ওমান টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভরাডুবির পর এবার দেশের মাটিতে হয়ে গেল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট সিরিজ এবং দেশের মাটিতেও বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের ভরাডুবি নিয়ে অসন্তুস্ট কোটি ক্রিকেট অনুরাগী ও ভক্তরা।
আন্তজার্তিক ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বাংলাদেশের এই হারের পর গনমাধ্যমে ব্যপক সমালোচনা করেছে। গেল নভেম্বর ১৯, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিম বনাম পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট টিমের মধ্যকার প্রথম টি-টুয়েন্টি খেলা উদযাপন করা হয় রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ ক্রিকিট টিম হার দিয়ে শুরু করে। বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ছিল ২০ ওভারে ১২৭/৭ উইকেট যা পাকিস্তান ক্রিকেট দর খুব সহজেই সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১৯.২ ওভারে ১৩২/৬ রান। পাকিস্তান দল ৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায়।
পরের দিন ২০ নভেম্বর, ২য় টি-টুয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্টিত হয় এবং সেই ম্যাচে বাংলাদেশ দল ব্যাটে দ্বারিয়ে ২০ ওভারে ১০৮/৭ রান। পরবর্তীতে পাকিস্তান ব্যাটে দ্বারিয়ে ১৮.১ ওভারে ১০৯/২ রান। পাকিস্তান ১১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচটিতে বিজয় গ্রহণ করে। ২২ নভেম্বর, ৩য় টি-টুয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ব্যাটে দ্বারিয়ে ২০ ওভারে ১২৪/৭ রান এবং পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল ১৯.২ ওভারে ১২৭/৫ রান। পাকিস্তান ম্যাচে ৫ উইকেটে বিজয় লাভ করে। সবকটি ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্থানের সাথে পরাজয়ের স্বাদ গ্রহন করে। টেস্ট ম্যাচ দু’টোতেও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্থানের সাথে পরাজিত হয়।
সিরিজ শেষে আন্তজার্তিক ক্রিকেট বিশ্লেষক বোর্ড/কমিটি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে তুমুল সমালোচনা করে। ব্যাটিং ও বলিং বাজে করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিম একটি ম্যাচেও বিজয়ের স্বাদ গ্রহন করতে পারেনি। পাকিস্থানের সাথে এই পরাজয় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য খুবই অশুভ বলে ধারণা করেছে ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা। এছাড়াও কোটি ক্রিকেট প্রেমী ও ভক্তরা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই দুরদশা দেখে খুবই হতাশাবোধ করেছে। ভক্তদের আশা ছিল যে পাকিস্তান কখনো দেশের মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটদলের সাথে বিজয় অর্জন করতে পারবে না।
তবে সবকটি ম্যাচে পরাজয়ের বিষয়টি কোটি কোটি ভক্তরা শক্ত মনে মেনে নিতে পারে নাই। ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা বলেছে যে পাকিস্থানের সাথে এই বড় ব্যবধানে পরাজয়ের পর আন্তজার্তিক ক্রিকেট রাংকিং থেকে পেঁছনে পড়ার আসংখ্যা বেড়ে গেছে। এজন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ব্যাটিং ও বলিং উন্নয়নে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডর্কে (বিসিবি) জরুরী বৈঠকের মাধ্যমে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভক্তরা এখনও আশাবাদী যে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটের মান উন্নয়ন করে বাংলাদেশের সুনাম পুনরায় ফিরিয়ে আনবেন।
সূত্র: প্রথম আলো