খেজুরের নানান উপকারীতা নিয়ে স্ট্যাটাস

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলেই নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।

আমাদের সকলের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে পরিচিত ফলটি হলো খেজুর।নানান ধরণের গুনসম্পন্ন,ভিটামিন, মিনারেল, ফসফরাসযুক্ত একটি ফল হলো খেজুর।খেজুরের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে আমাদের দেহের জন্য বিদ্যমান প্রায় সকল ধরণের উপাদান। আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রণের প্রায় ১১ ভাগ পূরণ হয়ে থাকে এই খেজুর দ্বারা। তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারছেন আয়রণ আমাদের শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়।তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই খেজুরকে রাখতে পারেন।যেই সকল মানুষ বহুমুত্র রোগে আক্রান্ত তার তাদের শরীরের ভিটামিন,মিনারেল এবং আয়রনের অভাব পূরণ করার জন্য প্রচলিত খেজুরের পরিবর্তে খেতে পারেন শুকনো খেজুর। তা আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হবে।

খেজুরের সঠিক পুষ্টিগূন আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর গুনাগুণ এত্ত বেশি যে খেজুর ছোট বড় সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।খেজুর সাধারণত গ্লাইসেমিক এবং ফ্রুোক্টজ সম্পন্ন একটি খাদ্য উপাদান।তাই এটি শরীরে প্রয়োজনীয় শর্করার অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে।ঠিক এইজন্য খেজুরকে অনেকেউ চিনির বিকল্প হিসেবে খেয়ে থাকেন।খেজুর পুষ্টির এবং শক্তির একটি অন্যতম আধার।আর সেই জন্য খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের মধ্য বিদ্যমান সকল প্রকার ক্লান্তিভাব দূর হয়ে যায় খুব তারাতারি।এছাড়াও খেজুরে বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি যা আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে।প্রতিদিন অন্তত দুটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদানের অভাব পূরণ করে আপনামে নানান ধরণের রোগের হাত থেকে রক্ষা করবে।

এত্তক্ষণ আমরা তাহলে খেজুর এবং তার প্রয়োজনীয় গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পেরেছি।এখন আমি খেজুরের কিছু উপাকারিতার কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আশা করি আপনাদের উপকার হবে।

খেজুরের উপকারীতাঃ
১.খেজুরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে
লিউটেন এবং জেক্সাথিন। যার ফলে নিয়মিয় খেজুর খেলে আমাদের রেটিনা ভালো থাকবে।

২.খেজুরের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে নানান ধরণের খনিজ উপাদান। যার ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে আমাদের হ্রদস্পন্দন ঠিক থাকে।

৩.খেজুরকে পানির সাথে সারারাত ভিজিয়ে সেই পানি সকলে খাওয়ার ফলে কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

৪.খেজুর বিদ্যমান রয়েছে আয়রণ যা আমাদের রক্তশল্পতা রোধে ভূমিকা পালন করে।

৫.খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম।যা আমাদের রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা পালন করে।

৬.খেজুরে বিদ্যমান রয়েছে ফাইবার যা আমদের শরীর ঠিক রাখতে ভূমিকা পালন করে।
৭.খেজুরের মধ্যে বিদ্যামান পুষ্টিউপাদানগুলো আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

তাই নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ধন্যবাদ সবাইকে।সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।

মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন