আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। আজকের পোস্টে আপনাকে স্বাগতম ।
আজ আপনারা জানতে চলেছেন কি খেলে পেটের মেদ কমবে । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের মধ্যে অনেকেরই পেটে মেদ রয়েছে যার কারণে অনেক সুন্দর জামা পড়লেও দেখতে ভালো লাগে না।
এই মেদ কমানোর জন্য অনেকেই ডায়েট শুরু করে দেয় । আধপেট খেয়ে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে । তাই আমাদের জানা দরকার কি কি খেলে আমাদের পেটের মেদও কমবে আর আমাদের আধপেট খেয়ে থাকতে হবে না ।
১.ডিম
আমরা সবাই জানি ডিমে প্রচুর পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় ।তার সাথে ক্যালরিও কম থাকে । ডিম খুবই প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং এটি খেলে আপনার সহজে খিদে পায় না এবং আপনি সহজেই ডায়েট করে পেটের মেদ কমাতে পারেন ।
২.পালং শাক
পালং শাকে অনেক ভিটামিন ও অনেক উপকারী ফাইটোকেমিক্যাল পাওয়া যায় । পালং শাক ওজন কমাতে সাহায্য করে সেই সাথে পেটের মেদ ও কমায় ।তাই সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ডায়েটে পালং শাক রাখুন ।
৩.আপেল
আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, মিনারেল এবং ভিটামিন পাওয়া যায়। যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আপনার পেটের বাড়তি মেদকে দূর করে ।তাই রোজ ১ টা করে আপেল খাওয়া উচিত । রোজ সম্ভব না হলে মাসে অন্তত ১৫ দিন এটি খান ।
৪.গ্রিন টি
গ্রিন টি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। এটি পান করলে ওজন কমে। এছাড়াও অনেক রিসার্চে বলা হয়েছে গ্রিন টি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং মস্তিষ্ককে দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করে। তাই এটি নিয়ম করে রোজ একবার পান করা উচিত।
৫.ফল
ফল আপনার শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে । ফলে থাকা ফ্রুকটোজ খাওয়ার ইচ্ছাকে প্রশমিত করে এবং ফাইবার পেট ভরা রাখে । এজন্য রোজ অন্তত একটি বা দুটি ফল খাওয়া দরকার ।
৬.লেবু পানি
পেটের চর্বি কমাতে সকালে এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে লেবু যাদুকরী কাজ করে। লেবুতে যে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা শরীরের জন্য অনেক ভালো।
৭.রসুন
রসুনও পেটের মেদ দূর করে। আদা এবং রসুন কাঁচা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন এতে শুধু মেদই নয়, সর্দি-কাশি ও নানাধরনের রোগ সেরে যায়।
এছাড়াও অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে এবং অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ বর্জন করতে হবে । ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুড বর্জন করতে হবে । পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। পরিমিত ব্যয়াম করতে হবে। সর্বোপরি নিজে সচেতন হলেই ওজন , পেটের মেদ কমানো সম্ভব হবে।
আজ এ পর্যন্তই।
পরবর্তী পোস্টে নতুন কিছু নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।।