আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন আল্লাহর অশেষ রহমতে। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। তাই আজ আবার আপনাদের কাছে উপস্থিত হলাম। সাধারণত আমরা নানা রকম ছোট বড় অসুখে ভুগে থাকি। সামান্য অসুস্থতার জন্য আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিই না বা ঔষুধ ও খেতে চায় না।আমরা চাইলে ঘরোয়া কিছু উপকরণের সাহায্যে রোগ কমিয়ে বা সারিয়ে তুলতে পারি।আমি এই বিষয়ে যতটুকু জানি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।আর ভুল হলে ক্ষমা করবেন। ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজ আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল কথায় আসি।
নিচে বিভিন্ন রোগের ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ-
১.সর্দির ঘরোয়া প্রতিকারঃ-
#লেবুর রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।তাই সর্দির সময় লেবু পানি পান করতে পারেন।
#রসুনের রস ঠান্ডায় রুঢতা কমতে সাহায্য করে।
#পেঁয়াজ এর রস ও বেশ উপকারী।
#আর বেশি বেশি পানি পান করা উচিত। কম পক্ষে ৬-৮ গ্লাস।
২.কাশির ঘরোয়া প্রতিকারঃ-
#লবন মিশিয়ে কয়েক গ্লাস গরম পানি পান করলে কাশি বন্ধ হয়ে যাবে।
# শুকনো কাশির জন্য তুলসি পাতা আর আদা বেশ উপকারী।এগুলো চিবিয়ে বা গরম পানির সাথে মিশিয়ে ও খেতে পারেন।
#কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও কাশি কমে যায়।
#আঙ্গুর খান। নিয়মিত আঙ্গুর খেলে মারাত্মক কাশি ও ভালো হয়ে যায়।
#গরম পানির ভাপ নাক দিয়ে টেনে নিলে আরাম বোধ করবেন।
৩.জ্বর ফোস্কার ঘরোয়া প্রতিকারঃ-
# পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান।এতে ফোস্কা তাড়াতাড়ি ভালো হয়।
# যখন ফোস্কা হয় বাদাম ও চকলেট খাওয়া উচিত না।
#ক্ষতিগ্রসথ জায়গায় বরফ লাগালে আরাম পাওয়া যায়।প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
বুক জ্বালা পোড়ার ঘরোয়া প্রতিকারঃ-
#কলা খেতে পারেন। এটা শরীরে প্রাকৃতিক অ্যানটাসিড হিসেবে কাজ করে।
#আদা বুক জ্বালা পোড়া কমতে সাহায্য করে। এটি খাঁচা ও খেতে পারেন আবার চা হিসেবে ও খেতে পারেন।
#এক চা চামচ বেকিং সোডা এক কাপ পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতে আপনি খুব তাড়াতাড়ি আরাম অনুভব করবেন।
৪.সাধারন জ্বরের ঘরোয়া প্রতিকারঃ-
#কমলা লেবু,জাম্বুরা খেতে পারেন। এগুলো আপনার শরীরকে অযাচিত সংক্রামনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
#এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। এটা ভালো কাজ করে।
৫.গলা ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকারঃ-
#গরম পানিতে লবন মিশিয়ে একটি গ্লাসে নিয়ে গার্গেল করতে পারেন।
#গরম চা বা কপি পান করলে কিছু সময়ের জন্য আরাম অনুভব করবেন।
#গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
উপরের এই নিয়ম অনুসরণ করলে আশা করি উপকৃত হবেন। আজ এতটুকুই। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন,নিরাপদে থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।