এমন কিছু অসাধারণ গাড়ী যা আপনাদের অবাক করে দেবে।
1/ VOX VEGAN ID- ১১০ মাইল প্রতি ঘন্টা গতি ও খুব দ্রুত চার্জিং এর সাথে VOX VEGAN ও সামনের বছর তাদের আইডি কনসেপ্ট গাড়ী নিয়ে পৃথিবীর সামনে আসবে। একবার চার্জ করলে এই গাড়িটা ২৫০ কিলোমিটার সফর করতে পারবেন। কোনপানিতি দাবি করেছে ২০২২ সালের মধ্যে এই চারটি গাড়ী তারা ডেভলপ করে ফেলবে । তখন হয়তো মার্কেট শুধু এই কন্সেপ্টের গাড়ী দিয়েই ভর্তি থাকবে। এটা ষ্টিয়ারিং পাইলট মুডে চলে যা কিনা এটার মধ্যে লাগানো সেন্সরের মাধ্যমে কাজ করে। এই সেন্সর রাস্তায় থাকা সব জিনিসের ধারণা দেয়। যাতে গাড়িটা সেই অনুযায়ী ব্রেক অর এক্সিলারেশন করতে পারে। এটার মধ্যে থাকা এই কাচগুলো ট্রাফিক সিগ্নাল আর ডিরেকশনের ধারণা দেয়।
2/ NISSAN IDS- এই গাড়িটার সেন্সর টেকনোলজির কোনজবাব নেই । চার চাকার গাড়ীর বাদশা, নিসান কোম্পানি নিয়ে আসছে এই ফুল্লি আটোমেটিক ও ইলেকট্রিক গাড়িটা। এটা লাগানো ষ্টেয়ারিং মাল্টিপারপাস। আর এটা দেখতে একটা জাহাজের ষ্টিয়ারিং- এর মত। আর এই গাড়ীর কাঁচ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, যার ভবেতরে গাড়ী চলা থামা অয়ার্নিং সবকিছুই ডিসপ্লে হয়। নিশান তাদের এই নতুন গাড়িটার মাধ্যমে বিএমডব্লিউ ও rolls –royce কে এটা জানান দিল যে, তারাও কোন অংশে কারো থেকে কম নয়। আর এই গাড়িটার জৌলুসের ধাক্কা হতে সবাই যেন প্রস্তুত থাকে। NISSAN IDS গাড়িটায় একটা সম্পূর্ণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কন্সেপ্ট রয়েছে। যেখানে পাইলট মুডে গাড়ী চালানোর সাথে সাথে সঠিক ব্রেকিং ও এক্সিলারেশনে এই গাড়ী পরদর্শী হবে। এই গাড়িটা ড্রাইভারের স্টাইল কপি করে সেই ভাবে গাড়ী চালাতে সক্ষম হবে। এটার প্রথম ভার্সন জাপানী মার্কেটী এখন কিচতু এভেলেবেল।
3/ Rolls- Royce vision next 103 – এই গাড়ীটার সাথে একটু পরিচিত হন। এটা হল Rolls – Royce কোম্পানির ভবিষ্যৎ আবিষ্কার । যার নাম Rolls –Royce vision next 103. এই গাড়ীতে থাকা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট তার মালিকের আদেশ মান্য করে । কোথায় যেতে হবে, কিভাবে যেতে হবে, কত গতিতে যেতে হবে আর কত সময়ের ভেতরে পৌছাতে হবে এই এসিস্টেন্ট সব কিছুর খেয়াল রাখে । গাড়ীর চাকা থেকে শুরু করে এই গাড়ীর সবকিছুতেই সেন্সর রয়েছে। এটার ফাংশন অনেক অসাধারণ। এই ড্রাইভারলেস গাড়িটা ভবিষ্যতের টেকনোলোজি ইন্টেলিজেন্সির একটা অসাধারণ উদাহরণ। আর এই গাড়িটা আমরা খুবই দ্রুতই বাজারে দেখতে পাবো ।
4/ Mercedes Benz f 015- মার্সিডিজ কোম্পানির এই গাড়িটা ফুল অটোমেটিক। আর এটা ১০০% আক্সিডেন্ট প্রুফ। এটার মধ্যে লাগানো ইলেকট্রিক হাইব্রিড সিস্টেমের মাধ্যমে এই গাড়িটা ১০০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করতে পারবে নিজে নিজেই। এটার ডিজাইন থেকে শুরু করে এটার এন্টেরিয়র সবই অসাধারণ। আর এটার মধ্যে লাগানো ফ্রন্ট ক্যামেরা এই গাড়িটা চালক ছাড়াই রাস্তায় চলতেও সাহায্য করবে। অর্থাৎ এই গাড়িটায় আপনি কোন চালক ছাড়া পিছনের সিটে বসে অসাধারণ ভ্রমণের অনুভূতি অনুভব করতে পারবেন।
5/ BMW Vision next 100 – এই গাড়িটা ভিএমডব্লিউ ভীষণ সিরিজের একটি অংশ । আর এটা খুব দ্রুতই পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করা হবে। এটা একটি বিশেষ টেকনিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যার নাম এলাইভ জিওমেট্রি। কোম্পানির মতে এই টেকনিক এটাকে আটোমেটিক গাড়ী বানিয়েছে। এই গাড়িতে লাগানো থ্রিডি ফিচার এটার কাছে আসা সব জিনিস অদুভব করতে পারবে। আর এটাতে থাকা রোবটিক কমান্ড সেই তথ্য ীয়ে কাজ করে। অর্থাৎ গাড়ী থামা, চলা অথবা গাড়ীর সামনে দিয়ে কাউকে পাস করে দেয়া এই সবকিছু টি গাড়ী একা একাই ঠিক করতে পারবে । এই গাড়িতে থাকা এই ছোট স্টিয়ারিংটিও ফুল অটোমেটিক । আপনি চাইলে এটা আপনার হাতেও কন্ট্রোল করতে পারবেন। আপনি যদি তাও করতে না চান তাহলে এই গাড়ীতে থাকা একটি ছোট বাটনে চাপ দিয়ে এটা বন্ধ করে আপনি ঘুমিয়ে পরতে পারবেন। এই গাড়ী একা একা চলে আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌছে দেবে।
সবশেষে একটা গাড়ীর কথা বলব যা পুরো পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছে। সেটা হলো Tesla Roadster 2020 । এটা এমন একটি গাড়ী যা কিনা অনেক বড় বড় গাড়ী কোম্পানির ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এটা ভবিষ্যতের সব থেকে দ্রুত ইলেকট্রিক গাড়ী হতে চলেছে। এই অসাধারণ চার সিটের গাড়িটি ২০২০ সালে মার্কেটে আসবে। এটা একবার চার্জ করলে ১০০০ কিলোমিটার ভ্রমন করা যাবে। ২০১৭ সালে এই গাড়ীর ট্রেইলার দেখানো হয়। তখন দাবি করা হয় এই গাড়িটা হবে ভবিষ্যতের সব থেকে গ্রুত গাড়ী । ১.৯ S এই গাড়িটি ৯৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতি তুলতে পারবে । যা আসলেই অবাক করে দেওয়ার মত।