আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের জানাবো অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কি করবেন।
বর্তমান সময়ে বহুল প্রচলিত সমস্যা অ্যাসিডিটি।কার নেই এই সমস্যা?ছোট-বড় থেকে বৃদ্ধ মানুষেরও রয়েছে এই সমস্যাটি।অনিয়ন্ত্রিত সময়ে খাদ্যাভাস,বেশি ঝাল খাওয়া,দুশ্চিন্তা ও মদ্যপান জাতীয় বদ অভ্যাসের কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।কিন্তু আপনি যদি কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন,তাহলে এটি সহজেই আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে,পাকস্থলীও সুস্হ থাকবে।চলুন দেখে নিই যে যে নিয়মে আপনার অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন-
১।সময় মেনে খাবার খান:আমাদের শরীরের পাকস্হলী প্রতিদিন একই সময়ে এসিড নি:সরণ করে। এটি দিনে ৩-৪ বা এর বেশি বার হয়।এক বেলাতে একবার হয়।তাই প্রতিদিন সকালের নাস্তা,দুপুর ও রাতের খাবার একই সময়ে সাড়ার নিয়ম করুন।এর ফলে খাবার ঐ সময়ে এসিড নি:সরণে খুব ভালোভাবে হজম হয়।কিন্তু একই সময়ে না খেলে খাবার বদহজম হয়,ফলে পাকস্হলীতে অ্যাসিডিট হয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।তাই প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খেতে হবে।
২।হালকা খাবার গ্রহণ করুন:সব সময় ভাজা-পোড়া,বেশি মশলাযুক্ত খাবার,জান্কফুড ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।এর ফলে পাকস্হলীতে অ্যাসিডিটি হয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।অনেকে সব সময় রোজ রোজ বিরিয়ানি,পোলাও ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে।এর ফলে পেটে অ্যাসিডিটি হয়ে নানা ধরনের অসুখ দেখা দেয়।তাই এগুলা মাঝে মাঝে খাওয়া যাবে কিন্তু সব সময় খাওয়া যাবে না।বিশেষ গরুর গোশতে প্রতি আলাদা নজর সবার রয়েছে।কিন্তু এটি বেশি চর্বিযুক্ত হওয়ায় সব সময় খেলে শরীরে চর্বি বাড়ানোর পাশাপাশি কোলেস্টেরলও বাড়ায়,যা ডায়াবেটিস রোগসহ হার্টের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।তাই এটিও সব সময় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।মাঝে মাঝে মশলাযুক্ত খাবারের বদলে সবিজর সু্যপ খেতে হবে।এতে শরীরের স্বাস্হ্য ভালো হবে।এছাড়া অল্প মশলায় মরিচহীন মুরগির গোস্ত রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।এটি শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করে।এছাড়া এর বদলেও সিদ্ধ মুরগির ডিম বা অমলেট খেতে পারেন।এটিও প্রাণীজ প্রোটিন ভালোভাবে মেটায়।চর্বিযুক্ত মাছের বদলে সামুদ্রিক মাছ খান,এতে শরীরে আমিষের পাশাপাশি খনিজও মিলবে যা শরীর সুদৃঢ় করে।
৩।নিয়মিত ব্যায়াম করুন:অনেক তো খাওয়া-দাওয়া হলো,এবার ব্যায়াম করুন।প্রতিদিন সকাল বা বিকাল ছাদে বা বারান্দায় হাটাহাটি,দৌড়াদৌড়ি করতে হবে।এতে শরীরে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শরীর সুস্হ থাকবে।
৪।স্বাস্থ্যকর পানীয় খান:প্রতিদিন দুধ চা,কফির বদলে রং চা,গ্রিন টি খান।এতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মদ্যপান,কোল্ড ড্রিংকস এড়িয়ে চলুন।
বন্ধুরা,আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।