আবার একটা বিশ্বকাপ। ব্রাজিল পারবে?
নেইমার: বিশ্বাস করি আমার ব্রাজিল পারবে। দলটা ভাল। আমরা পরিশ্রমও করেছি। আসল কথা, জেতার যোগ্যতা আছে।
এত জোর দিয়ে বলছেন কী করে?
নেইমার: এবার দক্ষিণ আমেরিকার গ্রুপ থেকে আমরাই প্রথম যোগ্যতা অর্জন করেছি। প্রায় ১৮টা ম্যাচ যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলেছি। ভিন্ন দেশ, ভিন্ন পরিবেশে। যা অবশ্যই বড় পরীক্ষা ছিল ফুটবলারদের সামনে। আমরা খেলেছি নিজেদের স্টাইলে। ম্যাচ বাকি থাকতেই যোগ্যতা অর্জন করেছি। যা দলের সবার কাছেই ছিল বিশেষ। রাশিয়াতেও একই দাপট দেখাতে চাই।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে আপনি ছিলেন দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু তারপর চোট পেয়েছেন। অস্ত্রোপচার হয়েছে। আপনার ফিটনেস চিন্তায় রেখেছে অনুরাগীদের। কী বলবেন?
নেইমার: এখন ঠিক আছি। হ্যাঁ, চোট নিয়ে আমিও চিন্তায় ছিলাম। বিশ্বকাপের কথা ভেবেই দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মনে হয়, সব কিছু ঠিক থাকবে। পারফেক্ট হবে আমাদের জন্য।
২০১৪–র বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে চোটের জন্য খেলেননি। ব্রাজিল হেরেছিল বিশ্রীভাবে। বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়! নিশ্চয়ই মনে আছে?
নেইমার: ওই সময়টা পেছনে ফেলে এসেছি। জার্মানির কাছে ১–৭ হার হজম করা কঠিন। আমার পক্ষে তো আরও বেশি। কারণ চোটের জন্য ম্যাচটা খেলতে পারিনি। ওই চোট আমার কেরিয়ার শেষ করে দিতে পারত। আর দুই সেন্টিমিটার দূরে লাগলে আজীবন হুইলচেয়ারে কাটাতে হত। ভাগ্যিস অতটা লাগেনি। তাই তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরতে পেরেছি। যা প্রচণ্ড ভালবাসি, সেই খেলাটা এখনও খেলতে পারছি। সামনেই আরও একটা বিশ্বকাপ। চ্যালেঞ্জের জন্য আমরা তৈরি।
গ্রুপ ‘ই’–তে আপনাদের সঙ্গেই আছে সুইৎজারল্যান্ড, কোস্টা রিকা আর সার্বিয়া। নিজেদের গ্রুপ নিয়ে কী বলবেন?
নেইমার: এটা বিশ্বকাপ। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ৩২ দলের মধ্যে আমরা আছি। বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচই সহজ নয়। সুইৎজারল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাস দুর্দান্ত। সার্বিয়া নতুন দেশ হলেও ছাপ রেখেছে। আর কোস্টা রিকা? কতটা শক্তিশালী তার প্রমাণ তো রয়েছে চোখের সামনেই। আমেরিকা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। ওরা পেরেছে! নকআউটে যোগ্যতা অর্জন করতে গেলে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে।
মেসির সঙ্গে খেলেছেন। রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে লড়েছেন। স্পেনে থাকার সময়। ওদের দু’জনের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা কতখানি?
নেইমার: দু’জনেই গ্রেট। এ প্রজন্মের সেরা। মেসির সঙ্গে খেলা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের। ফুটবলার হিসেবে তো বটেই, মানুষ হিসেবেও ও দুর্দান্ত। মেসির সঙ্গে একই ক্লাবে খেলাটা ছিল স্বপ্নের মতো। আমার কাছে ও–ই সেরা। তাই বলে রোনাল্ডোকে উপেক্ষা করতে পারব না। ওর কৃতিত্বও অসাধারণ। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা আর পর্তুগাল— দু’দলেরই বড় পরীক্ষা। তবে এই দুই জাদুকর সবটুকু উজাড় করে দেবে নিজের দেশকে সেরা ট্রফিটা দেওয়ার জন্য।
বিশ্বকাপে কে ফেবারিট?
নেইমার: ব্রাজিল। এ ব্যাপারে সংশয় নেই। তবে আমাদের সঙ্গেই কয়েকটা দলের নাম উচ্চারিত হবে। যেমন আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে। তবে এবার যেহেতু ইউরোপে বিশ্বকাপ হচ্ছে, তাই ফেবারিটের তালিকায় ইউরোপের দেশগুলোই বেশি থাকবে। জার্মানি তো গতবারের চ্যাম্পিয়ন। তাছাড়া স্পেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, পর্তুগালও আছে। তাই যে কোনও একটা দলকে ফেবারিট তকমা দেওয়া কঠিন।
Lebanon is now in Dhaka to play against Bangladesh
Dhaka came to Lebanon this morning after playing a World Cup qualifying match with United Arab Emirates Palestine last night....