–মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি কি পেলাম এই পাওয়া না পাওয়ার পৃথিবী থেকে?যতবার ই জীবনের হিসাব মিলাতে যাই ততোবারই যোগ ফল শূন্য আসে।বই খাতা থেকে যতটা শিখেছি,তার থেকে ও বেশি শিখেছি এই পৃথিবীর মানুষ গুলোর কাছ থেকে।
সত্যিই এই পৃথিবীটা বড়ই আজব।তার চেয়ে ও বেশি আজব পৃথিবীর মানুষ গুলো।নিজের প্রয়োজনে এরা মানুষের কাছে,তাদের কাজ শেষ হয়ে গেলে, না চেনার ভান করে চলে যায়।বুকে হাজারো কষ্ট আর ব্যথা নিয়ে বলতে হয় দেখো আমি কত ভালো আছি।কিন্তু সত্যিই কি আমি ভালো আছি?জোর গলায় বলতে ইচ্ছে করে আমি ভালো নেই,এই পৃথিবীর মানুষ গুলো আমাকে ভালো থাকতে দেয় নি।কিন্তু পারি না কারন আমি জানি কেউ আমার কষ্টের ভাগিদার হবে না।জীবন টা আমার নিজের।তাই আমার জীবনের কষ্ট অন্য কেউ নিবে না।আমার জীবনের দায়িত্ব আমার নিজেকেই নিতে হবে।
মাঝে মাঝে পুরনো দিন গুলোর কথা খুব মনে হয়।কতই না সুন্দর ছিলো সেই দিন গুলো।বুঝতাম না জীবনের মানে কি।কিন্তু এখন বুঝতে পারছি জীবনটা যতটা সহজ ভেবেছি,আসলে ততোটা সহজ নয়।জীবনটা এক মহা যুদ্ধের কারখানা।এ যুদ্ধে যে জয়ী হতে পারে।সেই ই জীবনটাকে উপভোগ করতে পারে।যখন একা ছিলাম তখন কত না ভালো ছিলাম।যেই নিজেট জীবনের সাথে কাউকে জড়িয়ে নিলাম।তখন থেকেই নিজের ভালো থাকাটা হারিয়ে ফেলেছি।একটা মানুষ ততক্ষণই ভালো থাকে,যতক্ষন তার ভালো থাকার দায়িত্বটা নিজের কাছে থাকে।যখনই সেই ভালো থাকা দায়িত্বটা অন্যের কাছে চলে যায়।তখনই আর চাইলে ও ভালো থাকা যায় না।শুধু ভালো থাকার অভিনয় করে যেতে হয়।
অতীতের কিছু ভুল মনে হলে,নিজেকে নিজেই বলি কেনো করলাম এমন ভুল।যার জন্য আমি এতো কিছু করলাম।সে তো আজ খুব ভালোই আছে।তাহলে আমি কেনো আজো পড়ে আছি পুরনো স্মৃতি গুলো নিয়ে।ইচ্ছে করে নিজেকে বদলে ফেলি কিন্ত পারি না।পুরনো স্মৃতি গুলো আমাকে আকড়ে ধরে রাখে।মাঝে মাঝে মনে হয় যেই মানুষগুলো ভালো থাকার জন্য আমাকে ছেড়ে চলে গেছে,সেই মানুষ গুলো কি সত্যিই ভালো আছে?কখনো কি নিজের ভুল গুলো বুঝতে পারবে না?হয়তো কোনো একদিন বুঝতে পারবে,কিন্ত সেদিন আমি নামক মানুষটা আর থাকবো না।মাঝে মাঝে ভাবি কখনো যদি সেই পুরনো ভালো থাকার দিন গুলো ফিরে পেতাম,সেই মানুষ গুলোকে ফিরে পেতাম তাহলে কখনো তাদের হারিয়ে যেতে দিতাম না।জীবনের সবটুকু দিয়ে হলে ও তাদেরকে আগলে রাখার চেষ্টা করতাম।