আপনি কী বিশেষভাবে কোনো স্থানে ট্যুরে যেতে চান? হয়তো আপনার মন সুন্দরের খোঁজ করে বেড়ায়। আপনার চোখ চাই সুন্দর ও মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে।
আপনি যদি মনের কথা শুনেই প্লান করে ফেলেন যে একটা ভ্রমণ বা ট্যুরে যেতেই হবে। তাই আপনি সেই প্লান অনুযায়ী বাজেট ঠিক করে ফেললেন। যা যা প্রয়োজন গোছানোর ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে। এখন সমস্যা হলো তাহলে ট্যুরে যাবেন কোথায়? সমস্যা হলো জায়গা নির্বাচন করা। আপনি তো আর সাধারণ মানের একটা জায়গায় ভ্রমণ করে নিজের মনকে হতাশ করতে চাইবেন না। আবার সেই জায়গায় ভ্রমণের ফলে যদি আপনার মনের পিপাসা না মেটে তাহলে তো সব পরিশ্রম ও অর্থ জলে গেল। তাহলে এখনই এই স্থানটি ভ্রমণ করা আপনার জন্য আবশ্যক। চমৎকার সুন্দর ও ঐতিহ্যের সমারোহময় স্থানের নাম হলো “এন্টিলোপ ক্যানিয়নে।”
আসুন এই কঠিন নামের অপরুপ সুন্দর স্থানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
অনেক বছর ধরে দেশ-বিদেশ ঘুরে আসা ভ্রমণ প্রেমি ও উৎসুক মানুষগুলোর চোখের ক্ষুধা ও মনের সৌন্দর্য পিপাসা মেটানো এই গিরিখাত একসময় ঝড় তুলেছিল গবেষকদের বৈঠকে। তারা একটা ভাবনায় ডুবে গিয়েছিলেন, যে মাত্র একশ মিটার দীর্ঘ নদীর প্রবাহের কারণে ঠিক কীভাবে এই ভৌগোলিক সৌন্দর্যের নিদর্শন সৃষ্টি হয়ে গেল? এই একটি প্রশ্নই চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল ইতিহাসের সকল কৌতূহলীদের। কিন্তু এখন এর উত্তর খুঁজতে আর আমাদের বেশিদূর যেতে হচ্ছে না। বৃহৎ গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের প্রতিটি স্তরে স্তরে থাকা পাথরগুলোই আমাদের সেই জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে সম্পুর্ণ সক্ষম হয়েছে। মিলিয়ন বছরের সুপ্ত কাহিনী নিজের বুকে জমিয়ে রেখে আজ এই গিরিখাত যেন সেই ভ্রমণপ্রেমি ও কৌতুহলী মানুষগুলোর অপেক্ষাতেই রয়েছে যুগের পর যুগ সময় ধরে।
অবস্থান: “এন্টিলোপ ক্যানিয়ন” এই স্থানটি আমেরিকান দক্ষিণ পশ্চিম একটি স্লট ক্যানিয়ন। এটা অ্যারিজোনা এর পূর্ব নামাজো জমি উপর অবস্থিত। এন্টিলোপ ক্যানিয়নে দুইটি ভিন্ন ও দর্শনীয় স্লট ক্যানিয়ন বিভাগ রয়েছে।
নামকরণ: এটিকে বিশেষভাবে উচ্চ “অ্যানিলোপ ক্যানিয়ন” বা “দ্য ক্র্যাক” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও নিচের গিরিখাতের স্থানকে এন্টিলোপ ক্যানিয়ন বা দ্য কর্কস্কর নামেও আখ্যায়িত করা হয়।
নামের অর্থ: উচ্চ এন্টিলোপ ক্যানিয়ন এর একটি নামের অর্থ হয় ‘জল যেখানে পাথর মাধ্যমে চালানো হয়’।
উৎপত্তি: আগেই বলা হয়েছে এখানে নদীর জল বয়ে যাওয়ার ফলেই পাথরের মাঝে ক্ষয় হতে থাকে। এবং একসময় এইরকম এক প্রকার বৃহত গিরিখাতের উৎপত্তি হয়। মিলিয়ন বছর আগে পানি প্রবাহের কারণে সৃষ্টি হয়ে যায় এই গিরিখাত।
বৈশিষ্ট্য: মুগ্ধকর এই গিরিখাতের দেওয়ালে সূর্যের আলো পড়লে অদ্ভুত সুন্দর আলোছায়া ও রঙের বৈচিত্র সৃষ্টি হয়। যা দেখতে যেমন অপরুপ লাগে। তেমনই সেই সৌন্দর্য দ্বারা পর্যটকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।
ক্যাননে শুধুমাত্র গাইডেড ট্যুর দ্বারা এখানে ভ্রমণ করা সম্ভব।
ভ্রমণ আমাদের দৈনিক ব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি দেয়। যা যেভাবে আমাদের মনকে প্রফুল্ল রাখে আবার মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সুতরাং আমাদের মনের সুস্থতার জন্য সাধ্যের মধ্যে বছরে ভ্রমণের জন্য একটা সময় রাখা প্রয়োজন। তাহলে ব্যাকপ্যাক করে ফেলুন!