে আমার প্রেমে পড়েছিল। তার কাছে মুহূর্তটা যেন অন্য রকম ছিল। মুখে প্রকাশ করেনি কিন্তু তার চোখ সব বলে দিয়ে ছিল আমাকে। সে আমার সাথে কথা বলেনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার চোখের দৃষ্টি বোঝার চেষ্টা করছিল আমার চোখের সাথে কথা বলছিল। কি জানি কি ভেবে সে হাঁটতে শুরু করল চোখের পলকে সে যেন হারিয়ে গেল। তারপরে তাকে আর আমি কখনো দেখিনি। কেন দেখিনি জানেন কারণ সে আমাকে একা করে চলে গেছে সে আর এই পৃথিবীতে নেই। যেদিন গোধূলি বিকেলে তার সাথে আমার দেখা হয়েছিল সেদিন রাতেই সে মারা গেছে। তার নাকি ব্লাড ক্যান্সার হয়েছিল সত্যি বলছি আমি জানতাম না সে আমাকে বলেনি আমি কষ্ট পাবো ভেবে। তার গল্প, কবিতা লেখার অভ্যাস ছিল। তার এই গল্প, কবিতা লেখার কথা শুনে আমি তার জন্মদিনে তাকে ডাইরি উপহার দিয়েছিলাম। তার গল্প কবিতা শুনতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে আমাকে শোনায় নি সে বলেছিল অন্য দিন শোনাবে তাই আমি আর তাকে জোর করিনি। তার মৃত্যুর খবর শুনে তাকে শেষ বারের জন্য দেখতে গিয়েছিলাম কিন্তু আমি তাকে শেষ বারের জন্য ও দেখতে পাইনি। তার টেবিলের উপরে আমার দেয়া ডাইরিটা পড়ে ছিল হাতে নিয়ে খুলতেই দেখি আমাকে নিয়ে তার লেখা শত শত কবিতা,শত শত গল্প। মনে হয়েছিল আমি যেন আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটা হারিয়ে ফেলেছি।আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। প্রকৃতি আমায় বলছে সে নেই আর নেই সে যেন শুধুই আমার আর কারো নয়। এই ভাবেই অনেকটা বছর কেটে যায় আমি এখনো তার স্মৃতি গুলো নিয়েই বেঁচে আছি।
বিঃদ্রঃ গল্পটি আমার জীবনের সাথে কোনো মিল নেই
” মেয়েটি “
যাকে পেলে তোমার সকল না পাওয়ার অভাবগুলো মিটে যায়। তার সাথে ভাব জমানোটা কিন্তু অপরাধ না।যে মানুষটার হাতে হাত রাখলে...