আসসালামু আলাইকুম!!
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটা টপিক নিয়ে হাজির হলাম। আশাকরি ভালো লাগনে এবং কিছুটা হলেও উপকরে আসবে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার মূল টপিক নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আজকের আলোচনার টপিক হলো অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া। তরুণ বয়সে পাকা চুল অনেক বিব্রতকর একটি ব্যাপার। অল্প বয়সে চুল পাকার ফলে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করেন। বন্ধুবান্ধবদের কাছে ঠাট্টার পাত্র হতে হয়। যার ফলে নিজের প্রতি নিজেরই একটা হীনমনোভাব সৃষ্টি হয়। অল্প বয়সে চুল পেকে যায় বর্তমান যুগের একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তো যাই হোক আজ আমি আপনাদের মাঝে অকাল চুল পাকার কারণ ও তার প্রতিকার নিয়ে যথাসম্ভব আলোচনা করবো।
নানান কারণে অল্প বয়সে চুলে পাক ধরে থাকে।সাধারণত মাথার ত্বকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাবে অকালে চুল পাকা শুরু হয়।এছারাও আরোও কিছু আনুষঙ্গিক কারণ থাকতে পারে।
যেমনঃ-
১. বংশগত কারণ।রক্তের সম্পর্কে রয়েছে এমন আত্মীয় স্বজনদের অল্প বয়সে চুল পাকার ইতিহাস থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেরোও এ সমস্যা হতে পারে।
২. হরমোনের অভাবে অকাল চুল পাকা দেখা দিতে পারে। রক্তে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কমে গেলে এ সমস্যা দেখা দেয়।
৩. মানসিক অবসাদ, মানসিক চাপ, কষ্ট, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি কারণে ও অল্প বয়সে চুল পাকতে পারে।
৪. ভিটামিনের অভাবে ও অকাল চুল পাকার সমস্যা দেখা দেয়। ফোলেট, ভিটামিন বি–১২, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-D এর অভাবে অকালে চুল পেকে যায়।
৫. অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করার ফলো এবং কি চুলে অতিরিক্ত মাত্রায় ডাই ও রং বা কলপ ব্যবহার করলেও চুল অকালে পাকে যেতে পারে।
চলুন এবার আলোচনা করা যাক অকাল চুল পাকার প্রতিকার সম্পর্কে।
প্রতিকারঃ-১. মানসিক সজীবতা, প্রফুল্লতা এবং চিন্তা মুক্ত থাকলে এই সমস্যা থেকে সিংহভাগ পরিত্রাণ পাওয়া যায় । তাই সবসময় নিজেকে প্রফুল্ল ও চিন্তা মুক্ত ভাবে হাসি খুশিতে মাতিয়ে রাখতে হবে। ইতিবাচক চিন্তা, সৃজনশীল কাজ, ভালো বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে হবে। মানসিক প্রশান্তি জোগায়, মন ভালো রাখে ও মানসিক চাপ কমাতে হবে।
২. টাটকা সবুজ ফল, শাকসবজি নিয়মিত খেতে হবে। সবুজ–হলুদ ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে।যা অকালে চুল পাকা থেকে বিরত রাখে।
৩. নিয়মিত প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে।
৪. নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে। চুল পরিষ্কার করতে হবে।
এছাড়াও অকাল চুল পাকা সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।বর্তমানে চুল পাকা সমস্যার অনেক কার্যকরী চিকিৎসা ও ঔষধ বাজারে এসেছে।তবুও আমি অকালে চুল পাকা সমস্যা সমাধানের কিছু ঘরোয়া টিপস নিয়ে আলোচা করছি। আশা করি কিছুটা হলেও উপকারে আসবে।
অকালে চুল পাকা সমস্যা সমাধানের ঘরোয়া টিপসঃ-
১. আমলকি ও লেবুর রসঃ- অকাল চুল পাকা সমস্যা সমাধানের জন্য আমলকির গুঁড়া এবং সমপরিমান লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ভালোভাবে মাথার ত্বকে মালিশ করুন। তারপর এক-দেঁড় ঘন্টা পরে ভালো ভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
২. কাঁচা পেঁয়াজের রসঃ- গোসল করতে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজের রস বা পেঁয়াজ বাটা সামার পানির সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে উত্তম ভাবে ম্যাসেজ করুন। ১/২ ঘন্টা পর শুঁকিয়ে গেলে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।
৩. গাজরের রসঃ- গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। যা অকাল চুল পাকা সমস্যা সমাধানের কার্যকর। তাই এ সমস্যা হতে পরিত্রাণের জন্য প্রতিদিন ১ গ্লাস করে গাজরের রস পান করুন।
৪. তিল এবং বাদাম তেলঃ- তিলের বীজ গুঁড়ো এবং বাদাম তেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। এই পেস্ট মাথার চামড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উত্তম ফলাফল পেতে উপরোক্ত যেকোনো একটি টিপস টানা বেশ কয়েকদিন ব্যবহার করুন।
আল্লাহ হাফেজ।।