”মহাকাশ”। যার নামের মধ্যেই রয়েছে এক বিশালতা।মহাকাশ এমন একটি জিনিস যাকে নিয়ে বাচ্চা থেকে বুড়ো এমন কোন মানুষ নেই যার মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়নি ।সাধারণ কথায় বলতে গেলে আমাদের মাথার উপর অনন্ত যে আকাশ তাই মহাকাশ।আরেকটু বিস্তারিতভাবে বললে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাহিরের যে আকাশ সেটাই মহাকাশ।পৃথিবী থেকে ১৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের শেষ এবং সেখান থেকেই মহাকাশের শুরু।মহাকাশ কোন পদার্থ নয় যার নির্দিষ্ট আকার আছে।এটি একটি বিরাট বড় ফাঁকা স্থান যে জায়গা দিয়ে পৃথিবী,চাঁদ,সূর্য ,তারা ইত্যাদি চলাচল করে।এগুলো প্রত্যেকে একেকটি পদার্থ। যাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা আকার,আকৃতি,ভর আছে।
দিনের আকাশের গনগনে সূর্য কিংবা রাতের আকাশের চাঁদ, তারা এই সবই খুব একটা দূরে মনে না হলেও এদের অবস্থান পৃথিবী থেকে যোজন যোজন দূরে।পৃথিবী থেকে সূর্যের দুরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার।সূর্য একটি হলুদ বর্ণের মাঝারী আকৃতির নক্ষত্র।এটি পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম নক্ষত্র।নক্ষত্রগুলোতে যে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস আছে তা অতি উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বলতে থাকে।নক্ষত্রগুলো একেকটি জ্বলন্ত অগ্নিপিন্ড।এজন্যই সূর্য থেকে আমরা তাপ ও আলো পেয়ে থাকি।চাঁদ হলো পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ।চাঁদের কক্ষপথ সমান বৃত্তাকার না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব কমবশি হেরফের হয়।আনুমানিক হিসেবে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ২৮ থেকে ৩২টি পৃথিবীর সমান।
সূর্য ও তার গ্রহ,উপগ্রহ,গ্রহাণুপুন্জ,অগনিত উল্কা,অসংখ্য ধূমকেতু নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত।সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করে এবং গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে মহাকর্ষ বলের প্রভাবে ঘুরতে থাকে।মোট গ্রহগুলোকে তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
সৌরজগত এর প্রথম পরিসরে রয়েছে ৪টি গ্রহ
১.বুধ(mercury)
২.শুক্র(venus)
৩.পৃথিবী (earth), উপগ্রহ :চাঁদ (moon)
৪.মঙল(mars) ,উপগ্রহ : ডিমোস ও ফেবোস
তারপর রয়েছে গ্রহাণু বেষ্টনী(গ্রহাণুপুঞ্জ,উল্কা,বামন গ্রহ)
তারপর গ্যাসীয় দানব গ্রহ(বৃহস্পতি, শনি,ইউরেনাস,নেপচুন)
এদের প্রত্যেক গ্রহের বলয় আছে।তারপরের অংশ হলো কাইপার বেষ্টনী।
এতে রয়েছে:
১.বরফ শিলা
২. ৩ টি বামন গ্রহ(প্লুটো, হেউমেউ, মেকিমেকি)
৩.স্বল্প সময়ের ধুমকেতু এখানে উৎপন্ন হয়
শেষ অংশে রয়েছে উর্ট মেঘ।