Realme কোম্পানি গত ২০ এ ফেব্রুয়ারিতে একটা স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে যার নাম “Realme C3″।এর সব কিছুই জানা গেছে এতদিনে। আমি সিফাত আজকে আপনাদেরকে ” Realme C3″ এর সম্পূর্ণ রিভিউ দিব,তো দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক ।
ডিজাইন
একে সামমের দিকে রক্ষা করছে “Gorilla Glass 3” এবং পেছনে প্লাস্টিক দেওয়া হয়েছে যা পলিকানবোনেট ডিজাইন করা হয়েছে এর উপরে । মূল্যত কম দামের জন্য প্লাস্টিক দেওয়া হয়েছে, তবে উপরের বাম দিকে সূর্যের আলোর মত ডিজাইন দেওয়া হয়েছে যা দেখতে অসাধারণ। এখানে নানা রকম ক্লার দেওয়া হয়েছে যা থেকে আপনি আপনার মনের মত ক্লার বেছে নিতে পারবেন। তাছাড়াও এর ডিজাইন দেখতে অসাধারণ যা একবার তাকলে আর চোখ ফেরানো যাবে না। আমার মতে এর ডিজাইনে একে ১০ এ ৬.৫ দেওয়া যায়। তবে ফোনটি হাতে নিলে পিছলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেলই চলে।
ডিসপ্লে
এতে ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে ” আইপিএস ডিসপ্লে” যার আকার হচ্ছে 6.5 ইঞ্চি এবং এর রিফ্রেশ রেড দেওয়া হয়েছে 90 হার্জ, তবে সেটিং এ গিয়ে মনের মত বা কম হার্জ সেট করা যায় কি না তা আমি জানি না । এই ডিসপ্লেতে যেকোন ভিডিও 720p তে দেখা যাবে। এখানে আছে একটি ক্যামেরা যা ডিসপ্লের মাঝখানে ওয়াটার ড্রপ নচ আকারে রাখা হয়েছে। এখানে আউট ড্রোরের সরাসরি সূর্যের অলোর মধ্যে দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে 280 নিডস। তবে এতে এত নিডস দেওয়া হয় নি আমার মনে হয়,তবে দেওয়ার পরেও ভালো মত দেখা যায় না, আমি যতটুকু জেনেছি।
প্রসেসর
এতে ব্যাবহার করা হয়েছে”Mediatek Helio G70″। এটি একটি ১২ নেনমিটারের প্রসেসর। এই প্রসেসর দিয়ে যেকোনো গেম মাখনের মতো চলবে। পাবজির মত বড় সাইজের গেম চালাতে কোন সমস্যা হবে না। এতে রয়েছে মোট ৮ টি কোর।
১ম ২টি কোরের স্পিড হচ্ছে 2.0 গিগাহার্জ যা “Cortex-A75” বেস করে চলবে।
পরের ৬টি কোরের স্পিড হচ্ছে 1.7 গিগাহার্জ যা “Cortex-A55” বেস করে চলবে।
এখানে জিপিউ হিসেবে থাকছে “Mali-G52 2EEMC2” যা বেশ ভালো একটি জিপিউ।
এই প্রসেসরের বেঞ্চস্কোর হচ্ছে ১,৩৭,০০০(দে
এই প্রসেসর দিয়ে লং-টাইম গেমিং করলে এর তাপমাত্রা বেড়ে ৪৫° সে. এ চলে যায়।
এর র্যাম মেনেজিং দেখে আমি সত্যই অনেক অবাক হয়েছি কারন এটি একসাথে অনেকগুলা এপ মেনেজিং করতে পারে।
র্যাম রম
এখানে রম হিসেব থাকবে ২/৩/৪ জিবি এবং র্যাম হিসেবে থাকবে ৩২/৬৪ জিবি। তাছাড়াও এখানে এসডি কার্ডের ব্যবহার করা সুবিধা আছে যা সর্বচ্চ ১২৮ জিবি পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন আমার মনে হয়।
ক্যামেরা
