★ঘৃনা হয় প্রচন্ড পরিমান ঘৃনা হয়,না বলে হুট করে বয়ে যাওয়া অশ্রু গুলোর,প্রতি ঘৃনা হয়।তার কথা ভাবতে ও আমার ঘৃনা হয়।কিন্তু তারপরে ও তাকে না ভেবে থাকতে পারি না।তার মেসেজ গুলো পরে আমার নিজের প্রতি নিজের বড্ড ঘৃনা হয়।কিন্তু তারপরে ও ঐ বেইমানটার মেসেজ গুলো না পরে থাকতে পারি না।যতই তার মেসেজ গুলো পড়তে থাকি,ততোই অশ্রু আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে।কষ্ট নামক জিনিসটা আকড়ে ধরে।
তার সবচাইতে বিষাক্ত প্রতিশ্রুতি ছিলো,সারা জীবন আমার পাশে থাকবে বলা।আজ হঠাৎ শূন্য হয়ে বুঝতে পারছি,সে কোনো দিন ও আমায় আমার হতে দিবে না।না দেক,এই কষ্টের ভিতরেই অনেকটা আনন্দ পাওয়া যায়।কষ্ট কষ্ট আনন্দ।হয়তো আমার এই কষ্টটা সারা জীবন থাকবে না।মনের অজান্তেই কোনো একদিন সবকিছু ভুলে যাবো।
হুট করে যখন তোমার স্মৃতি গুলো আমার মনকে নাড়া দিয়ে ওঠে,তখন নিজের প্রতি নিজেরই ঘৃনা হয়।তখন নির্বাক হয়ে ঘৃনাকে ভালোবাসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।এই বিপরীত গতির ভালোবাসা,অনুভূতি একদিন সব ভেঙ্গে নিস্তব্ধতায় ঢেকে যাবে।তখন সবাই নিজেকে আড়াল করতে ব্যস্ত থাকে।এমন কি নিজের অনুভূতি গুলো বেওয়ারিশ লাশের মতো মর্গে পরে পচতে থাকে।
মন খারাপের প্রতিটা রাত মনে হয় তার বিরহের আগুনে পুরতে থাকে প্রতিটি মুহূর্ত।তার প্রতিটা স্মৃতিই যেনো আজ বিষাক্ত,আজ শ্বাস নিতে ও যেনো বড্ড কষ্ট হয়।আজো তার বিরহের প্রতিটা রাত কালজয়ী।চেয়েছিলাম তাকে নিয়ে সন্ধ্যা লগনে সুখতারার মতো কাটাবো।কিন্তু হুট করে যে একদিন সবকিছু কালো মেঘের মতো ঢেকে যাবে,সেটা কখনো বুঝতে পারি নি।
মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে আজো খুব ভালোবাসি তোমায়।কিন্তু বলার কোনো উপায় নেই।জীবন্ত লাশের মিছিলে নিজেকে উৎসর্গ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।একটা সময় যেই মানুষটা ছিলো আমার হৃদস্পন্দন,যেই মানুষটাকে ছাড়া আমার একটা দিন,একটা মুহূর্ত কাটতো না,সেই মানুষটা আজ কোথায় আছে কেমন আছে,সেই গল্পটা আজ অজানা।যখন তোমার কথা মনে হয়,তখন মনের অজান্তেই শুরু হয় মনের বিদ্রোহ। হুট করেই সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়।নিজের অজান্তেই দুচোখ জলে ভরে যায়।জানি না কি করে তোমায় ভুলে যাবো,নাকি সারা জীবন তোমার স্মৃতি নিয়েই ডুকরে ডুকরে দিন কাটাতে হবে।