“রক্তের শর্করার স্বল্পতা” মানে রক্তে চিনির পরিমান কমে যাওয়া।
এটা যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদের আগে থেকে ডায়াবেটিস আছে। কখনো এটা মানুষের জীবনের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। দেখে নিন রক্তের শর্করা স্বল্পতার কারন, লক্ষণ সমূহ এবং জরুরী ভিত্তিতে কি করবেন?
কারন ≈ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমানোর জন্য ট্যাবলেট বা ইনসুলিন দেওয়া হয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ট্যাবলেট খাওয়ার বা ইনসুলিন নেওয়ার ফলে যদি শর্করার পরিমাণ খুব কমে যায় অর্থাৎ ২.৫ মিলি মোলের কম হয় তাহলে শরীরের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এটাকে আমরা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া অর্থাৎ হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলি। তবে অনেকের বেশি দ্রুত শর্করা নামিয়ে আনলে রক্তে বেশি শর্করা থাকলেও এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ – ১. বরাদ্দের চেয়ে খাবার খুব কম হলে বা খেতে ভুলে গেলে। ২. ইনসুলিন নেয়ার পর খুব দেরি করে খাবার খেলে। ৩. হঠাৎ বেশি ব্যায়াম বা দৈহিক পরিশ্রম করলে। ৪. বমি বা পাতলা পায়খানার জন্য শর্করা অন্ত্রনালী থেকে শোষণ না হলে।
লক্ষনসমূহ ≈ ১. অসুস্থ বোধ করা। ২. খুব বেশি খিদে পাওয়া। ৩. বুক ধরফর করা। ৪. বেশি ঘাম হওয়া। ৫. শরীর কাঁপতে থাকা। ৬. শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। ৭. অস্বাভাবিক আচরণ করা। ৮. অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
জরুরী পদক্ষেপ সমূহ ≈ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়া মাত্রই রোগীরা চামচের ৪ থেকে ৮ চামচ গ্লুকোজ বা চিনি এক গ্লাস পানিতে গুলিয়ে খেয়ে নেবেন কিংবা তাকে খাইয়ে দিতে হবে। অথবা মিষ্টিজাতীয় যেকোনো জিনিস (চকলেট) খেতে হবে। রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে মুখে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা না করে গ্লুকোজ ইনজেকশন দিতে হবে বা তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।