বিশ্বকাপের আগে-পরে দুটো ধাক্কা খেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। জিদানের হঠাৎ বিদায় আর বিশ্বকাপের শেষ দিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে পাড়ি দেওয়ার পর হঠাৎ করেই দল সাজানোর চিন্তা করতে হচ্ছে রিয়ালকে। রোনালদোর এমন বিদায়কে অনেকে মুহূর্তের ভাবনা মনে করেছিলেন। তবে পর্তুগিজ অধিনায়কের দাবি, ছোটবেলা থেকেই জুভেন্টাসে খেলার কথা ভেবেছেন তিনি। এ মৌসুমের সবচেয়ে বড় দলবদল মৌসুমের শুরুতেই সেরে ফেলেছে জুভেন্টাস। ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে গত দুই বছরের সেরা ফুটবলারকে দলে টেনেছে তারা। ফুটবলীয় দিক ছাড়াও আর্থিক দিক থেকেও এই দলবদলে লাভবান হচ্ছে জুভেন্টাস। তবে রোনালদোও কম খুশি নন। একে তো এক ধাক্কায় বছরে ১০ মিলিয়ন ইউরো বেশি বেতন পাবেন, তার ওপর জুভেন্টাস যে তাঁর শৈশবের প্রিয় ক্লাব। জুভেন্টাস টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি দারুণ বোধ করছি, সবকিছুই দুর্দান্ত। আমি আসলেই খুব খুশি ও আনন্দিত। এটা অসাধারণ এক ক্লাব এবং ছোটবেলা থেকেই এ ক্লাবের দিকে আমার নজর ছিল। এবং একদিন এ ক্লাবে খেলার আশা করেছি।’ রিয়ালের মতো ক্লাব ছেড়ে জুভেন্টাসে আসার কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন রোনালদো, ‘এটা দুর্দান্ত এক ক্লাব। বিশ্বের অন্যতম বড় এক ক্লাব। ইতালিতে তো সবচেয়ে বড় ক্লাব জুভেন্টাস এবং বিশ্বেরই অন্যতম সেরা ক্লাব।’ রোনালদোকে দলে টেনে ইউরোপিয়ান এক দুঃখ ভুলতে চাচ্ছে জুভেন্টাস। প্রায় দুই যুগ হয়ে যাচ্ছে, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারছে না তুরিনের এই ক্লাব। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন রোনালদো এসে ভাগ্য বদলাবেন, এমনটাই আশা জুভেন্টাসের। চ্যাম্পিয়নস লিগেরই এক মুহূর্ত রোনালদোকে জুভেন্টাসে নিয়েছে বলে ভাবছেন অনেকে। ২০১৭-১৮ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জুভেন্টাসের মাঠে জোড়া গোল করেছিলেন রোনালদো। এর মাঝে দ্বিতীয় গোলটি ছিল অবিশ্বাস্য। নিজেকে সম্পূর্ণ শূন্যে ভাসিয়ে নিখুঁত এক বাইসাইকেল কিক নিয়েছিলেন রোনালদো। সে গোল দেখে মুগ্ধ হয়েছিল প্রতিপক্ষ জুভেন্টাসের দর্শক। একটু আগেও দুয়ো দিতে থাকা স্বাগতিক দলের সমর্থকেরা উঠে দাঁড়িয়ে তালি দিয়েছেন রোনালদোর উদ্দেশে। এমন ভালোবাসাই নাকি রোনালদোকে জুভেন্টাসে টেনে এনেছে। রোনালদো এখনো সে মুহূর্তকে লালন করছেন বুকে। তবে ওই মুহূর্তই যে একমাত্র প্রভাবক ছিল না, সেটাও বলেছেন, ‘এটা আমার ক্ষেত্রে কখনো ঘটেনি (প্রতিপক্ষের ভালোবাসা)। সে মুহূর্ত থেকে এ ক্লাবকে আরও বেশি ভালোবেসেছি। এমন ছোট ছোট ঘটনাই বড় সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে। আমি বলছি না এটাই মূল প্রভাব রেখেছে কিন্তু এটা সাহায্য করেছে।’ নতুন ক্লাবের হয়ে রোনালদোকে দেখা যাবে ১৮ আগস্ট। কিয়েভোর মাঠেই জুভেন্টাস অভিষেক হবে তাঁর।
ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের আগমন ও জয়যাত্রা
খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ কার না থাকে? আর সেটা যদি হয় ফুটবল তবে তো কোনো কথাই নেই। ফুটবল আমাদের দেশের সবচেয়ে...