আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাইরে বের হওয়া মোটেও নিরাপদ নয় তবুও নানা প্রয়োজনে রিস্ক নিয়ে আমাদের বাইরে বেরোতে হয়। অনেকেই আবার বিপদ জেনেও অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করে। তাদের কারনে প্রয়োজনী ব্যক্তিরাও অনেক সময় নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই করোনার মহামারী মধ্যে এই দের্যোগ পরিস্থিতে মানুষের অযথা ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে পুলিশ প্রসাশন নানা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েও নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা। নানা অজুহাত তৈরি করে মানুষ বাহিরে বের হচ্ছে। অবশেষে যাতে রাস্তায় অযথা ঘোরাঘুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারে সেজন্য অভিনব একটি উপায় বের করেছে পুলিশ।
প্রিয় পাঠক,তো কি সেই অভিনব পন্থা চলুন জেনে নেওয়া যাক।
করোনা ভাইরাসের কারনে সংক্রামনের ঝুঁকি এড়াতে,জনসমাগম নিয়ন্ত্রন রাখতে রাস্তা-ঘাটে চলাফেরার জন্য পুলিশ চাকরে করতে যাচ্ছে বিশেষ “পাশ”।
যাদের বাইরে যাওয়া খুবি দরকার,বাইরে না গেলেই নয় তাদের জন্য পুলিশ ব্যবস্থা করেছে “মুভমেন্ট পাশ”। এজন্য তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়েব সাইট ব্যবস্থা করেছে। পথচারীরা পুলিশের এই পাশের অনুমতি পেলেই নিদ্ধিধায় বাহিরে বেরোতে পারবে। তবে সবাই এই পাশ পাবেনা। পুলিশ যাচাই-বাচাই করে সঠিক প্রমান পেলেই এই অনুমতি মিলবে। শুধুমাত্র যাদের জরুরি প্রয়োজন এবং জরুরী সেবার নিয়োজিত ব্যক্তিদের এই “পাশ দেওয়া হবে।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে,আইসিটি উইংয়ের সমন্বয়ে এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তারা। খুব শীঘ্রই এই কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মুদি দোকানে কেনাকাটা,ব্যবসা বানিজ্য,কাঁচাবাজার,চাকরি,চিকিৎসা,পণ্য পরিবহন,ত্রাণ বিতরন,মৃতদেহ দাফনসহ কিছু পেশা শ্রেনী মানুষদের এই পাশ দেওয়া হবে। কিন্তু ছোটখাটো বিষয়ে যাদের বাইরে যাওয়া দরকার তাদের এই সুবিধা মিলবে না্। তবে অন্যান্য ক্যাটাগরির মানুষের পাশ দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করে পাশ দেওয়া হবে।
জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় কোথাও বের হলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলে এই “মুভমেন্ট পাশ”দেখালে তার তথ্য নিশ্চিত করে কনো হয়রানির ছাড়া তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।
এই কার্যক্রম এখনো ডেমো পর্যায়ে রয়েছে,তবে অতি শীঘ্রই চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আপনাদের যদি কনো বিপদে সম্মুখীন হন,যদি বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরে যাওয়া লাগে তবে এই সাইটে গিয়ে আপনারা পুলিশের কাছে আবেদন করতে পারেন(https://movementpass.police.gov.bd/)
এখানে আবেদন করার জন্য আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড,জন্ম নিবন্ধন,ড্রাইভিং লাইসেন্স,পাসপোর্ট ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে।