সৃষ্টিকর্তার এই বৈচিত্র্যময় বিশ্বতে কিছু ব্যাপার আসলেই বেমানান।
আমরা যেই মুহুর্তে শতভাগ সুস্থ থাকার পরেও নিজের জীবন নিয়ে ভেবে হতাশা গ্রস্থ, ঠিক সেই হাসপাতালের আইসিউতে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাতরাচ্ছে।আপনার সমস্যা তো শুধু নিজের সাফল্য নিয়ে, আর তাদের রগে রগে সমস্যা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
এবার একটু সমীকরণটা মিলাতে বলবো,আপনি কত্তো ভালো আছেন একবার ভেবে দেখেছেন।
সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায়। আমরা সবকটা আশরাফুল মাখলুকাতকে একই একক দিয়ে পরিমাণ করি। আমাদের লক্ষ্য কিংবা স্বপ্নগুলো একটা আংগেলে ফিক্সড করে রেখে দেই।মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে এগুলো কি জন্মের পর পরই ফিক্সড হয়ে যায় নাকি!!
আর তার থেকেও বড় সমস্যা হলো অন্য একজনের সাফল্য কিংবা অর্জনগুলোর সাথে নিজের মাপকাঠি বিবেচনা করি। এটা সবচেয়ে বড় ভুল।আর এই কারণেই হয়ত আশে পাশে মানুষগুলোর সাফল্যগুলো উপভোগ করা যায় না।
অন্যের সাফল্য কিংবা অর্জন কিন্তু উপভোগ করা যায় জানেন কি?
আর একই এককে মাপতে গিয়ে নিজেরা হতাশ হই।আপনি হয়ত একবার ভেবেও দেখেননি সৃষ্টিকর্তা আপনার মধ্যে কি ভেরিয়েশন দিয়ে রেখেছেন।
আমি যেই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ইস্নপায়ার এর পোষ্ট লিখছি, ঠিক সেই সময়ে আমার বয়সি ছেলেমেয়েরা দেখবেন হতাশ হয়ে গাজা টানছে।
এক আংগেলে পুরো দোষের বোঝা তাদের উপর চাপিয়ে তাদের প্রতি অবিচার হবে।তাদের জীবনকে একটা আংগেলে ফিক্সড করতে আমরাই কিন্তু পরোক্ষভাবে বাধ্য করেছি।
একটা জায়গায় তারা হয়ত ব্যর্থ কিন্তু আরও হাজারটা ভেরিয়েশন সৃষ্টিকর্তা তাদের মাঝে দিয়ে রেখেছেন।সেটা হয়ত তাদের আমরা এপ্লাই করার সুযোগই দেইনি।সর্বশ্রেষ্ঠ ওই জীবগুলোর দেহে নিকোটিন আর অ্যালকোহোলে ভরে গিয়েছে।এমনটি কিন্তু নাও হতে পারতো!
সমাজের ফিক্সড আংগেলে তাদের ভেরিয়েশনগুলো কেমনে কেমনে যেন হারিয়ে গেছে।তারা কিন্তু আজও স্বপ্ন দেখে কিন্তু সময়ের ক্ষাতিরে দিনে দিনে ধ্বংশের শেষটুকু বাকি।
যুক্তিতর্ক কিংবা প্রেক্ষাপটের ক্ষাতিরে হয়ত মেনেই নিলাম তাদের ফিক্সড আংগেলে সফল হওয়া আবশ্যক। কিন্তু চারপাশে প্রচুর সুযোগ আমরা কখনই তাদের এনাদার অপশন পছন্দ করতেই দেই নি।আমাদের ফিক্সড আংগেলে ফেরিয়েশন আসলেই আনতে হবে।তানাহলে অদুর ভবিষ্যৎ আপনার সন্তান যে নিজেকে নিকোটিন কিংবা আলকোহলের জগতে ভাসিয়ে দিবে না তার নিশ্চয়তা কতটুকু।
কথাগুলো বিশ্বাস না হলে একটু অ্যানালাইসিস করার ক্ষাতিরে হলেও নেশাগ্রস্তদের সাথে একান্ত আলাপন করবেন।হয়ত এমন কিছু আশ্চর্য করার মতো তথ্য পেলেও পেতে পারেন।
দিন শেষে একটা সমীকরণে বার বার ফোকাস করে পৃথীবীর প্রত্যেকটা ভালো কাজে মানুষকে ইস্নপায়ার করতে শিখি।
বিশ্বাস করেন বা নাই করেন, একটা মানুষকে ভালো কাজে ইস্নপায়ার করে যে ভালোটা কাজ করে তা হয়ত দশটা কোম্পানির সিইও হলেও পাবেন না।
প্রতিযোগীতা নয় বরং সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাই।
ফিক্সড আংগেলটাকে পরিবর্তন করি, নয়তো আপনার ব্যর্থ সন্তান নেশার টাকার তাগিদে আপনার গলায় ছুরি ধরতে কতক্ষণ!!!
#অব্যক্ত_কহন
নেওয়াজ মাহমুদ নিলয়।