ফার্মাকোলজি একটি ইংরেজী শব্দ। যার আভিধানিক অর্থ হল ঔষধ সংক্রান্ত বিদ্যা বা সহজ ভাষায় বলা যেতে পারে ঔষধিবিদ্যা। বিজ্ঞানের যে শাখায় ঔষধ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাবলী যেমন: একটা ঔষধ কিভাবে তৈরী হয়, সেটা আমাদের শরীরে কীভাবে কাজ করে, শরীর কিরুপে ঔষধটিকে এডজাস্ট করে, সবশেষে শরীরে কাজ করে ও শরীরকে স্বাভাবিক করে তুলে সেই শাখাকে ফার্মাকোলজি বা ঔষধিবিদ্যা। বলা হয়ে থাকে।
ফার্মাকোলজিকে অধ্যায়নের সুবিধার্থে এটিকে কয়েকটি শাখা, প্রশাখায় বিভক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো:
১. ফার্মাকোগনসি- কোন ঔষধের উৎস,সনাক্তকরন,বিশুদ্ধকরন ও বিভক্তকরন যে প্রশাখার আলোচনা করা হয়।
২. ফার্মেসী- কোন ঔষধের প্রস্তুতি ও ডিসপেনশন যে শাখায় আলোচিত হয়।
৩. ফার্মাকোডাইনামিকস- কোন ঔষধের জৈবরসায়ন, শারিরবৃত্তিয় ক্রিয়াকলাপ ও ড্রাগের কার্যকারিতার পরিধি আলোচনা করা হয়।
৪. ফার্মাকোকিনেটিকস- কোন ঔষধের শোষন, বন্টন, জৈবরুপান্তর ও নির্গমন নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে।
৫. ফার্মাকোথেরাপিউটিকস- কোন ঔষধের ব্যবহার, নির্নয়, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় আলোচিত হয়।
৬. ফার্মাকোজেনেটিকস- কোন ঔষধের শরীরে সাথে ঠিক কি প্রক্রিয়ায় কাজ করে আর শরীর সেই ড্রাগকে কিভাবে রেসপন্স করে সেই ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।
৭. পোসোলজি- কোন ঔষধের ডোজ বা পরিমাপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
৮. টক্সিকোলজি- কোন ঔষধের যখন কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া অথবা ওভারডোজ হয়ে গেলে কি কি ঘটতে পারে এবং তাৎক্ষনিক ভাবে কি কি ম্যানেজমেন্ট নিতে হবে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে।
এবার জেনে নেয়া যাক কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন ফার্মাকোপিয়ার নাম।
– ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাকোপিয়া।
– বৃটিশ ফার্মাকোপিয়া।
– বৃটিশ ন্যযাশনাল ফরমুলারিস।
– বৃটিশ ফার্মাকোপিয়াক।
– ইউরোপিয়ান ফার্মাকোপিয়া।
– ইউনাইটেড স্টেটস ফার্মাকোপিয়া।
– ন্যাশনাল ফরমুলারিস।
– ইন্ডিয়ান ফার্মাকোপিয়াা।
– জাপানিজ ফার্মাকোপিয়া ।
– ওয়াল্ড হেল্থ ওরগানাইজেশন ফার্মাকোপিয়া ।
আগামী পর্বে বিভিন্ন রকম ড্রাগের উৎস সম্পর্কিত আলোচনা করা হবে ইন শা আল্লাহ সাথে থাকুন । ধন্যবাদ ।