আখরোটের নাম আগে কখনো শুনেছেন?? জানেন কি এর উপকারীতা বিষয়ে??
আখরোট প্রাচীন যুগ থেকে ব্যবহার করে আসা হচ্ছে। মুঘল আমলে বাদশা-বেগমরা এটা খেত তাদের বার্ধক্য দূর করতে।আখরোট প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের ঐতিহ্যর সাথে মিশে আছে।আখরোট প্রচুর পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ। আখরোট খাওয়ার অভ্যাস আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।আখরোট হচ্ছে বাদামের একটা জাত।যা অন্যসব বাদামের মতো পুষ্টিগুণে ভরা।আখরোট স্নেহজাতীয় খাবারের অন্যতম উৎস।এতে প্রচুর গুণাবলি রয়েছে।
আখরোট এর উপকারীতা:
(১)আখরোটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি রয়েছে।যা ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।আখরোট মুখের বলিরেখা ও বার্ধ্যকোর ছাপ দূর করে।
(২)আখরোট হার্ট ভালো রাখে।
(৩)আখরোট খাওয়ার ফলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে।আখরোট মানসিক অস্থিরতা দূর করে।
(৪)আখরোট ওজন কমাতে সাহায্যে করে।এতে রয়েছে ওমেগা৩,ফাইবার যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
(৫)আখরোট চুলের জন্য অনেক উপকারী। আখরোটে রয়েছে বায়োটিন যা চুল সোজা রাখতে সাহায্য করে।প্রতিদিন আখরোট খেলে চুল পড়া কমে এবং চুল আরও ঝলমলে হয়।
(৬) আখরোট রয়েছে ভিটামিন বি,যা সাধারণত চামড়া কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।সুতরাং তারুণ্য ধরে রাখতে আখরোট খান।
(৭)যারা সপ্তাহে প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে আখরোট খান তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
(৮)আখরোটে প্রচুর ফাইবার থাকে।যা আপনার খাবার হজমে এবং পরিপাকে সাহায্য করে।যার ফলে ওজন আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
(৯)আখরোট খারাপ কোলেস্টেরল এর বিরুদ্ধে কাজ করে।সুতরাং আপনার শরীর সঠিক নিয়ন্ত্রণে থাকে।
(১০)শিশুদের জন্য আখরোট খুব গুরুত্বপূর্ণ। যা ফলে শিশুদের মেধামনন বিকশিত হয় এবং শিশুদের ছোট থেকে স্মৃতিশক্তি বাড়তে সাহায্য করে।
(১১)আখরোট রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(১২)আখরোট পুরুষের দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(১৩)আখরোট মহিলাদের আর্কষণীয় শরীর গঠনে সহায়তা করে।
(১৪) আখরোট ত্বকে মসৃণ ও উজ্জল রাখে এবং ত্বক টান টান রাখে।
(১৫)আখরোট স্নেহ জাতীয় হওয়ায় এটা শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখে।
আর দেরি না করে আপনার দৈনন্দিন ডায়েটে আখরোট যোগ করুন।এতে ভিটামিন বি,অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস,ওমেগা৩ রয়েছে।যা দৈনন্দিন গ্রহণের ফলে আপনার শরীর থাকবে ফিট এবং সতেজ।