এখানে ক্যামেরা হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন কোয়াড্র রিয়ার ক্যামেরা। যার মেইন ক্যামেরা 12 মেগাপিক্সেল এবং এর এফফারচার হচ্ছে 1.8 । এখানে পাচ্ছেন ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাকরো লেন্স যার এফফারচার হচ্ছে 2.4 (বা 2.3 হতে পারে কারণ আমি ঠিক মত জানি না) । তাছাড়াও পাচ্ছেন একটি ২ মেগাপিক্সেলের ডেল স্নেসর যার এফফারচার হচ্ছে 2.4 । পর্যপ্ত আলো থাকলে ক্যামেরার ছবির কওয়ালেটি অসাধারণ হয় তবে লাইট কম থাকলে ছবিটা একটু খারাপ হয়ে যায় তবে চালিয়ে নেওয়ার মত। আর ক্যামেরা বেশি ক্ষন চালালে ফোন গরম হয়ে যায় না এর কারণ হচ্ছে ক্যামেরার মেফাপিক্সেল । এর মেইন ক্যামেরা দিয়ে আপনি 1080p তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। তবে এখানে থাকছে না কোন অপ্টিকাল ইমেজ ইস্টেবালাইজ। তবে হাতে শক্ত করে ধরলে মোটামুটি ভালো মানের ভিডিও পাওয়া যায়।
সেলফি ক্যামেরা
এখানে সেলফি ক্যামেরাতে পেয়ে যাচ্ছেন একটি যার মেগাপিক্সেল হচ্ছে 5 এবং এফফারচার হচ্ছে 2.4
এই ক্যামেরা দিয়ে বেশ ভালোই ছবি তোলা যায় যদি ভালো আলো থাকে তাহলে। আর এটা দিয়ে ১০৮০ পি তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। আর থাকছে না কোন অপ্টিকাল ইমেজ ইস্টেবালাইজ।
ব্যাটারি
তে ব্যাবহার করা হয়েছে 5000 এমএইচ ব্যাটারি যা দিয়ে এই ফোন আরাম চেয়ে দিন রাত চলে যাবে। তবে আমার মনে হয় রাত শেষে সামান্য একটু চার্জ দিতে হবে। তাছাড়াও একটানা গেম প্লেইং করলে এভারেজে ৫-৬/৬.৫ ঘন্টা পাড় করে দেওয়া যাবে আর শুধু শোসাল মিডিয়া চালালে দিন রাত নরমালি চলে এবং সকালে কিছুটা চার্জ বাকি থাকবে।
চার্জিং
এই ফোনের বক্সের সাথে দেওয়া হয়েছে 10 ওয়াড্রের চার্জার যা ব্যবহার করে ফোনটি ২.৫ ঘন্টায় সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে । তবে আমার মনে হয় যে এটি তার চেয়ে খানিকটা দেরি হবে।
স্নেসর
এখানে সব ধরনের প্রয়োজনীয় স্নেসর আছে। তবে সব চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এখানে 3.5 এমএম অডিও জ্যাক আছে। এখানে চার্জিং প্রোট দেওয়া হয়েছে “টাইপ-সি”। তাছাড়াও এখানে রয়েছে পিংজার প্রিন্ট যা পিছে/পাওয়ার বাটনে/ইন-ডিসপ্লে আছে।
দাম
এর দাম ধরা হয়েছে বাংলাদেশী টাকায় ১১,৯৯০
তবে এর দাম যদি আর সামান্য কিছু কম রাখা হত তাহলে মনে হয় ভালো হত।
আর আপনি এই ফোন কেনার কথা ভাবেন তাহলে কেনার পর যেকোন এপ নামাবেন না কারন এতে ভবিষ্যৎ আপনার ফোনটি অভার হিটিনের সমস্যায় পড়তে হবে।
ধন্যবাদ। কমেন্ট করে জানান যে কেমন লাগলো আপনার এই ফোনটি। আর কিছু দিনের মধ্যে আরেকটি ফোনের রিভিউ আসছে তাই পাশে থাকুন।
[বিবেষ কথা]
আপনারা যদি ইন্ডিয়ান ভারসনটা কিনেন তাহলে আপনারা 4500 এমএইচ ব্যাটারি পাবেন আর ক্যামেরাতে ২টা ক্যামেরা পাবেন। (ডেপ ক্যামেরা বাদে) আর সেলফি ক্যামেরা পাবেন 10/15 মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। আর থাকছে কোন পিংগার প্রিন্ট।