বিষয়টি বুঝিয়ে বলি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যেখানে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাল্পনিক বিষয় বস্তু কে বাস্তব রুপে উপস্থাপন করা । প্রকৃত ভাবে বলা যায় বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তব এর চেতনা উদ্রেক কারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনার রূপান্তরিত রুপ কে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা কিংবা কল্পবাস্তবতা বলে । কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ, যেখানে ব্যবহার কারী ঐ পরিবেশ এ মগ্ন হতে, বাস্তবের নমুনা যে তৈরি দৃশ্য উপভোগ করতে, এবং বাস্তব এর মতো শ্রবণানুভূতি , দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ ও অনুভূতি দ্বারা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে । ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মূলতঃ কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত । ১৯৬১ সালে মার্টন এল হেলিগ এর তৈরি সেন্সোরামা স্টিমুলেটর নামক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথম ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিলো । ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে এমন এক কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক (3D) পরিবেশ যেটা একজন মানুষ এর কাছে পুরোপুরি বাস্তব এর মতো মনে হয় । আমরা চারপাশে যা কিছু দেখি সবই ত্রিমাত্রিক আর বর্ণময় ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি যে ত্রিমাত্রিক বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য নেয়া হয় দু’টি ত্রিমাত্রিক কাঁচের । একটি তে থাকে লাল রঙের ফিল্টার আর অন্যটি তে থাকে নীল রঙের ফিল্টার । কম্পিউটার এর মাধ্যমে তোলা ইমেজ, দু’টি লাল ও দু’টি নীল বর্ণের ফিল্টার এর মধ্যে দৃশ্যমান হয় । দর্শকের মস্তিষ্ক তখন ইমেজ দু’টি কে পুনরায় সমন্বিত করে বস্তুর ত্রিমাত্রিক ইমেজের অস্তিত্ব বুঝতে পারে ।
১. রিয়েলিটি ইঞ্জিন/সিমুলেটর ।
২. ইনপুট ও আউটপুট সেন্সর।
৩. হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে ।
৪. ডেটা গ্লোভ ।
৬. একটি পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট ।
৭. অডিও ডিভাইস ।
৮. ব্যবহার কারী ।
তাহলে আর দেরি কেন, উপকরণ গুলো ও জোগাড় করে আমরা নিজেদের সময় মতোই উপভোগ করতে পারি কল্পবিজ্ঞান । তবে খুশির খবর হচ্ছে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আমাদের ক্রয় করার প্রয়োজন নেই । কারন আমরা ইনডোর গেম জোন গুলো তে গিয়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উপভোগ করতে পারি ।
ভূল-ত্রুটি মার্জনীয় । জয় হোক বিজ্ঞানের ।