গেম খেলতে আমরা সবাই পছন্দ করি। পিসি গেম সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম, একবার খেলতে বসলে সময় যে কোন দিক দিয়ে যায় তা টেরও পাওয়া যায় না। তবে সব ভিডিও গেমসই কিন্তু খেলার যোগ্য নয়। এমন সব ভয়ানক রক্তারক্তি কাণ্ডের গেমস রয়েছে যেগুলো মানুষদেরকে মারাত্মকভাবে ভয় পাইয়ে দেয়। বিশ্বজুড়ে এমন অনেক গেম রয়েছে যেগুলো অতিরিক্ত ভায়োলেন্ট হওয়ার জন্য ব্যান করে দেয়া হয়েছে। আজ আপনাদের এমনই ৫টি গেমের কথা বলবো যে গেম গুলো বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সম্পূর্ণ ব্যান করে দেয়া হয়েছে।
Manhunt 2
আমরা রকস্টার গেমের ভিডিও গেমস প্রায় সবাই খেলেছি। ভাইস সিটি, স্যানেন্ডাসের মতো বিখ্যাত গেমস গুলো রকস্টার গেমসেরই অবদান। তবে রকস্টার প্রোডাকশনের গেমস গুলো খুব বেশি ডায়লগ ও রক্তারক্তি কাণ্ডের হয়ে থাকে। ম্যানহান্ট ২ গেমসটি তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। এই গেমে খুন খারাবি এতো ভয়াবহ ভাবে উপাস্থাপন করা হয়েছে যে গেমসটি ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়ার পর সাউথ কোরিয়া, কুয়েত, নিউজিল্যান্ড এবং সৌদি আরবে এই গেমসটি ব্যান করে দেওয়া হয়।
Grand Theft Auto GTA
জিটিএ গেমস গুলো অনেকের প্রথম পছন্দের নাম। কিন্তু সত্যি বলতে এই গেমস গুলো অনেক বেশি ভায়োলেন্ট ও সেক্সচুয়াল কন্টেন্ট নিয়ে তৈরি করা। আর এই গেমের প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য হলো কথায় কথায় মারামারি ও রক্তারক্তি। থাইল্যান্ডের একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর একজন যাত্রী সেই ট্যাক্সি ড্রাইভারকে জিটিএ স্টাইলে মেরে হত্যা করে ফেলে। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে জিটিএ গেমস থেকে ইন্সপায়ারড হওয়ার কথা বলে। এরকম কথা শুনে সাথে সাথে থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, সৌদি আরব, জাপান এবং ব্রাজিলে জিটিএ গেমস গুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়।
Standoff
২০১৮ সালে রাশিয়ান এই গেমসটি রিলিজ হয়। কিন্তু গেমটি সুনামের চেয়ে বেশি বদনামের ভাগীদার হয়। এই গেমে যখন কাউকে মারা হয় তখন সেই মারা যাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়, এবং সেই মৃত্যু কষ্টে কাতরানোর দৃশ্য গুলো এতটাই বাস্তব যে, আপনি তাকিয়ে দেখতে পারবেন না। তাই এই গেম ব্যান করার জন্য রাশিয়ার স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রিরা উঠেপড়ে লাগে। এজন্য পরবর্তীতে এই গেমসটি ব্যান করে দেওয়া হয়।
Postal 2
এটি একটি ভীষণ অদ্ভুত গেম। এই গেমটিতে মৃত্যু নিয়ে হাসি তামাশা করা হয়েছে। মৃত্যু, নারী নির্যাতন সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তামাশা করা হয়েছে এই গেমসটিতে। অতিরিক্ত ভায়োলেন্সের জন্য এই গেমটি নিষিদ্ধ করা হয়।
Hatred
২০১৫ সালে এই গেমটি মুক্তি পায়। কিন্তু ২০১৪ সালে গেমটির ট্রেইলার মুক্তির পরেই এই গেমটি অনেক বেশি নেগেটিভ রিভিউ পায়। গেমটিতে কোনো কারণ ছাড়ায় অনেক খুনাখুনি দেখানো হয়েছে। এই গেমের মূল মিশন হচ্ছে যতবেশি মানুষ খুন করা যায়, আর এটাই হচ্ছে এই গেমের একমাত্র উদ্দেশ্য। গেমটিতে কোনো ধরনের গল্প নেই, নেই কোনো কাহিনী। এজন্য বর্তমানে এই গেমটিও নিষিদ্ধ রয়েছে।