ইদানিংকালে স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ | এখন যেন বয়স মানছে না স্ট্রোক| খুব অল্প বয়সী ছেলেমেয়েও শিকার হচ্ছে স্ট্রোকের |
স্ট্রোকের কয়েকটি কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিকস, অনিয়ন্ত্রিত হার্টবিট এছাড়াও বার্ধক্যকেও স্ট্রোকের কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে যদিও এখন বার্ধককে উপনীত হবার আগেই অনেকেই স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন | যাদের এই সমস্যাগুলো আছে তাদের উচিত সবসময় সতর্ক থাকা |
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় কেউ স্ট্রোক করলে রোগীর আত্মীয়স্বজন বুঝে উঠতে পারেন না আসলেই ব্যক্তিটি স্ট্রোক করেছেন কিনা | সেটি বুঝতে বুঝতে এবং ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হতেই দেখা যায় অনেক সময় নিয়ে নেন | যার কারণে রোগীর অবস্থা আরো খারাপের দিকে চলে যেতে পারে | তাই যখনই আমরা বুঝবো আমাদের আশে পাশে থাকা কোনো ব্যক্তি স্ট্রোক করেছেন তখনই প্রাথমিকভাবে কিছু স্টেপ নেয়া উচিত | আর সব থেকে বড় কথা আপনি কিভাবে বুঝবেন যে ব্যক্তিটি স্ট্রোক করেছে কিনা যদি এমন হয় যে অনেক্ষন ধরেই প্রচন্ড মাথা ব্যথার সাথে বমি হচ্ছে কিংবা কোনো ব্যক্তি বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে অথবা শরীরের কোনো এক পাশ অবশ হয়ে গিয়েছে অথবা পেশাব পায়খানা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা তাহলে বুঝবেন ব্যক্তিটি স্ট্রোক করেছে | এইসব উপসর্গ দেখা মাত্র সতর্ক হয়ে যেতে হবে| অনেকসময় স্ট্রোক করলে রোগীর কথাবার্তা মুখে জড়িয়ে যায়|
এই সমস্ত উপসর্গ দেখা মাত্র ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন তবে ডাক্তার আসতে দেরি হলে প্রাথমিক চিকৎিসাটি ঘরেই করুন | রোগীর জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশ্রামের ব্যবস্থা করুন তবে বেশি নাড়াচাড়া করবেন না কারণ এতে মাথার রক্তক্ষরণ যে কোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে |বাসায় যেই সুচগুলো দিয়ে আমরা সেলাই করি ওই সুচগুলো সামান্য পরিমান গরম করে হাতের ১০টি আঙুলের মাথায় ছিদ্র করুন এতে রক্ত বের হয়ে গেলে দেখবেন আক্রান্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে| যদি রোগীর মুখের কোনো এক পাশ বেঁকে যায় কান মেসেজ করতে থাকুন যত্তক্ষন না তার কান লাল হয়ে যায় এবং রোগীর দুই কানে দুইটা ফুটো করে দিতে হবে যেন দুই ফোটা রক্ত বের হয় | তাহলেই ধীরে ধীরে রোগীর মুখ বিকৃতি ঠিক হয়ে আসছে |
আশা করি পোস্টটি অনেকের কাজে লাগবে |