বিসমিল্লাহ্ রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা।কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন নিশ্চয়।এই পবিত্র রমজানে আপনাদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে হাজির হলাম স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি টিপস নিয়ে আাশা করি আপনাদের উপকারে আসবে…চলুন আজ আমরা আমাদের আশেপাশে পাওয়া যায় এমন একটি ফলের পাতার গুনাগুন নিয়ে একটু জেনে আসি…..
পেয়ারা! বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম নাম।আমরা কম বেশি সকলেই এই ফলটি পছন্দ করি।প্রচুর গুনসম্পন্ন এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। আমরা সবাই পেয়ারার গুন সম্পর্কে জানি কিন্তু পেয়ারার পাতার গুন সম্পর্কে কতটুকু জানি।আসুন আজ আমরা পেয়ারা পাতার নানাবিধ গুন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি….
১.দাঁতের প্লাক জমা মুখের ভিতরের একটি বড় সমস্যা। পেয়ারার পাতা এন্টিপ্লাক বিশিষ্ট এর জন্য খুব কার্যকরী।ভেষজবিদরা তাই মুখ গহবর পরিষ্কার রাখার জন্য পেয়ারা পাতার পেস্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
এছাড়াও পেয়ারার পাতা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে,দাঁতের ব্যাথা ও মুখের ঘা সারাতে বেশ উপকারী।
২.পেয়ারা পাতা ভালো করে শুকিয়ে চা বানিয়ে খেলে সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়।
৩.ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে ডায়রিয়া হলে পেয়ারা পাতার চা এর বিকল্প নেই এটি দিনে কয়েকবার খেলে পায়খানার পরিমাণ, পানির মত ভাব,পেটব্যথা কমিয়ে দ্রুত সুস্থ্য করে তুলবে।
৪.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা পাতা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে।
৫.দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে পেয়ারা পাতার চা কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৬.যারা বিভিন্ন রকম ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন তারা পেয়ারা পাতার পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
৭.যারা দীর্ঘদিন গ্যাসটিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত পেয়ারা পাতা সেবন করে দেখতে পারেন।
৮.পেয়ারা পাতার চা বন্ধ্যতা দূর করতেও সাহায্য করে।
৯.মুখে কালো আচিল হলে কয়েকটি পেয়ারা পাতা পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ফেসিয়ালের মত করে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
১০.চুলপড়া বন্ধ করতে চাইলে পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যায়।।
১১.কারও অনেকদিন ধরে কাশি বা এঙ্গাইটিস এর সমস্যায় ভুগছেন তাহলে পেয়ারা পাতা একবার সেবন করেই দেখতে পারেন।
১২.পেয়ারা পাতার চা ডেঙ্গুজ্বর সারাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি করতে পারেন মাউথ ওয়াশ,৫/৬ টি পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে সেই পানি দিয়ে দিনে ১/২ বার কুলি করতে পারেন তাতে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব।
সম্মানিত সুধী এই মুহূর্তে দেশ এবং আমরা সবাই এক ক্রান্তিকাল পার করছি।তাই আসুন আমরা সবাই একসাথে করোনা মোকাবেলা করি। ঘরে থাকি সুস্থ্য থাকি অন্যকেও সুস্থ্য রাখি।মনে রাখবেন আপনার আমার একটুখানি সচেতনতাই পারে করোনা রুখতে।ভালো থেকো বাংলাদেশ।।