অলাইন রেডিও জকি বা আরজে হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু গুন থাকতে হয় । সেগুলো নিয়েই আলোচনা করা হচ্ছে এইবার । তবে রেডিও জকি হওয়ার জন্য বিভিন্ন পারিবারিক যে বাধ্য বাধকতা বাধ সাথে সেগুলোর আলোকে গাল্পিক ভঙ্গতে উপাস্থাপন করা হচ্ছে সেকাল এবং এইকালের অভিভাবক রীতি।
পাঁচ বছর আগে
চমৎকার একটি বিকেলে । কিন্তু অয়নের মনটা ভার । পড়ার টেবিলে বসে আছে সে ।চোখ বইয়ের পাতায় । কিন্তু মনটা অন্য কোথাও । আজ তার স্কুলের বন্ধুরা সবাই মিলে বাংলাদেশ বেতারের অফিসে গিয়েছে।টিনেএজদের অংশগ্রহনে এই অনুষ্ঠানটিতে উপস্থাপক হবার কথা অয়নের । কারন সুন্দর করে কথা বলতে পারে অয়ন তা সবাই জানে । সবই ঠিকঠাক । বাধ সাধলেন মা । এসব করলে নাকি পরাশোনার তালগাছে উঠে যায়। কিছুতেই মা অয়নকে যেতে দিলেন না । শুধু তাই নয় পুরো বিকেল জুড়ে মা বসেছিলেন অয়নের সামনে । অয়নের মনটা কেঁদে উঠল । কাতর চোখে মায়ের দিকে তাকাল । তার চোখ যেন বলছে, আমি পড়াশোনায় একটুও অমনযোগী হব না। বিশ্বাস করো । আমাকে যেতে দাও ।
বর্তমান সময়
অ্যাই তুষার ! আজ না তোর ইন্টারভিউ । ওঠ ওঠ ! মা , তুষারকে ঠেলে উঠিয়ে দিল ঘুম থেকে। তোষার মাএ ভর্তি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে । কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি রেডিও স্টেশনে একটি জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে আসে। এর মাঝে ইন্টাভিউ এর জন্য ফোন আসে তার । মা তো অনেক খুশি । তার ছেলের কন্ঠ শোনা যাবে রেডিওতে , ভাবতেই মনটা ভরে যাচ্ছে তার । তুষার মা সব সময় চেয়েছেন তার সত্নারনরা পড়ালেখার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা করুক। তাই আজ তুষারের চাইতে মা অনেক বেশি আগ্রহী তার সন্তানকে পরিপাটি করতে তৈরি করিয়ে দেওয়া জন্য ।
সেই সময় আর এইসময় মধ্যে এই ধরনের পার্থক্য মোটামুটি সবার জানা। এইতো বছর দশেক আগেও হতো বাবা মা স্বপ্ন দেখতেন ছেলে মেয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিলিয়ার , আর্মি অফিসার বা শিক্ষক বানাবার । খুব বেশি ব্যতিক্রম হলে ভাবতেন সন্তান্দের পাইলট করার স্বপ্ন দেখতেন।
কিন্তু আজ যুগ বলদেছে, দিন পালটে গেছে, সময়ের হাত ধরে প্রজন্মের গতি বেড়েছে কয়েকগুন, আজকাল বাবা-মায়েরা চান যান্তিক জীবন নয়, ছেলেমেয়ে বেছে নিক স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন জীবন । তাই বর্তমান বাবা মায়েরা চান ছেলেমেয়েরা ক্যায়িয়ার গড়ুক সেইখানে , যেখাএ সে পাবে পরিচিত, সম্মান সম্মানী সবই। মার উৎসাহ থাকে অনেক বেশি । আর বর্তমানে রেডিওর যুগ ফিরে আসার বাবা-মা ত বটেই ,তরুন প্রজন্মের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে রেডিওনির্ভর ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন।
অনলাইন রেডিওতে ক্যারিয়ার
অনেকই ভাবেন , রেডিওত শুধু সারাদিন বকবক শোনার মেশিন । এর মধ্যমে ক্যারিয়ার। অনেকই হয়তো জানেন না রেডিওকে ঘিরে হতে পারে ক্যারিয়ার চমৎকার অঙ্গন। একটি রেডিও স্টেশন চলাতে প্রয়োজন আরজে, প্রোগ্রাম প্রডিউসার, অফিস এক্সিকিউটভ, প্রোগ্রাম প্রোযোজক , টেকনিশিয়াল , কম্পিউটার এক্সপার্ট কিছু কিছু ক্ষেত্তে নিউজ রিপোর্টার , নিউজ প্রেজেন্টার ,আউট ব্রডাকস্টারসহ নানা সহায়ক ব্যাক্তি বা কর্মীবাহিনী । আসুন তরুনদল জেনে নেই বিভিন্ন ভাবে রেডিওতে ক্যারিয়ার গড়ার পহ্না
আরজে বা রেডিও জকি
তরুন্দের জন্য এখন রেডিও জকি বা আরজে হওয়া ক্রেইজ হয়ে দাড়িয়েছে । রেডিও টেডির রাত বারেটার শো রাতভর গান এ নীরবের কন্ঠ বা রেডিও ফর্তির সকালের আয়জন হ্যালো ঢাকা আরজে অপুর শুনে শুনে নিজের কন্ঠস্বর শোনার জন্য অনেক তরুন তরুনী ব্যাকুল এখন।
আরজে হবার জন্য চাই স্বতস্ফূর্তভাবে কথা বলতে পারার গুন। কথার পিঠে কথা সাজিয়ে বলাই এখনকার শিল্প । এই শিল্পেকে যে ফোটাতে পারবে সেই হতে পারবে খ্যাতমান আরজে ।সেই সাথে চাই সুন্দর বাচনভঙ্গি কথা বলার স্বতস্ফূর্তভাবে আনার জন্য আপনি আবৃতি কর্মশালা ,বিতর্ক চর্চা করতে পারবেন । কিন্তু সবচেয়ে ভালো হয় যদি বন্ধুদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিতে পারেন । কারন জকিরা তো একধরনের আড্ডাই দেন শ্রোতাদের সাথে । তারপর দৃঢ চেতনার সাথে আপনি চলে যান যেকোন রেডিও স্টেশনে জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে ।