বেকার সমস্যা আমাদের মতো ক্ষুদ্র আয়তনের দেশে বিশাল সমস্যা। বর্তমান চাকুরীর বাজার মন্দা।হাজার হাজার শিক্ষিত যুবক, যুবতীরা চাকুরীর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু চাকুরী পাচ্ছেনা। সেখানে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে বেকারত্ব দুরীকরণের সহায়ক। তাই তাদের জন্য আমার এই পোষ্ট। মিছে মিছি সময় নষ্ট না করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন। চাকুরী পেলেও পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।ফ্রিল্যান্সিং মানে ঘরে বসে আয় করা, নিজের ইচ্ছা ও সময়ানুযায়ী কাজ করা, বর্তমানে হাজারো বাংলাদেশী লাখ লাখ টাকা আয় করছে ফ্রি্ল্যান্সিং করে।এর জন্য আপনার একটি কম্পিউটার থাকতে হবে তার সাথে ইন্টারনেট যুক্ত থাকতে হবে।
কোথায় পাবেন ফ্রিল্যান্সিং কাজ
ফ্রিল্যান্সিং করার অনেকগুলো সাইট যেগুলো আপনাকে কাজের সাথে সাথে পেমেন্ট করবে। এজন্য আপনাকে চাকুরীর মত একমাস অপেক্ষা করতে হবেনা।আপনি যখনই কাজ জমা সাথে সাথে আপনার পেমেন্ট অনলাইনে পেয়ে যাবেন।অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান কিন্তু কোথায় করবেন জানেন না। আর এজন্য আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে এইখানে।রেজিষ্ট্রেশন করা হলে আপনার প্রোফাইলটা সুন্দর করে সাজিয়ে নিন। তারপর আপনি যে যে কাজের উপরে দক্ষ সেগুলো উল্লেখ করুন। সাথে কিছু নমূনা দেখান। এতে করে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিছু টেস্ট দিন। তারপর আপনি দক্ষ কাজের উপর শুধু বিড করা শুরু করুন। আরও অনেক সাইট যেগুলো আমি পরে বলবো। মোটামোটি ইংরেজী জানা থাকলেই চলবে। শুধুমাত্র কথা বুঝতে এবং বোঝাতে পারলেই হলো। এজন্য আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে স্কাইপিতে।কারন বায়ার আপনাকে এর মাধ্যমে ইন্টারভিউ-এ ডাকবে।ইন্টারভিউতে আপনাকে বোঝাতে হবে যে আপনি সবচেয়ে ভালভাবে কাজটি করতে পারবেন। তবেই বায়ার আপনাকে কাজ দিবে।
ফ্রিল্যান্সিং-এ কি কাজ করবেন
এখন প্রশ্ন আসে ফ্রিল্যান্সিং এ কি কাজ করবেন। ব্যাস আপনি কাজ জানেন না, দেখে দেখে তো টাইপ করতে জানেন, তাতেই হবে। আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ দিয়ে শুরু করেন। বর্তমানে ডাটা এন্ট্রির কাজ দিয়ে হাজার হাজার বেকাররা মাসে ৩০-৩৫ হাজার টাকার উপার্জন করছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আরও অনেক কাজ আছে আপনি চাইলে আরও অনেক কিছু করতে পারেন যেমন: এস ই ও, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,ওয়েব রিসার্চ, ব্লগ রাইটিং ইত্যাদি।ফিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কি কাজ করবেন? যে কাজটি করবেন বলে ঠিক করেছেন সেটি আগে ভালভাবে শিখুন। মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং কিন্তু বাস্তব কাজের চেয়েও অনেক কঠিন। তবে আপনি যদি এক্সপার্ট হোন তবে কোন ব্যাপারই না। মাসে আপনি ৩৫-৩৫ এর জায়গায় এক লাখ বা তারও বেশি আয় করতে পারবেন। ধৈর্য্য ধরে আগে কাজ শিখুন, ইনশাল্লাহ কাজের অভাব হবেনা।