সত্য কথা বলতে হবে সত্য পথে চলতে হবে – আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আজকে আমি আপনাদের বলতে যাচ্ছি কেন সবসময় সত্যি কথা বলবেন ও সৎ পথে চলার উপকারিতা। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
সূচনাঃ সত্য মানবজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গুণ। একজন ব্যক্তির সুচরিত্রবান ও ভালো মানুষ হওয়ার জন্য সত্য কথা বলা একটি অপরিহার্য বিষয়।
সত্য কেন বলা উচিত? সত্য কথা বলতে হবে সত্য পথে চলতে হবে
আমরা সবাই জানি সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়, শান্তির পথে নিয়ে যায়। আর মিথ্যা সমাজে সমস্যার সৃষ্টি করে ও মানুষের নৈতিকতাকে নষ্ট করে দেয়। এ পৃথিবীর সকল ধর্মই সত্য কথা বলতে তার অনুসারীদের উপদেশ / আদেশ দেয় ও মিথ্যা বর্জন করতে বলে ও মিথ্যা থেকে দূরে থাকতে বলে। ইসলাম ধর্ম অনুসারে মিথ্যা কথা বলা হলো মহাপাপ।
মানুষকে জান্নাত বা বেহেস্তের দিকে ধাবিত করে সত্য কথা আবার অপর দিকে মিথ্যা মানুষকে জাহান্নাম ও ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে। শুধু যে ধর্ম তা কিন্তু নয়। সত্য কথা বললে মানুষজন আপনাকে বিশ্বাস করা শুরু করবে৷ সকলে আপনাকে সম্মান করবে ও ভালোবাসবে।
আপনি সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হবেন। অপরদিন আপনি যদি সর্বদা মিথ্যা কথা বলেন তাহলে সমাজের কোনো মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করবে না, সম্মান বা ভালোবাসবে না। আপনি যদি সত্যি কথাও বলে থাকেন তবুও তাদের মনের মধ্যে সন্দেহ থাকবে যে হয়ত আপনি মিথ্যা কথা বলেছেন।
তাছাড়া মিথ্যা কথা মানুষের জীবনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। ধরেন আপনি একজনকে একটি মিথ্যা কথা বললেন। তারপর সেই মিথ্যা কথাকে টিকিয়ে রাখার জন্য আপনাকে আরও দশ বা একশো জনকে মিথ্যা কথাটা বলতে হবে। অর্থ্যাৎ একটি মিথ্যা কথা শুরু করার মাধ্যমে আরও দশটি মিথ্যা কথা বলতে হচ্ছে।
যদিও আপনি যতই মিথ্যা কথা বলেন না কেন একসময় না একসময় সত্যিটি বের হয়ে আসবেই এটিই পৃথিবীর নিয়ম। তো মিথ্যা কথা বলে কোনো লাভ নেই শুধু শুধু পাপের বোঝা ভারি করা ও মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে ওঠা বাদে আর কিছুই হয়না। তো আমরা মিথ্যা বাদ দিয়ে সর্বদা সত্যি কথা বলব তা আমরা যে অবস্থাতেই থাকি না কেন।
সৎ পথে চলার কয়েকটি উপকারিতা:
সৎ পথে চলার কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যক উপকারিতা নেইম এর উপকারিতা অনেক। এর মধ্যে কয়েকটি নিচে দেওয়া হলোঃ
১. সকলে শ্রদ্ধা করেঃ সৎ পথে চলা একজন ব্যক্তিকে সমাজের সকল মানুষ সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। যেহেতু সর্বদা ভালো কাজ করে ও সর্বদা সত্য কথা বলে তাই সকলেই তাকে বিশ্বাস করেন। একসময় সে সমাজের একজন অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ব্যক্তিতে পরিণত হয়।
২. ধর্মঃ আমি আগেও বলেছি সকল ধর্মই মানুষকে সৎ হতে বলে। ইসলামও মানুষকে সৎ হতে বলে। সৎ ব্যক্তি যে শুধু পৃথিবীতেই ভালোবাস, সম্মান পায় তা কিন্তু নয় আল্লাহ তায়ালাও সৎ ব্যক্তিদের ভালোবাসেন ও তিনি তাদের উপর সন্তুষ্ট। ইহকাল ও পরকাল উভয় দুনিয়াতেই তাদের জন্য রয়েছে পুরষ্কার। মৃত্যুর পর সৎ ব্যক্তিরা যাবেন জান্নাতে ও যারা সৎ নন তারা যাবে জাহান্নামে।
আল্লাহ তায়াল কুরআন মজিদে বলেন, “এই সেই দিন যেদিন সত্যবাদিগণ তাদের সত্যতার জন্য উপকৃত হবে, তাদের জন্য আছে জান্নাত যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে; আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট; এটা মহাসফলতা।” (সূরা মায়িদা, আয়াত : ১১৯)
৩. কাউকে বা কোনা কিছুর ভয় নেইঃ যারা সৎ পথে চলেন তাদের কাউকে বা কোনো কিছুকে ভয় করার কোনো কারণ নেই কারণ তারা সর্বদা ভালো কাজ করে ও কোনোদিনও কারো ক্ষতি করেনা। অপরদিকে যারা সৎ পথে চলেনা সর্বদা খারাপ কাজ করে। তাদের মধ্যে প্রায়শই একটা ভয় কাজ করে। যে তাদের আসল চেহারা বের হয়ে আসবে। তাদের কর্মের জন্য তারা শাস্তি পাবে ইত্যাদি।
তো আজকের জন্য এতটুকুই “সত্য কথা বলতে হবে সত্য পথে চলতে হবে”। আবার কয়েকদিন পর আপনাদের সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হব। ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই কামনায় আজকের জন্য বিদায় জানাচ্ছি। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন।