স্বয়ংক্রিয় ভ্যালেট পার্কিং সুবিধা নিয়ে আসলো মার্সিডিজ গাড়ি

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই বিস্ময়কর সময়ে আমাদের জীবনকে আমরা প্রতিনিয়ত সহজ থেকে সহজতর করার প্রচেষ্টায় রয়েছি। প্রতিনিয়ত নতুন কে পুরাতন করে ফেলা হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ এখন বর্তমানে পা দিয়েছে।

বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অবদান এই সকল ক্ষেত্রে নজিরবিহীন। আর এই ক্ষেত্রে যানবাহন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পূর্বে যানবাহন শুধুমাত্র যাতায়াত এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে যানবাহনের কাজ শুধুমাত্র এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। গাড়ি বর্তমানে মানুষের নিকট একটি অতি আকাঙ্ক্ষার বস্তু হিসেবে বিবেচিত।

গাড়ির অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে কয়েক শতক ধরে। এই সময়ের মধ্যেই এটি মানুষের নিকট একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং পছন্দনীয় হয়ে উঠেছে। এই সকল গাড়ির ও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড। আমাদের সকলের পছন্দ একই রকম নয় এর জন্য আমরা সবাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি পছন্দ করে থাকি।

কিন্তু শুধুমাত্র নামের জন্য কি আমাদের গাড়ি পছন্দ হয়? মোটেই না। আমরা সবসময় মাথায় রাখি আমাদের চাহিদার কথা। যে গাড়িটি আপনার চাহিদা অনুযায়ী আপনাকে সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম হবে অবশ্যই সেটি আপনি পছন্দ করবেন।

এ কারণে গ্রাহকদের মন জয় করার জন্য বড় বড় গাড়ির কোম্পানিগুলো তাদের গাড়িকে আরও বেশি আকর্ষণীয় এবং উপভোগ্য করে তুলেছে। আর এই কাজটি করা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক টেকনোলজির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার ফলে।

আমাদের নিকট বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি খুবই পরিচিত। তাদের মধ্যে রয়েছে-টয়োটা, ফোর্ড, মার্সিডিজ, বি এম ডব্লিউ, পোরশে, অডি ইত্যাদি। প্রত্যেক গাড়ির ব্র্যান্ডগুলো তাদের ক্লাস মেইনটেইন রেখে গাড়ি তৈরি করে থাকে। একই ব্র্যান্ডের গাড়ির কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন ক্লাসের গাড়ি থাকে। এর ধারাবাহিকতা শুরু হয় S ক্লাস হতে C ক্লাস পর্যন্ত।

যাই হোক গাড়ির এই ফ্লাশ ভেদে দামের এবং ফিচার-এর পার্থক্যটাও হয় আকাশ-পাতাল। প্রতিনিয়ত গাড়ি চালানো কে আরও সহজ এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য গাড়ির কোম্পানিগুলো নিত্য নতুন ফিচার তাদের গাড়িগুলোতে এড করে বাজারে লঞ্চ করে থাকে।

বর্তমান সময়ে মার্সিডিজ তাদের তৈরি গাড়িগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তাদের গাড়িতে সংযুক্ত করেছে স্বয়ংক্রিয় ভ্যালেট পার্কিং সুবিধা।

স্বয়ংক্রিয় ভ্যালেট পার্কিং কি?

অটোমেটিক গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন সংযোজন হতে চলেছে। আমরা অটোমেটিক গাড়ি সম্পর্কে সবাই কমবেশি অবহিত কিন্তু স্বয়ংক্রিয় ভ্যালেট পার্কিং অথবা অটোমেটিক ভ্যালেট পার্কিং গাড়িতে যুক্ত করা সম্ভব তা একদিন আগেও আমাদের নিকট চিন্তা ভাবনার বাইরে ছিল।

কিন্তু বর্তমান সময় এবং টেকনোলজির এই যুগে ভিডিও তৈরি করা এবং বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে। এই টেকনোলজি ব্যবহার করে আপনার গাড়ি অটোমেটিক্যালি পার্কিং লটে পার্ক হবে কোন প্রকার ড্রাইভার এর সাহায্য ছাড়াই। শুনতে অবাক মনে হলেও এটি বাস্তব। মার্সিডিজ তাদের গাড়িতে এই ফিচারটি সংযুক্ত করেছে। এটি মূলত কাজ করবে গাড়িতে থাকা অ্যাপ এবং পার্কিং লটে ব্যবহার করা কিছু অত্যাধুনিক ক্যামেরার মাধ্যমে।

পার্কিং লটে নামার পর আপনার গাড়িটি তার নিজস্ব অ্যাপ ব্যবহার করে এবং পার্কিং লটে থাকা বাহ্যিক বোশ সেন্সরযুক্ত ক্যামেরা ব্যবহার করে অটোমেটিক্যালি আপনার গাড়িটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে পার্ক করাতে সক্ষম হবে। বর্তমানে স্টুটগার্ট এয়ারপোর্ট এর মধ্যে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। মার্সিডিজ কোম্পানির কিছু S ক্লাস গাড়ি ব্যবহার করে এই সুবিধা গ্রহণ করা সক্ষম হবে আপাতত। খুব শীঘ্রই হয়তো আরো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়িতে এই সুবিধা আমরা দেখতে সক্ষম হব।

Related Posts

37 Comments

মন্তব্য করুন