সালাম দেওয়ার আদব
সালাম দেওয়ার আদব
ইসলাম ধর্মে সালাম দেওয়াকে সুন্নত আর এর উত্তর দেওয়াকে ওয়াজিব হিসেবে গন্য করা হয়েছে । এই সলামের দ্বারা আমরা একে অপরের মঙ্গল কামনা করে থাকি । কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমরা এখন আর সালাম দেয়না । পাশ্চাত্যের লোকদের মতো হাই হেলো বলে থাকি ,যার কোনো উপকার নেই ।
আমরা যদি একে অপরের সাক্ষাতে সালাম দেয় তাহলে যে সালাম দেয় সে ৩০ নেকি আর যে উত্তর দিবে সে পাবে ১০ নেকি ।
আর সালাম দেওয়া কি কষ্টের? না ,এতে কোনো কষ্ট নাই । এই সালাম দেওয়ার ফলে আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন হয় । এতো গেলো এর উপকারের কথা ,গুরুত্বের কথা।
এবার আমরা এর যে সঠিক নিয়ম আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো । এখানে আমি হাদীস উল্লেখ করবোনা জাস্ট সোজা সরল একটা নিয়ম তুলে ধরার চেষ্টা করবো ।
সালাম কে কাকে দিবে ? এর উত্তরে এর নিয়ম রয়েছে-
বসে থাকা লোক কে দাড়িয়ে থাকা বা চলন্ত লোক বা হেটে যাওয়া লোক কে সালাম দিবে। ছোটরা বড়কে সালাম দিবে । কিন্তু রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুদের কে সালাম দিতেন , তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য ।
এলাকার সম্মানিত লোকদের কে সালাম দিবে , তবে যে কেউ যে কাউকে সালাম দিবে ,এতে কোনো সমস্যা নাই ।
তবে তবে মহিলাদের কে সালাম দেওয়া কি যাবে? আপনাদের কি মনে হয় । মহিলাদের সালাম দেওয়া যাবে যদি ফিৎনা ফাসাদের আশংকা না থাকে তাহলে । মহিলারা ও একে অপরকে , কিংবা কোনো পুরুষ কে সালাম দিতে পারবে ।
যখন কোনো অনুষ্ঠানের শুরু করা হয় তখন সালাম দিবেন আর বক্তব্য শেষেও চলে আসার সময় ও সালাম দিবেন ।
তবে তবে অমুসলিম দেরকে কি সালাম দেওয়া যাবে ?
মোটেই না , অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া জাবে না । কোথাও আমি দেখেছি দেওয়া যাবে তবে সেখানে একটু কিছু যোগ করে বলতে হবে । তবে তাদের সালাম না দেওয়ায় ভালো । আমি তো বলবো দেওয়ার দরকার নাই।
এই ছিলো আমার আলোচনা, আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে ।
আস সালামু আলাইকুম । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আরো কোনো বিষয় যদি আপনার জানা থাকে তাহলে কমেন্ট করুন , একটা মানুষের ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক ।