আসসালামু আলাইকুম।
আমি প্রথমেই বলে দেই, গল্পটা অনেক বড়। তাই একবারে লেখাটা অনেক কষ্টকর। তাই আমি গল্পটাকে পর্বে ভাগ করলাম।
পর্ব ১=
এক গায়ে ছিল দুই বামুন। গাঁয়ের লোকেরা তাদের বড় বাওনা(বড় ব্রাহ্মণ) আর ছোট বাওনা (ছোট ব্রাহ্মণ) তারা দু’জনেই ছিল খুব গরিব। এতোই গরিব যে তাদের সংসার চলাই দায়।
একদিন সন্ধ্যাবেলা বড় বাওনা নিজের ঘরে বসে ভুরুক্ ভুরুক্ করে হুকোয় তামাক খাচ্ছিল। এমন সময় বাইরে থেকে ডাক শোনা গেল।
ও নোয়াদা, বাড়ি আছো নাকি?
কে?
আমি ছোট বাওনা।
এসো,ভাই এসো। বসো।
তারপর ভাই, ব্যাপার কি?
ব্যাপার আর কি দাদা, দুটো সুখ-দুঃখের কথা বলতে এলাম। দিনকাল যা পড়েছে তাতে তো সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে উঠেছে। সামান্য ক’ঘর যজমানের উপর ভরসা করে তো আর দিন চলে না। বড় বাওনা বলল, আমার ও তো একই অবস্থা। জমি-জমা নেই। ভরসা শুধু কয়েকঘর যজমানের বাড়ির কার্যক্রম। ছোট বাওনা বলল, এই গায়ে পড়ে থাকলে কিছু হবে না। চলো,দাদা আমরা বাইরে কোথাও যাই। দেখা যাক ভিনদেশে টাকার মুখ দেখতে পাই কিনা। -বেশ তবে তাই চল। কবে যেতে চাও? -দেরি করে লাভ কি? পাজিতে সামনে যে শুভ দিনটি দেখা যাবে, সেদিনই বেরিয়ে পড়বো দুজন।_ঠিক আছে। এক সপ্তাহ পরে একদিন ভোরবেলা বড় বাওনা ও ছোট বাওনা ভাগ্যের খোঁজে বেরিয়ে পরলো। কত গ্রাম,মাঠ-ঘাট,নদী জঙ্গল পেরিয়ে এগিয়ে চলল তারা। সারাদিন পর চলে সন্ধ্যা বেলায় তারা কোন গৃহস্থের বাড়িতে অতিথি হয়, আবার ভোরে উঠে পথ চলতে শুরু করে। সাত দিন ধরে পথ চলার পর সামনে পরল একটি বিরাট নদী। নদীর ওপারে বিরাট বন। ছোট বাওনা বলল, এ কোথায় এসে পড়লাম দাদা। বড়-বলল, কি জানি। এখন আমাদের নদী পার হয়ে বনের মধ্যে ঢুকতে হবে। বনের ওপাশে নিশ্চয়ই কোন গাঁ আছে। -কিন্তু নদী পার হব কি করে? -ওই তো একখানা নৌকা আর একজন মাঝি দেখা যাচ্ছে। চল, ওদিকে যাই। বড় বাওনা বলল।
তো পর্ব এক এপর্যন্তই থাক। পর্ব ১ এপোরব হওয়ার সাথে সাথে পর্ব ২ দিয়ে দিব।
আসসালামালাইকুম সবাই ভালো থাকবেন।
Ep 2 plz
নাইস
Ok
Thx fr pst
nice
Hi
nice post
Lage bhoi
❤️