আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমি আপনাদের বলতে যাচ্ছি পিঠের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয় কি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
আমরা প্রায়ই পিঠে ব্যথা অনুভব করি। যেকোনো বয়সী ব্যক্তিই এই ব্যথা অনুভব করে। বিশেষ করে ৩০ বা ৪০ উর্ধ্ব ব্যক্তিদের এই পিঠে ব্যথা বেড়ে যায় কিংবা ঘন ঘন হতে দেখা যায়। সাধারণত পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ বিষয়। এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, প্রায় ৭৫ থেকে ৮৫% মানুষ নিজের জীবনে একবার হলেও হালকা পাতলা পিঠে ব্যথার সম্মুখীন হয়েছে।
আসলে পিঠে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। মাঝে মাঝে এটি অন্যান্য রোগের পূর্বাভাসও হতে পারে। তো এই পোস্টে আমি আপনাদেরকে বলতে যাচ্ছি পিঠে ব্যথা হওয়ার কিছু কারণ ও ব্যথা কমাতে বা বন্ধ করতে করণীয় কি।
পিঠে ব্যথা হওয়ার সাধারণ কিছু কারণঃ
পিঠে ব্যথা হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। সাধারণত পিঠে ব্যথা ওরকম কোনো মারাত্মক রোগ নয়। সাধারণত পিঠে ব্যথা একটি ক্ষণস্থায়ী রোগ। সাধারণত এটি পারমানেন্টলি থাকেনা। পিঠে ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হতে পারে কোনোভাবে ব্যথা পাওয়া। ধরেন আপনি ভারি কিছু জাগাতে গিয়ে পিঠ বা কোমরে ব্যথা পেয়েছেন।
অনেক সময় একটু ভুলভাবে ঘুমানোর জন্যও পিঠে ব্যথা হতে পারে। এটি সাধারণত ৪০ উর্ধ্বদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়। এগুলো একদম সাধারণ। এসকল কারণে পিঠে ব্যথা হলে এর ওরকম কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। এটি এমনি এমনিই ঠিক হয়ে যেতে পারে।
অনেকক্ষেত্রে পিঠে সাধারণত ঠাণ্ডার কারণেও ঘটতে পারে। এটিও সাধারণত নাপা খেলেও চলে যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটি নিউমোনিয়ারও লক্ষণ হতে পারে। আপনার যদ পিঠে বেশি ব্যথা করে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন যদিও বড়দের নিউমোনিয়াতে সাধারণত ওরকম সমস্যা হয়না।
কিছুক্ষেত্রে আপনার মেরুদণ্ডও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে৷ যদিও মেরুদন্ডে সমস্যা হলে সাধারণত পিঠের ডান পাশে ব্যথা হয়না মাঝখানের দিকে হয়। এবাদে এটি অনেক সময়ের স্ত্রীরোগও নির্দেশ করে। এমনকি অবেকক্ষেত্রে হার্ট আ্যটাকের পূর্ব লক্ষণও হতে পারে। আমি যে কারণগুলো বললাম তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ঠাণ্ডা লাগা।
পিঠের ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয় কি?
পিঠের ডান পাশে ব্যথা হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান। সে আপনাকে ভালো করে বলতে পারবেন আপনার কি হয়েছে ও আপনার কি করা প্রয়োজন। নিচে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি দেওয়া হলো। যদি এতে আপনার ব্যথা না যায় বা না কমে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান।
১. পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিশ্রাম। বিশ্রামই হচ্ছে সব রোগের প্রথম চিকিৎসা।
২. ভালো ঘুম আপনার পিঠে ব্যথার জন্য উপকারী।
৩. সমান বিছানায় সোজা হয়ে শুতে হবে। অবশ্যই মাথার নিচে নরম বালিশ দিন।
৪. যেখানে বেশি ব্যথা করবে সেখানে গরম সেক দিরে পারেন। এর জন্য আপনি ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
৫. সকল মাংসপেশি সতেজ রাখতে অবশ্যই প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করুন। (ব্যথা না থাকলেও)
৬. আপনার আগে যদি পিঠে ব্যথা বা কোমরে ব্যথার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ভারি কোনো কিছু তোলার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। ভারি কোন কিছু উঠাতে গেলে আগে হাঁটু ভাজ করে নিন। তাহলে ভারি বস্তুটির চাপ আপনার মেরুদণ্ড ও পেশিতে প্রভাব ফেলবে না।
আমি আবারও বলছি এগুলো ছিল কিছু সাধারণ ঘরোয়া উপায় পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার৷ পিঠে বেশি ব্যথা করলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান ও তার কাছ থেকে পরামর্শ নিন।
তো আজকের জন্য এতটুকুই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই কামনায় আজকের জন্য বিদায় জানাচ্ছি। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।