বর্তমান যুগে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনারা হয়তো উপরে টাইটেল দেখেই বুঝে গেছেন যে কি বিষয় নিয়ে আমি আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি। আমি আজ আপনাদেরকে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে আপনার কিছুটা হলেও এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্বন্ধে ধারণা পেতে পারেন। তাহলে চলুন মূল পোস্টে ফিরে যাই।
এফিলিয়েট মারকেটিং করতে পারেন যদি আপনার বড় ইউটিউব চ্যানেল আছে বা ব্লগ ও ওয়েবসাইট আছে তাহলে আপনি খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারেন হাজার হাজার টাকা শুধুমাত্র ঘরে বসে।
আমরা অনেক উপায়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি দেখেছি যেমন ধরুন ব্লগ বা ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি আমরা দেখেছি। গুগল এডসেন্স সেগুলোর মধ্যে টাকা ইনকাম করার সেরা উপায়। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা সবচেয়ে লাভজনক এবং ব্লগার দের জন্য খুবই লাভজনক একটি উপায় বলা যায়।
কিন্তু আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে খুব ভালো পরিমাণ একটা টাকা আর্ন করতে চান তাহলে আপনাদের সর্বপ্রথম একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে না হলে কিন্তু আপনি ভালো পরিমানে ইনভেস্ট পাবেন এখান থেকে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি সেটা আমরা এখন জেনে নেই।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে আমরা যে কোন কোম্পানির অনলাইন প্রডাক্ট বাবা অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায় এমন জিনিস নিজের কোন ওয়েবসাইট সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউব চ্যানেলে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে এটি প্রমোট করতে পারি। এবং যখন আপনার লিংক থেকে কোন মানুষ সেই প্রোডাক্টটা কিনবেন অথবা আপনার লিঙ্ক থেকে ওয়েবসাইট থেকে যে কোন একটি জিনিস কিনবে তখন আপনাকে সেই প্রোডাক্টটি বিক্রি করার জন্য কিছু কমিশন দেয়া হবে। এবং এখান থেকে আপনি কত কমিশন পাবেন সেটা আগে থেকে ওই কোম্পানির অনলাইন প্রডাক্ট থেকে ঠিক করে দেওয়া থাকবে। এখন আপনি যে কোন ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট যেমন ডোমেইন-হোষ্টিং থিম অনলাইন বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ওয়েবসাইটে করে তাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। আর এটাই হল এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল কাজ। তারপর আপনি সেই সব দিনের চাইতে থাকা যেকোনো ধরনের জিনিস যেমন মোবাইল টিভি বই ইত্যাদি অন্যান্য সরঞ্জামাদি যেকোনো জিনিস বিক্রি করতে পারবেন। আর এফিলিয়েট এর মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে সেই সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে সাইন আপ বা রেজিস্টার করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করা টাকা আপনি যেকোন ব্যাংক একাউন্টে তুলতে পারবেন।
তাহলে আপনারা হয়তো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন।যদি কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট এর মাধ্যমে এ বিষয়ে জানাতে পারেন আমি আপনাদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে