এত ছোট পোষ্ট করার জন্য প্রথমেই admin এর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
নমস্কার সবাইকে, আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।এবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি পদার্থবিজ্ঞান কিভাবে এই পূথিবীতে অবদান রেখেছে।
¤ মানব কল্যাণে পদার্থবিজ্ঞানের অবদান অপরিসীম। পদার্থবিজ্ঞানের সংঙ্গা ও ধারণা থেকে বোঝা যায়- এটি অত্যন্ত প্রসারণশীল এক বিজ্ঞান, যার কোন শেষ নেই। কেউ দাবি করতে পারবেন না যে , তার পদার্থবিজ্ঞানে পূর্ণ জ্ঞান আছে। বর্তমানকালে কেউ পদার্থবিজ্ঞান থেকে মুক্ত থাকতে পারেন না। বিভিন্ন শক্তি থেকে দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রভূত আরাম-আয়েশ পেয়ে থাকি। বৈদ্যুতিক পাখা, বাতি, চুল্লি, টেলিগ্রাম, টেলিফোন, টেলিভিশন, রেডিও, মোটর, বিদ্যুৎ চালিত কলকারখানা সবই বিদ্যুতের অবদান। বায়ুর চাপ মাপার জন্য ব্যারোমিটার, উষ্ঞতা মাপার জন্য থার্মোমিটার, বায়ুর জলীয় বাষ্পের পরিমান মাপার জন্য আমরা হাইগ্রোমিটার ব্যবহার করি। আলোকবিজ্ঞানে চশমা, অণু বীক্ষণ যন্ত্র, দূরবীক্ষণ যন্ত্র, ক্যামেরা ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। রিয়্যাক্টর নামক যন্ত্রের সাহায্যে পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে ভেঙ্গে যে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায় সেই শক্তিকে বিভিন্ন শিল্পে ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রয়োগ করা হয়। মানুষ আজ রকেটে চড়ে চন্দ্রে ও গ্রহান্তরে পাড়ি দিচ্ছে।
বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে মানুষ দূরকে করেছে নিকট, প্রকৃতিকে করেছে বশীভূত,অসম্ভবকে করেছে সম্ভব। অতএব, আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের বিজ্ঞান সাধনাকে সাধারণ শিক্ষার প্রধান বাহন হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। যার অবদানের জন্য পদার্থবিজ্ঞাণ আজ এত উন্নত তিনি হচ্ছেন বিজ্ঞাণী নিউটন। নিউটন পদার্থবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
অ্যারিস্টটল এবং পরবর্তী বহু বিজ্ঞাণী দীর্ঘদিন এ ধারণা লালন করে এসেছেন যে, গতি থাকলেই বল থাকবে। পরে ১৬৮৬ সালে আইজ্যাক নিউটন বস্তুর জড়তার গুণ ও গতির নিয়মকে তিনটি সূত্রের সাহায্যে তার অমর গ্রন্থ ‘ন্যাচারালিস ফিলোসোফিয়া প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকা’ তে প্রকাশ করেন। এ সূএ ৩টি নিঊটনের গতি সূএ নামে পরিচিত ।
১ম সূএঃ বাহ্যিক বল প্রয়োগে বস্তুর অবস্থার পরিবর্তন করতে বাধ্য না করলে স্থির বস্তু সারাজিবন স্থির থাকবে আর গতিশীল বস্তু সারাজীবন সমবেগে সরল পথে চলতে থাকবে।
২য় সূএঃ বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার তার উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং ভরবেগের পরিবর্তন প্রযুক্ত বলের দিকে ঘটে।
৩য় সূএঃ প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
আর এই কারনে বিজ্ঞান এত উন্নত।
তবে যাই হোক।আজ আর কিছু লিখব না। ভালো থাকবেন।নিজের শরীলের প্রতি যত্ন নেবেন। আর আমার লেখায় যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করবেন।॥।