গুগল এডসেন্স এপ্রোভ , এ্যাফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি , নিজস্ব প্রোডাক্ট ডিজিটাল ওয়ে বিক্রি অথবা আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট সার্ভিস রিভিউ জন্য অনেকেই আর্টিকেল লেখে থাকেন কিন্তু আশারুপ ফলাফল না পেয়ে হতাশ হয়ে লেখালিখি মতো মহান কাজটি ছেরে দেন অথচ কয়েকটি নিয়ম ফলো করলেই আপনার লেখাটিও হয়ে উঠবে মান সম্মত আর্টিকেল । আর সহজেই পেয়ে যাবেন গুগল এডসেন্স এপ্রোভ , সেই সাথে বেড়ে যাবে প্রোডাক্ট বিক্রি এবং পাবেন কল্পনাতীত ভিজিটর তাহলে আসুন জেনে নেয় মান সম্মত আর্টিকেল লেখার দুর্দান্ত উপায় গুলা :
১. কোন ক্যাটাগরিতে লিখবেন তা নির্বাচন করা
শুরুতে আমরা কোন ক্যাটাগরিতে লিখবো তা নির্বাচনে ভুল করি ,অধিক প্রোডাক্ট বিক্রির আশায় বা গুগল এড এ ক্লিক পাওয়ার আশায় ঐ বিষয়ে ভালো জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও আমরা আর্টিকেল লেখে পাবলিশ করি , অনেকেই অধিক ভিজিটর পাওয়ার জন্য যত ক্যাটাগরি আছে সব বিষয়ে লেখা লিখি করেন কিন্তু দিন শেষে ফলাফল শুণ্য । তাই আজ থেকে লেখা লেখি করার ইচ্ছা পুষন করার আগে প্রথমেই আপনি এমন ক্যাটাগরি বেচে নিবেন যে বিষয়ে আপনি খুবই আগ্রহী – অন্যকে বলতে পছন্দ করেন , শুনতে পছন্দ করেন , দেখতে পছন্দ করেন । সফলতা পাওয়ার জন্য সব ভিজিটর দরকার নাই ,আপনি যা মন থেকে পছন্দ করেন সেই বিষয় গুলা লেখে যান । দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার লেখা জনপ্রিয় হতে থাকবে আর ইনকাম আপনার চিন্তা কেও হার মানাবে ।
২. সেই রিলেটেড কিছু আর্টিকেল পড়া ও সেই সাথে প্রয়োজনীয় তথ্য নোট করা
একটি আর্টিকেল তখনই মান সম্মত হয় যখন সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকে । তাই পর্যাপ্ত জ্ঞান প্রাপ্ত হওয়ার একটা মাত্র উপায় তা হল সেই বিষয়ে পড়া , তাই লেখার আগে ঐ বিষয়ে বেশী বেশী পড়ুন প্রয়োজনীয় তথ্য নোট করুন , এবার নিজের মতে করে সেটি লিখুন , ভুলেও অন্যের লেখা কপি করবেন না , সফল মানুষ ভিন্ন কিছু করে না , তারা একি কাজ ভিন্ন ভাবে করে । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
৩.গুগল সার্ভিস দিয়ে কিওয়ার্ড নির্বাচন করা যা সার্চ ইঞ্জিন এ প্রথমে দেখাবে
আপনার মনের মতো শুধু লেখে গেলে হবে না , এই বিষয়ে ভিজিটর কি লেখে সার্চ করে সে বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে । তাই সে বিষয়ে লেখার আগে পর্যাপ্ত কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে , বাছাই করতে হবে এমন কি ওয়ার্ড যেগুলো প্রতিনিয়ত সার্চ ইঞ্জিন এ সার্চ হয় । এবার সেই কিওয়ার্ড গুলোর উপর ভিত্তি করে লেখালেখি শুরু করুন ।
৪.সহজ সুন্দর সংক্ষিপ্ত প্রানবন্ত ও জানার আগ্রহ তৈরি হয় এমন শিরোনাম দেওয়া
কথায় আছে “ আগে হবে দর্শন ধারী পরে হবে গুন বিচারী “ তাই আপনি যতই ভালো লেখেন না কেন শিরোনাম যদি আর্কষনীয় না হয় তাহলে কোন লাভ নেই । লেখার শুরুতে এমন শিরোনাম দিন , আপনার লেখার সাথে সামঞ্জস্য রেখে যা পাঠকের মনে জানার আগ্রহ তৈরি হয় ।
৫.কিওয়ার্ড দিয়ে পাঠকের চাহিদা কিভাবে মিটবে- আর কি কি পাবে সেই বিষয় মেটা ডিসক্রিপশন লেখা
আমরা শুরুতে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে লেখা ভারি করি যার ফরে আর্টিকেলের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায় , তাই শুরুতে এমন ভাবে লেখা উচিত একজন পাঠক যেন তার প্রয়োজনীয় খোরাক এখানে পেয়ে যাবে সেই আশ্বাস দেওয়া
৬.অলটার ট্যাগ, কিওয়ার্ড দিয়ে প্রাসঙ্গিক ইমেজ সেট আপ করা
বেশির ভাগ লেখক ই যে ভুল টা বেশী করি তা হল গুগল থেকে ইমেজ ডাউনলোড করে কোন এডিট বা এস ই ও না করে আপলোড করে দেই যার দারুণ লেখাটি নিম্ন মানের হয়ে যায় । তাই আপনার ডাউনলোড ছবিটি এডিট করুন, যথাযথ ট্যাগ , ডিসক্রিপশন দিন ।
৭.হেডিং অপশন ব্যবহার করে চুম্বক পয়েন্ট গুলো সাজানো সাথে প্রয়োজনীয় তথ্য ইমেজ ও অন্যান্য বিষয় সেট করা
শুধু প্যারাগ্রাফ আকারে লেখলে কখনো কোন মান সম্মত আর্টিকেল হবে না । আপনার সমস্ত ভাবনা কে কতগুলো পয়েন্ট এ সাজাতে হবে এবং প্রতিটা পয়েন্ট ধরে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে । পয়েন্ট গুলা যেন ধারাবাহিকতা বজায় থাকে ।
৮.উপসংহার আমরা কি কি জানলাম তার একটা সামারী নোট -রেফারেন্স দিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু লিংক দিয়ে শেষ করা
শেষ ভালো যার সব ভালো তার , পাঠক কে উপসংহার কি নোট গুলো দিতে হবে সেই সাথে কোন রেফারেন্স থাকলে সেগুলি দিয়ে দেওয়া , উপরে বিষয় গুলা যদি ধাপে ধাপে মেনে চলেন আশা করি আপনার লেখা সবার কাছে গ্রহন যোগ্যতা পাবে ।
আল্লাহ হাফেজ