Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

মানব জীবন ও সভ্যতার শেষ কোথায়? ২

১ নং আর্টিকেল টি গ্রাথোরে প্রকাশিত হতে দেখে, কতটা ভাল লেগেছে তা বলে বা লেখে বুঝানো সম্ভব না।যারা এই অনলাইন জগতে নতুন,তারা সাধারনত এই রকম অনুভুতি ই পেয়ে থাকে…নতুন করে লেখার উৎসাহ,উদ্দিপনা পেয়ে থাকে…আমার ক্ষেত্রে ও তার ব্যতিক্রম হয় নি।২ য় অংশ লিখতেছিলাম,কিন্তু ট্যাকনিক্যাল প্রবলেমের কারনে শেষ করতে পারি নি।রেস্টুরেন্টে কাজ করি…সময় ই হয়ে উঠেনা…আজ বেচাকেনা একটু কম ছিল, হিসেব নিকেশে সময় সময় বেশি একটা লাগে নি….. রাতের খাবারের পর লেখতে বসে গেলাম।

এই মহাবিশ্ব ও তার সৃষ্টিকথা,পৃথিবীতে প্রান স্পন্দনের ক্রমবিকাশ, মানুষের আবির্ভাব ও সভ্যতার উথ্বান পতন,জীবন মৃত্যু,ধর্ম ও ধার্মিকতা,স্রষ্টা ও তিনার সৃষ্টিজগত  নিয়ে লেখার মতো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও সহযোগিতা আমার নেই…..

বাবা ছিলেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক।তিনি মাদ্রাসা হতে তাফসিরে কামিল পাশ করেন।আমি নিজে ও একজন মাদ্রাসা ছাত্র ছিলাম।আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করেছি। যার কারনে কুরান,হাদিস,ইসলামি সাহিত্য ও ইতিহাস,ফিক্বাহ শাস্ত্রে জানাশোনা ছিল….ছোটবেলা থেকে ই তাফসিরের কিথাব,বুখারী, মুসলিম শরীফের মতো হাদিস গ্রন্হ,তারিখে ইসলামের মতো বই গুলো পড়া শুরু করি….

মাদ্রাসা থেকে আলিম শেষে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হলাম।পরিচিতি পেলাম জ্ঞানের জগতের আরেকটি নতুন অধ্যায়ের। সাহিত্য উপন্যাস,গল্প গুলোকে সামাজিক দর্পন বলা চলে।যেখানে মানব জীবন ও সমাজ বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়।একজন লেখক তার লেখনিতে তার সমকালিন মানুষের জীবন ধারা,সামাজিক গতিধারা,মানব মনের অন্ধকার দিক ও তার সমাজ প্রবনতা আমাদের সামনে তুলে ধরেন।

ইংরেজি সাহিত্যের সংস্পর্শে এসে একদিকে যেমন ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা অর্জিত হয়েছে,পাশাপাশি গল্প উপন্যাসের মাধ্যমে জীবন বাস্তবতার ধারনা পরিপক্বতা অর্জন করেছে। ইংরেজিতে ভাষাগত দক্ষতার কারনে বিভিন্ন সাইট ও ব্লগে ঘাটাঘাটি করার সুযোগ হয়েছে।জানতে পারাটা মানুষের মাঝে জানতে চাওয়ার একটা প্রেরনা তৈরি করে।মস্তিষ্কজাত এই প্রেরনা আমাদের ই, না কি  একজন মহান পরিকল্পনা কারীর মেকানিজম!

যদি এই মস্তিষ্কজাত প্রেরনা আমাদের ই মানে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের ডিএনএতে এনকোড হয়ে থাকে,তাহলে একই এনকোডিং টা কেন আমাদের সমগোত্রীয় গড়িলা, শিম্পান্জিতে হয় নি…. জীববিজ্ঞান ইতিহাসের এক মহান ব্যাক্তিত্ব জনাব ডারউইন সাহেব তার  প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্তে এ বিষয়টা সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

শত শত বছরের মাইক্রো মাইক্রো পরিবর্তন গুলো কিভাবে মেগা পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায় আর এই পরিবর্তিত প্রানীগুলোর মাঝে শুধু অভিযোজনক্ষম প্রানী গুলো কিভাবে টিকে থাকে আর বাকিরা হারিয়ে যায়….এ বিষয় গুলো ই তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে।

কিন্তু আমরা জানি যে,আমাদের এই পৃথিবীর এই সময় জ্ঞান শুধু আমাদের পৃথিবীতে ই প্রযোজ্য।মহাজাগতিক সময়ের কাছে আমাদের এই পৃথিবীর সময়মান ও তার তুলনামুলক আলোচনা বেমানান ও হাস্যকর….

বিষয়টাকে আরেকটু ভাল করে বুঝতে চাইলে, আমাদের কে বিগ ব্যাং,ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশন ও পরমানু গঠনের দিকে একটু পড়াশোনা করা লাগবে….

চলবে…

Related Posts

15 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No