এস এস সি পরিক্ষার জন্য প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর অনেক আশা থাকে। তবে কিছু ভূলের জন্য হারিয়ে যায় অনেক স্বপ্ন। এমনি একটি ঘটনা ঘটে তৃষা রানীর সাথে। যার কারণে হতাশায় দেয় প্রাণ।
প্রবেশপত্রে শাখা ব্যবসা বিভাগের জায়গায় ভুল করে মানবিক বিভাগ হওয়ায় অভিমানে রবিবার দুপুরে সে তার নিজ বাড়ীর শয়ন ঘরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে তৃষা রানী। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম। জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাকডোকরা গ্রামের দধীপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত তৃষা রানী বাকডোকরা এলাকার দুলাল রায়ের মেয়ে। তৃষা রানী মাহিগ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
তৃষা রানীর কাকী অলিনদিতা রানী জানান, ৩ ফেব্রুয়ারী থেকে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় সে ব্যবসা বিভাগ থেকে মাহিগ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তবে প্রবেশপত্রে ব্যবসা বিভাগের জায়গায় মানবিক বিভাগ হওয়ায় সে স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান থেকে এসে সকলের অগোচড়ে তার নিজ শয়নঘরে গলায় ওড়না পেচিয়ে স্বরের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
তার বাবা এবং মায়ের কাছে ছিল এটা সবচেয়ে বড় ধাক্কার বিষয়। যেই সন্তানের জন্য এতো কষ্ট করা তার লাশটা ঝুলছিল তাদের সামনে। একটি মাত্র মেয়ের লাশ তাদের সামনে। সামলে উঠতে পারছে না কিছুতেই তাদের জীবনে ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটে গেছে। আত্নীয় স্বজনরাও মেনে নিতে পারছে না বেপারটা।পরিবারের সবাই মর্মাহত ঘটনায়।
এলাকায়ও চলছে শোকের ছায়া। ছোট্ট শিশুর আত্নহত্যা করাটা তারাও যেনো মেনে নিতে পারেনি।তাদের বক্তব্য এই রকমের ভূল কেন হয়েছে। কেননা প্রবেশপত্রে বিভাগ ভূল এসেছে যা কোনো সাধারণ ভূলের আওতায় পড়ে না। কেনই বা হবে এরকম ভূল যার জন্য প্রান যাবে ছোট্ট শিশুটির।
এইরকম ভুল এড়াতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন করা।যেনো ভবিষ্যতে এইরকম দূর্ঘটনা আর যেনো না ঘটে। এবং সকল শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল এর জন্য বিষেশ পদক্ষেপ নেয়া এবং শিখিত সমাজ গঠনা করা
অন্যের করা এইরকম সাধারণ ভূলের কারণে প্রান দেয় ছোট্ট একটি মেয়ে। যেখানে ভালো ফলাফল করে ঘরে ফিররা কথা সেখানে চলছে শোকের ছায়া। তবে কি এইভাবে দিতে থাকবে ছোট্ট শিশু গুলো প্রাণ তাদের জীবনের শেষ এইভাবেই কি হবে।প্রশ্ন সকলের কাছে।একটি প্রশাসনিক ভুলের কারণে ঝড়ে পরলো আরও একটি শিশু।
এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা যাচ্ছে বর্তমানে। আর তা বন্ধ করা যাবে শুধু মাত্র শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষেশ পদক্ষেপের মাধ্যমে । যার মাধ্যমে এ সকল ভূল এড়ানো যাবে এবং বেচে যাবে আরও অনেক প্রাণ।প্রতিবেদনে আমি ইরফান