বর্তনাম সময়ে আমরা অর্থাৎ মানুষকুল সকলেই কোন না কোন ভাবে মানুসিক ভাবে মানুসিক রোগে আক্রান্ত । বোধ হয় পৃথিবীতে এমন কোন ব্যাক্তি নেই যে কিনা বলতে পারবে যে আমার কোন চিন্তা নেই । আর এই চিন্তাই হলো মানুসিক রোগের প্রধান বিষয় । কারো মনে স্বাভাবিক চিন্তা আবার কারো মনে অস্বাভাবিক চিন্তা, আবার কেও বা ভালো চিন্তা করে কেও বা খারাপ চিন্তা করে এসব চিন্তা করতে গিয়েই আমরা মানুষিক ভাবে আক্রান্ত হয়ে পরি বিভিন্ন রকম মানুসিক রোগে । আর এই চিন্তার মধ্যে বাচার চিন্তা ও মরার চিন্তাও বিদ্যমান ।
প্রায় সকল মানুষের প্রধান চিন্তা হলো সমাজে মাথা উচু করে বসবাস করা । যার কারনে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কাজ করি ভালো কাজ কি মন্দ কাজ । এই সমাজ ব্যবস্থা আমাদের যেমন করেছে সভ্য তেমনি অসভ্যও বানাচ্ছে। জীবনে নিজের ও পরিবারের চাহিদার পাশা পাশি আমরা নিজেদের অজান্তেই সমাজের চাহিদাকেই প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে । অথচা সেটা আমরা বুঝতেও পারছি না । তা না হলে নিজেই একবার ভেবে দেখুন না ভালো করে । আমাদের ভালো ভাবে বাচার এমন কিই বা দরকার বড়জোর দু-তিন বেলা খাবার থাকার ভাল একটি ঘড় আর অসুখ বিসুখের জন্য চিকিৎসা তাঁর জন্য কিছু অর্থ ও পরনের জন্য পোশাক । এগুলো হলেই কিন্তু আমরা আমাদের জীবন সুন্দর ভাবে কাটিয়ে দিতে পারি । তবুও আমরা আরো কিছু পাবার আশা করছি সেই আরো কিছু চাওয়ার চাহিদাটাই কিন্তু আমাদের না সেই চাহিদাটা হচ্ছে আমরা যে সমাজে বাস করি সেই সমাজের চাহিদা । ঐযে আগেই বলেছিলাম আমরা আমাদের চাহিদার চাইতে নিজের অজান্তেই সমাজের দাহিদা পূরণে বেশি প্রাধ্যান্য দিচ্ছি । এখন দেখুন আপনার তিনবেলা খাবার, পরনে পোশাক, চিকিৎসা ও থাকার জায়গা ছাড়া বারতি যা কিছু করছে সেগুলো সমাজের চাহিদা কি না সেটা একবার ভালো করে ভেবে দেখুন নিজেই । একটার জায়গায় দুইটা গারি করছেন, বাড়ি করছেন সকল কিছুই কিন্তু সমাজে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করার জন্য । তাহলে এখন হিসেব করে দেখুন আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু বস্তু ছাড়া বাদ বাকি সকল কিছুই হচ্ছে সমাজের চাহিদা । অর্থাৎ আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন না আপনি যা কিছুই করছেন তাঁর অধিকাংশই হলো সমাজের চাহিদা পূরনের জন্য । আবার সেই একই কাজ যদি আপনি সরাসরি সমাজকে দিয়ে দিতেন তাহলে দেখতেন সমাজ আজ কতই না সুন্দর হত । অর্থাৎ মন পরিস্কার করে আপনি যতটুকু আয় করেন তা থেকে নিজের প্রয়োজন মত রেখে বাকি অর্থ সমাজে দিয়ে দিলে সমাজে আজ দূর্নীতি, সন্ত্রাস, হিংসা, ঘাত প্রতিঘাত থাকতো না । কিন্তু আমাদের অনেক দেরি হয়ে গেছে সমাজ ব্যবস্থা আজ ঘুনে ধাড়া কাঠ এটা থেকে ঘুন পুকা গুলোকে উপরে ফেলা সম্ভব না । আর যদি তা করতে যাই তাহলে সেই কাঠকেই আগে খত বিক্ষ্যত করে সেই ঘুন পুকা গুলোকে মারতে হবে । তাহলেই সম্ভব হবে আমাদের ঘুনে ধরা সমাজের পরিবর্তন । আর সেই কাজটাই আপনার বা আমার মত একজনকে শুরু করতে হবে । একজন থেকে বহুজন, বহুজন থেকে সমাজ, সমাজ থেকে দেশ, দেশ থেকে রাষ্ট্র এভাবে একদিন বিশ্বটাকেই পরিবর্তন ভেলায় ভাসানো সম্ভব হবে আমাদের ।
ভালো লাগে মন্দ লাগা কমেন্ট করে জানালে খুশি হব ।
পরবর্তি পর্ব আসছে। আমাদের সাথেই থাকুন ।