★হ্যা আমরা নার্স…
আমরা চার বছরের কঠোর পরিশ্রম করে ডিগ্রি অর্জন করে ও,কিছু ছানি পড়া শিক্ষিত মানুষের চোখে আমরা অশিক্ষিত।
শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও আমরা ভুলে যাই,আমরা কতটুকু শিক্ষিত।এতো ডিগ্রি অর্জন করে ও আমরা রাতের পর রাত মানুষের সেবা করি যাই।মহান আল্লাহ তাআলার রহমতে আপনাদের আপন মানুষ গুলোকে আমরা ভালো করে তুলি।তারপরে ও কিছু লোককে বলতে শুনি নার্সরা আসলে ভালো না।ওরা অশিক্ষিত।যারা বুয়েট চুয়েট পড়েন তাদেরকে বলি,কি হবে এতো শিক্ষা দিয়ে, যে শিক্ষা মানব সেবায় কাজে লাগাতে না পারেন?
হ্যা আমরা নার্সরা অশিক্ষিত। আর আমরা অশিক্ষিত বলেই আমরা আজ সেকেন্ড ক্লাস অফিসার।দিন রাত সেবা করে যখন আমরা একটা মানুষকে সুস্থ করে তুলি,যখন ওরা মাথায় হাত দিয়ে বলে আল্লাহ তোমার ভালো করুক।তখন মনের অজান্তেই চোখের কোনে দুফোটা জল চলে আসে।আর কয়টা পেশায় এমন হয়।যেটা আমাদের নার্সিং পেশায় হয়।তার পরে ও কিছু লোককে নার্সিং পেশাকে ছোট করে কথা বলতে দেখেছি।সেই মানুষদেরকে বলি যদি নার্সিং পেশা ছোট ই হতো,তাহলে বই পুস্তকে নার্সিংকে নোবেল প্রফেশন বলা হতো না।সেকেন্ড ক্লাস অফিসার বানানো হতো না।
এতো এতো শিক্ষা অর্জন করে,একজন নার্সকে নার্স হতে হয়।কিন্তু তার পরে ও তারা অশিক্ষিত গেয়ো।তাদের ব্যবহার ভালো না।কিন্তু এই নার্সরাই একটা সময় সেবা মায়া মমতা দিয়ে একটা মানুষকে সুস্থ করে তুলে। সমাজের আট দশটা মানুষের মতো আমাদের ও তো পরিবার আছে আমাদের ও তো সংসার আছে।কিন্তু তার পরে ও আমরা আমাদের সংসার ফেলে বাচ্চা ফেলে রাতের পর রাত রোগীদের পাশে কাটিয়ে দেই।তাদেরকে সুস্থ করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করি।
আমরা নার্স,আমরা নার্স বলেই নিজের খাওয়া দাওয়া সব কিছু বাদ দিয়ে,আগে রোগীদের সেবা করি।আমরা নার্স কিন্ত আমরা ও তো মানুষ আমাদের ও তো কষ্ট হয়,আমাদেরই তো চোখে জল আসে।কঠোর পরিশ্রম করে ও যখন চোখের সামনে দেখতে হয় লাশ।তখন কিন্তু আমরা হাউমাউ করে কান্না করতে পারি না।কারন আমরা যে নার্স।যখন একজন মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলি,তখন আমরা অহংকার করে বলি না।কারন অসুস্থ মানুষকে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলাই আমাদের ধর্ম।তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ কোনো পেশাকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।কাউকে সম্মান করতে না পারুন,অন্ততপক্ষে তাকে অসম্মান করবেন না।কারো মনে কষ্ট দিয়ে কোনো কথা বলার অধিকার আপনার নাই।