যান্ত্রিক যুগে পৃথিবীর দ্রুতগতিতে বদলে যাচ্ছে, চোখের পলকে অনেক কিছুই বদলে গেছে এবং ইদানিং বদলে যাচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আচার-ব্যবহার খাওয়া-দাওয়া শুরু করে চালচলন সব কিছুই দিনবদলের ছোঁয়া লেগেছে।
আগামী দিনগুলোতেও পৃথিবীর মানুষ আরো কত যে বদলাবে তার অনুমান করা আমার সম্ভব হবে না। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের স্বার্থপরতা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে। মানুষ যতই উন্নত শিক্ষিত হচ্ছে ততই স্বার্থপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা খুব গর্ব করে বলি, আমরাই সৃষ্টির সেরা জীব, আমরা বীরের জাতি।
কিন্তু আজকাল আমি এই কথা মুখে আনতে পারি না,কেন জানি নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়।
আমার ভাবতে খুব অবাক লাগে, যখন দেখি বড় লোকের সাথে ধনী লোকের এত দূরত্ব। যখন দেখি কোনো এক ভি আই পি লোক এক ভিক্ষুককে ধাক্কা মেরে চলে যাচ্ছে অথচ সেই ভিক্ষুকটি তার জীবনের সমস্ত সঞ্চিত অর্থ অসহায় গরীব মানুষের কাছে দান করে দিয়েছে।
নিজেকে মানুষ ভাবতে আজকাল খুবি ঘৃনা হয় আমার। আমরা খুব ধার্মিক। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী। আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, জীবন চলার পথে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা অসুস্থতা মৃত্যু হবেই। জীবনের সব হিসাব-নিকাশ একদিন বিধাতার কাছে দিতে হবে।
কিন্তু আমরা স্বার্থপর মানুষেররা এ কথা বারবার ভুলে যায়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু ইসলাম স্পষ্ট করে বলেছেন, হে মানুষ তথ্য পেয়েছেন বিচারের দিন সকল কাজের হিসাব দিতে হবে অতএব সাবধান হও!
মানুষের হিসেবেই আপনি পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছেন, এইতো কয়েক দিন বাঁচবেন তারপর আবার এই মায়াবী পৃথিবী থেকে বিদায় নিবেন। তাইতো বলি, কিসের এত অহংকার! কিসের এত স্বার্থপরতা!
আগেকার দিনের আমাদের দাদা দাদী পূর্ব পুরুষেরা তাদের মধ্যে এত স্বার্থপরতা ছিল না। সবার সাথে একটা সাম্প্রতিক বন্ধন ছিল।
কিন্তু তখনকার পৃথিবী আর এখানকার পৃথিবী আর মিল নেই। এই যান্ত্রিক জীবনে অনেক প্রশ্নের ভিড়ে প্রতিনিয়ত আমরা নিজেকে হারিয়ে ফেলি,স্বার্থপরতা আমাদের তাড়া করে বেড়ায়।