মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন অন্তর অন্তঃসার শূন্য। অসার ও মূল্যহীন। সুবিশাল আসমান দেখি কখনও নীল কখনও ধূসর সাদা কাগজের মত প্রাণহীন।আসমানের সাথে সম্পর্ক সৌর জগত, সৌরগোলক, দিবসের সূর্য আর রাতের পাতার অজস্র তারার। সব কিছুর প্রধান্য তখনই পায় যখন প্রতিটি নিদর্শন তার নিজ নিজ কক্ষপথে থেকে তাঁর শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী আলো দেয় এবং আসমানে থাকা নিদর্শনাবলীর প্রাণ শক্তি যেন আসমানের প্রাণ।
আসমানের সম্পর্ক তার নিদর্শন রাজির আলো আছে বলে যেমন প্রাণহীন হওয়া সত্ত্বেও প্রাণশক্তি ও অপরিমেয় প্রাধান্য পায় তেমনি ভাবে মানুষ মানুষের সম্পর্কটাও সাদা কাগজের মত প্রাণহীন বা, মূল্যহীন,যার প্রাণ শক্তি এবং মূল্য বাড়ে, অমূল্য সম্পদের মালিক হয় তখনই যখন তাঁর মানবীয় গুণাবলীর নিদর্শন রাজি গুলো সৌর জগৎ ,সৌর গোলক, দিবসের সূর্য আর রাতের পাতার তারার মত বিকশিত করে ও আলো দেয়।
ইতিহাসের ঐতিহ্য সাদা কাগজ ধরে রাখে বলে মূল্যহীন সাদা কাগজটা সবার কাছে প্রাণশক্তির চেয়ে বড় শক্তি হিসেবে গচ্ছিত হীরা মণি অপেক্ষা প্রাধান্য পেয়ে অলঙ্কৃত হয়। হীরক কলমে সোনার কালি দিয়ে মূল্য হীন সাদা কাগজটাকে শোভিত করে জ্ঞান শিকারী তার শিকারের দ্বারা। মূল্যহীন সাদা কাগজের সাথে যদি মানুষের অন্তরের তুলনা করা হয় তবে দেখা যায় যে, মানুষের অন্তরটাও সাদা কাগজের মত প্রাণহীন বা মূল্যহীন অপ্রাধান্য হয়ে রয়।তখন অন্তর জগৎ লাগে যেন ধূসর সাদা বর্ণীয়, কখনও আবার নীল আসমানের মত প্রাণ সারশূণ্য।
কারণ অন্তর জগতের সাজ সাদা কাগজ সাদৃশ্য প্রাণহীন সম্পর্কের মানুষ। কাগজের পাতায় লিখলে গুরুত্ব বাড়ে এবং প্রাধান্য পায়, আর সম্পর্কে আন্তরিকতা দেখালো তার মধ্যে প্রাণ সঞ্চার হয় এবং প্রাধান্য পায়। তাই বলা হয় যে, “সাদা কাগজ মূল্য হীন গুরুত্ব বাড়ে লেখায়,সম্পর্ক তো প্রাণহীন প্রাধান্য আন্তরিকতায়।”
মহান স্রষ্টার নিজ হাতে সৃষ্ট মানুষের অন্তরাত্মার মহত্ত্ব এবং গুরুত্ব পৃথিবীর সমস্ত ধন রত্নের থেকেও উত্তম ও উৎকৃষ্টতর। আর আত্মিকভাবে যে ধনী সর্বাপেক্ষা সেই ধনী এবং মহৎ বড় ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
কবিতা :- আশাহত
মুহা. কবির হোসেন
আশা ছিলো ভালোবাসার ঘর বাধিব বুকে
আশাহত হয়ে বসা আমি এখন দুঃখে।
তৃষা বুকে হতাশার ঝর উষ্ণ বজ্রপাত
নিঃস্ব ধুঁকে নিরাশার পর কৃষ্ণ অশ্রুপাত।
অন্ধ আশা অন্ধ ভাসা অন্ধ বিশ্বাস ঠাসা
অন্ধ হলো জীবন চক্ষু নেইতো আশার ভাষা।
আশায় আশায় সর্বনাশা তবু আশায় ভাসা
জব্দ হলাম জীবন তৃষায় পর পরমা ভরসা।
নেই এখনতো কোন আশা ভাষা খুঁজি ফিরে
নতুন করে বাঁচতে শিখি চায়না কেউতো নীড়ে।
শত ক্ষত ক্লান্তি চেপে বাধি আশার ঘর
জীবন পথে শান্তি মাপি শূন্য বালুর চর।
উচ্চ আশা ছিল কষা যার ক্ষতিতে হাসি
এই গ্রহের শুকতারাটা আমি ভালোবাসি।
সূর্য রশ্মি উষ্ণ ছিল ভাবি মলিন মেঘে
আশু হাসি ফুটবে জানি কিরণের বেগে।
স্বপ্ন আশার মাঝে জীবন আমি পাশাপাশি
দুঃখর পরে সুখের কিরণ ফুটবো জানি হাসি।
জানি দুঃখ লুকিয়ে হাসে এই ভবেতে যারা
তারাই সুখী এই গ্রহের উজ্জ্বল শুকতারা।