মানুষের জীবনে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। কিছু স্মৃতি মনকে হাঁসায়, কিছু স্মৃতি মনকে কাঁদায়। আমার অনেক স্মৃতি বর্তমানকে ভুলে দিয়ে অতীতকে আরো জীবন্ত করে তোলে। ভালো লাগে যখন ফেলে আসা অতীতের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে।
আমাদের জীবনটা খুব ছোট্ট। জীবনটা তিনটা অংশ: শৈশব,যৈবন ও বার্ধক্য। এই ছোট্ট জীবনে ভালো মন্দ নানা স্মৃতি রয়ে যায়। জীবনের স্মৃতির পাতায় যে অধ্যায়টি আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হল আমার শৈশব কালের স্কুল জীবন। যদিও এই স্কুল জীবন পার করে এসেছি আজ থেকে আরো ১০ বছর আগে।
শিশুকালে স্কুল জীবনের স্মৃতি আমার জীবনের অর্ধেক জায়গা জুড়ে রয়েছে। যে স্মৃতি গুলো কখনো ভোলার নয়। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা হয় আহ্, শৈশবের সেই সোনালী দিনগুলো যদি আবার ফিরে পেতাম। আমার ছোটবেলার স্কুল জীবনের দিনগুলোর কথা মনে পরলে আবার বাচ্চা হতে ইচ্ছে হয়,কেন বড় হলাম।
আমার আজো মনে পড়ে, প্রাথমিক বিদ্যালয় পেরিয়ে যখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। সেখানে এসে দেখতে পেলাম এক অচেনা জগৎ,যে জগৎকে আমি এখনো খুঁজি। আমি সব সময় বড়দের সম্মান করে চলি এই নীতি শিক্ষা আমি বাবা মায়ের কাছ থেকে পেয়েছি।
তাই আমার এই নীতি শিক্ষা খুব অল্প সময়ের মধ্যে সবার কাছে প্রিয় করে তোলে। তাছাড়া ক্লাশে ছিলাম আমি সবচেয়ে ছোট। এ কারণে ক্লাশে বন্ধু-বান্ধবী,শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই আমাকে স্নেহ করতো। তাদের আদর এবং ভালোবাসায় আমার স্কুল জীবন আনন্দের সাথে মেতে উঠল।
আমি ছোট বলেই সবাই আমার সাথে মজা করতো, টিটকারী তারতো, আমাকে জড়িয়ে ধরলো। স্কুল জীবনের প্রত্যেকটা হৈচৈ, বিনোদন, আনন্দের সাথে কেটে যেতো। একদিন আমার জ্বর হলেছিল। মা বললেন,বাবা সোনা আজকে স্কুলে যাবি না, তোমার শরীর ভালো না। আমি মাকে মিনতি করে বললাম,মা আমি স্কুলে যেতে পারবো। সামান্য জ্বর কিচ্ছু হবেনা, এমনিতেই সেরে যাবে। কিন্তু মা যেতে দেয়নি। শরীর থেকে মনটা খুব খারাপ ছিল সেদিন। সারাদিন বন্ধুদের কথা মনে পড়ে ছিল। স্কুল ছুটি পেলেই ভালো দৌড় দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তাম নদীর ধারে। সাঁতার কাটতাম, লুকোচুরি খেলতাম।
আজ আর সেদিন নেই। সেই দিনগুলো আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সেটা কখনও হবেনা। সময় খুব নিষ্ঠুর। সময়ের স্রোত কখনো অতীতের দিনগুলো ফিরিয়ে দেবেনা।হাই স্কুল জীবনের সেই স্মৃতিগুলো বুকে জড়িয়ে বেঁচে থাকতে হবে ।