‘অলসতা’ কেউই বলতে পারবে না তার জীবনে এই মূহুর্তটা একসময় আসেনি৷ কমবেশি সবারই জীবনে প্রায়ই কমবেশি প্রতি মুহুর্তে অসলতা আমাদের মাঝে আসে। অলসতা এর উপর ভিত্তি করে দুই শ্রেনির মানুষ দেখা যায়। ১. যার অলসতা আসে সে ঐ সময় তার মনের উপর সবকিছু ছেড়ে দেয় ২. অপর ব্যাক্তির জীবনে অসলতা ঠিকই এসেছিলো কিন্তু সে ব্যাক্তি নিজের মনের সিদ্ধান্ত এর উপর সবকিছু ছেড়ে না দিয়ে সে নিজের মাথার উপর সবকিছু ছেরে দিয়েছিলো৷ চলুন এই দুই প্রকার ব্যাক্তি সম্পর্কে কিছু কথা বলা যাক-
প্রথম শ্রেনির ব্যক্তিরা তার মনের উপর সবকিছু ছেড়ে দেয়। উদাহরণ হিসেবে এটা বলা যায়- এখন শীতকাল চলছে। এখন বেশিরভাগ মানুষ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে না৷ যখন তাদের ঘুম ভাঙে তখন তারা বলে আর একটু ঘুমিয়ে নেই এভাবে আর একটু একটু বলতে বলতে কখন যে ১১টা আর ১২ টা বেজে গেছে বুঝায় গেলো না৷ বিশেষ করে যারা সকালে ফজরের নামাজ পড়েন তারা ভালোভাবেই বুঝতে পারেন।
সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন যদি আপনি একবার বলেন এখনো তো নামাজের সময় আছে আর ৫ টা মিনিট ঘুমিয়ে নেই তখন দেখা যায় এই ৫ টা মিনিট কখন যে ১ ঘন্টা হয়ে গেছে বুঝায় গেলো না৷ ঠিক এই ভাবে সকল কাজে আমরা আমাদের মনে চাওয়া কে বেশি প্রাধান্য দেই। এভাবে প্রাধান্য দিতে দিতে কখন যে আমরা আমাদের মনের কন্ট্রোলে চলে গেছি বুঝতেই পারতেছি না। তাই বলি মনের চাওয়া বাদ দিয়ে একবার নিজে নিজের মাথা দিয়ে চিন্তা ভাবনা করে ভেবে দেখুন কি করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন। তাহলেই আপনি সফল হবেন।
অপরদিকে, এক ব্যাক্তি তার মনের চাওয়ার উপর প্রাধান্য না দিয়ে নিজের ব্রেন দিয়ে নিজে ভেবে চিন্তে সব কাজ করে। কখনো যদি তার শরীর তাকে বলে একটু বিশ্রাম নিয়ে নে এখন আমি ক্লান্ত সে বলে এত তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হলে চলবে না। বিশ্রাম করতে হলে এই কাজটা করে বিশ্রাম করবো সেই ব্যাক্তিই হচ্ছে সফল। সব সময় নিজের মনের চাওয়ার উপর প্রাধান্য দেওয়াটা বাদ দিন যেটা করবেব একবার ভেবে চিন্তে করুন।
এমন ও কিছু ব্যাক্তি আছে যাদের অলসতার সীমা নেই। যে কাজটা করতে ১ ঘন্টা লাগবে সে কাজটা তাদের দ্বারা ১০ দিনেও হয়না।তারা এই কাজটা একটু পর করবো বলে রেখে দেয়। তারপর যখন সেই সময়টা আসে তখন সেই সময়টাতে তারা আবার বলে একটু পর কাজটা করবো।
এভাবে বলতে বলতে কখন যে সময় চলে যায় সেটা বোঝার সময় থাকে না৷ এই দলের মানুষদের দ্বারা কোন কাজই শেষ পর্যন্ত হয়না কাজটি তাদের দ্বারা শেষ হলেও বললাম যে ১ ঘন্টার কাজ শেষ করতে ১০ দিন লাগে। এভাবে আর কতদিন বলবে….