আসসালামু ওয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।
আল্লাহর অশেষ রহমত ও দয়ায় নিশ্চয়ই আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর মেহেরবাণীতে আমিও ভালো আছি।
প্রশিক্ষণ নিন
ফুলের দোকান দেওয়ার জন্য সচরাচর তেমন কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়েনা। তবে ফুল সাজানো শেখাটা খুবই জরুরী। অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। বা ইউটিউবে সার্চ করে সেখান থেকে টিউটিরিয়াল দেখতে পারেন।
জেনে নিন ফুলের দোকান পরিচালনার নিয়ম-কানুন
দোকান নির্বাচন করার পর দোকানে কাঠের শেলফ্ বা তাকগুলো দেয়াল ঘেঁষে সাজিয়ে নিতে হবে।
শেলফ্ এর উপর মাটি বা কাঁচের ফুলদানিতে ফুল সাজিয়ে রাখতে হবে।
একেক ফুলদানীতে একেক ফুল রাখতে হবে। এছাড়া বেত বা বাঁশের ঝুড়িতে কিছু ফুল বিক্রয়ের জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে হবে।
ফুল টাটকা ও সতেজ রাখার জন্য ফুলের উপর মাঝে মাঝে পরিস্কার পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
যে এলাকায় যেসব ফুলের চাহিদা বেশি থাকে সেসব ফুল বেশি রাখতে হবে।
গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা ইত্যাদি ফুল সাধারণত নানান অনুষ্ঠানে ঘর ও গাড়ী সাজানোয় বেশি ব্যবহার করা হয়।
তাই এই সব ফুল বেশি পরিমাণে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি নতুন ধরণের কিছু ফুল রাখলেও তা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
বর্তমানে শহরের সব জায়গায় গ্লাডিওলাস, অর্কিড,দোলনচাঁপা ইত্যাদি ফুলের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
তাই এই ফুলও বেশি পরিমাণ রাখা যেতে পারে। স্থান বুঝে ফুল রাখতে হবে।
যে সব ফুল সহজেই নষ্ট হয়ে যায় সে সব ফুল কম পরিমাণে রাখাই ভালো।
দোকানে ফুল দিয়ে ঘর সাজানো, গাড়ি সাজানো বা নানানভাবে ফুল সাজানোর ছবিসহ একটি বই রাখলে ভালো হয়।
তাহলে ক্রেতা তা দেখে ঘর বা গাড়ি সাজানোর অর্ডার দিতে পারবে।
আর ফুল সাজানোর জন্য এ কাজে দক্ষ হতে হবে।
দুইভাবে এই ব্যবসা থেকে আয় করা যাবে। খুচরা ফুল, ফুল সাজানো ঝুড়ি বা তোড়া বিক্রয় করে তার বিনিময়ে টাকা নেয়া যাবে।
আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্রেতাদের নির্দেশ অনুযায়ী ঘর, বাড়ি বা গাড়ি সাজিয়ে দিয়ে তার বিনিময়ে ফুলের দাম ও মজুরি নেয়া যাবে।
সাবধানতা অবলম্বন করুন
সবসময় টাটকা ও সতেজ ফুল রাখতে হবে। ফুল যেনো নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
দোকানের আশপাশ পরিস্কার পরিছন্ন রাখবেন।
তাহলেই ক্রেতাদের রুচি বাড়বে।
মাস শেষে আয় ও লাভের হিসাব
প্রতিমাসে চাহিদা অনুযায়ী ফুল কিনে,তার হিসেব টানলে আল্লাহর রহমতে ৬-৭হাজার + টাকা উপার্জন হয়ে যাবে। যখন যেমন চাহিদা,তার উপরে ভিত্তি করে কোনোমাসে কম বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এভাবেই আপনি আপনার বেকারত্ব কাটিয়ে ফুলের দোকান দিয়ে আজ থেকেই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।