সালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি এমন একটি পোস্ট যার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন অপারেটিং সিস্টেম কি এবং এর কিছু কাজ সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন এর প্রকারভেদ সম্পর্কিত কিছু টিপস। তো চলুন শুরু করি।
প্রথমে জানবো সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে: সফটওয়্যার প্রধানতঃ দুই প্রকারঃ তথা সিস্টেম সফটওয়্যার ও এপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
সিস্টেম সফটওয়্যার গুলোকে আবার কিছু ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে যেমন: অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার, ইউটিলিটি সফটওয়্যার, ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক সফটওয়্যার, এবং গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সফটওয়্যার।
আবার এখানে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলো কে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে যেমন:- প্যাকেজ সফটওয়্যার, কাস্টমাইজড সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সফটওয়্যার ।
উপরোক্ত সিস্টেম সফটওয়্যার গুলোর কিছু বর্ণনা করা হলো।
সিস্টেম সফটওয়্যার (system software): কম্পিউটারের হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার কে কার্যকর করার নিমিত্তে ব্যবহৃত সাহায্যকারী প্রোগ্রামসমূহ সিস্টেম সফটওয়্যার বলে। সিস্টেম সফটওয়্যার এর সাহায্যে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কে নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করা যায়। সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারী সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে। সিস্টেম সফটওয়্যার এর সাহায্যে কম্পিউটার পরিচালিত হয়।
সিস্টেম সফটওয়্যার গুলোকে আবার বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায় । যথা:-
অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার(operating system software).
ইউটিলিটি সফটওয়্যার(utility software).
ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক সফটওয়্যার(translator software).
গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সফটওয়্যার(graphical user interface software).
অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার(operating system software):- ইংরেজিতে, operate, শব্দটির আভিধানিক অর্থ পরিচালনা করা এবং, system, শব্দটির আভিধানিক অর্থ পদ্ধতি। সেহেতু, operating system, এর অর্থ দাঁড়ায় পরিচালনা পদ্ধতি বা পরিচালনার পদ্ধতি। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে কম্পিউটার পরিচালনার পদ্ধতি। তাই বলা যায়, কম্পিউটার পরিচালনার জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়, তাকে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার বলে।
একটি কম্পিউটারের সকল ডিভাইসের সংযোগ সফটওয়্যার। অপারেটিং সিস্টেম কেবলমাত্র একটি কম্পিউটারকে কার্যোপযোগী করে করে না বরং একটি কম্পিউটারের ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগসুত্র স্থাপন করে। সংক্ষেপে বলা যায়, বিদ্যুৎ গতিতে যেমন কম্পিউটার চলে না তেমনি অপারেটিং সিস্টেম ব্যতীত কম্পিউটার চালনা করা যায় না। কম্পিউটার চালানোর জন্য উৎপত্তি হয়েছে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম । যথা:-
(i). MS-DOS
(ii). PC-DOS
(iii). Windows 95 / 98 / XP, XP-Service pack-II, III, Vista, Windows-7, 8, 9 ইত্যাদি।
(V). UNIX
(iV). XENIX
(Vi). LINUX প্রভৃতি।
ইউটিলিটি সফটওয়্যার(utility software): কম্পিউটার ব্যবহার সহজতর করা এবং কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার মেরামত করার জন্য যে সকল প্রোগ্রাম ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকেই ইউটিলিটি সফটওয়্যার বলে; যেমন- PC tool, Norton utility, McAfce, PC PC Colin, tool kit, ইত্যাদি।
মাইক্রো কম্পিউটারে ব্যবহৃত ইউটিলিটি প্রোগ্রাম সমূহ;-
Editor
Loader
Monitor / Firmware.
ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক সফটওয়্যার (translator software): কম্পিউটারের প্রোগ্রাম লেখার জন্য যেমন অনেক ভাষার উৎপত্তি হয়েছে, তেমনি উৎপত্তি হয়েছে ট্রান্সলেটর অনুবাদক প্রোগ্রাম এর। কম্পিউটার লো লেভেল, মিড লেভেল, কিংবা হাই লেভেল ভাষা বোঝেনা। কম্পিউটার ভাষা বোঝে তার যান্ত্রিক ভাষা আর কম্পিউটারের মেশিন ভাষা হল 0 এবং 1 এ ্টি্ট্টি্্টি্ট্টি্টি্টি্ট্টি্ এই দুই ডিজিট। সুতরাং, বলা যায় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা কে মেশিন ভাষায় অনুবাদের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে অনুবাদ প্রোগ্রাম বা ট্রান্সলেটর প্রোগ্রাম সফটওয়্যার বলে। তিন ধরনের অনুবাদক প্রোগ্রাম প্রচলিত আছে যেমন:- অ্যাসেম্বলার(Assembler)
কম্পাইলার(Compiler)
ইন্টারপ্রেটার (Interpreter)
গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সফটওয়্যার: চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার সমুহকে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সফটওয়্যার বলে। যেমন-Windows, একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সফটওয়্যার।
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার(Application software): যে প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ তাদের দৈনিন্দন বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ পায়, এসব প্রোগ্রামকে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে। নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রচলিত আছে নির্দিষ্ট এপ্লিকেশন সফটওয়্যার। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরির জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষার উদ্ভব হয়েছে। এসমস্ত প্রোগ্রামিং ভাষার সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারী কোন সফটওয়্যার নির্মাতারা প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করে নিতে পারেন। সুতরাং, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি আবার ব্যবহারিক সফটওয়্যার ও বলা হয়ে থাকে। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কে নিম্নোক্ত তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। যথা:-
প্যাকেজ সফটওয়্যার
কাস্টমাইজড সফটওয়্যার ও
কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ।
আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে আগামী পোস্টে কোন নতুন প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন খোদা হাফেজ।
গ্রাথোর আর্নিং প্রোগ্রাম | পোস্ট লেখালেখি করে খুব সহজেই ইনকাম করুন