আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাস- ব্যাপারটা এমন না যে, আপনি ঘরে বসে ভাবছেন ,আপনি অন্যদের চেয়ে সেরা।আত্মবিশ্বাস বরং এটা বোঝতে পারা যে,আপনাকে অন্য কারো সাথে তুলনা করা দরকার নাই ।এমনকি অন্যের সাথে নিজেকে তুলনায় যাওয়া,এটা আত্মবিশ্বাস জাগানোর কোন পদ্ধতিও নয়। এখানে তুলনার জায়গা নেই।মানুষের মধ্যে কোন তুলনা হয় না।আপনি কারো থেকে নিচেও না উপরেও না-এইটা আত্মবিশ্বাস।
যখন আপনি আপনার জীবনে ঠিক এমন এক অবস্থানে আসতে পারবেন।অন্য কারো সাথে তুলনা থাকবে না।
কিন্তু আপনি সেরা- সেটা অন্যের সাথে নয়,বরং নিজের সাথে তুলনায় সবথেকে ভালো অবস্থানে আছেন।এইটায় আত্মবিশ্বাস।
এখন এই মুহূর্তে-আপনি হয়ত সেরা,কারন,সেখানে আপনি একমাএ সব থেকে ভালো। কিন্তু আপনাকে এখন আপনার মানসিকতায় একটা পরিবর্তন অবশ্যই নিতে আসতে হবে।
আত্মবিশ্বাস অনেকভাবে অর্জন করা যেতে পারে। শুরু হতে পারে আপনার বডি ল্যাংগুইয়েজ থেকে, তারা দেখতে দৃঢ নিজেদের প্রতি একটা সুনিশ্চিত ভাব থাকে।তারা সুজা হয়ে মাথা উচু করে দাঁড়ায়।তাদের পিঠ তির্যক খাড়া।তারা চুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে।
যে কেউ আত্মবিশ্বাসি হয়ে উঠতে পারে।তবে কেউকে একটু বেশি কষ্ট করতে হবে অন্যদের চেয়ে- এটাই পার্থক্য।কারন,আত্মবিশ্বাসহীনতায় তারা তাদের জীবনে একটা অস্বচ্ছ দর্বল সীমাবদ্ধতার দেয়ালের মধ্যে আঁটকে ফেলেছে।কিন্তু যে কেউই এই দেয়াল ভেঙ্গে আত্মিবিশ্বাস অর্জন করতে পারে।সুতারাং- যদি ইচ্ছে থাকে,সচেতনভাবেই আপনি স্থায়েভাবে আত্মবিশ্বাস হয়ে উঠতে পারে।আপনি যা চান আপনি সেটাই করতে পারেন।
আত্মবিশ্বাস এটা না-আপনি খুব হইচই করে জমিয়ে তুলতে পারবেন।এমন না যে,আপনাকে সবার আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে হবে।আত্মবিশাস ঠিক তার বিপরীত।যার অর্থ – আপনি কাউকে দেখাও ছাড়াই আপনি জানেনে যে,আপনি সেরা।এটি একটি নীরব জয়,একটি সুন্দর এবং শান্ত বিজয়।
যদি মনে হয় আপনার আত্মবিশ্বাসের অভাব ,তবে আপনি নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন।আপনার যা কিছু সীমাবদ্ধতা থাক না কেন, আপনি তা অর্জন করতে পারেন।আপনার ব্যাক্তিত্বের,এক বিরাট পরিবর্তনসহ জীবনে যা হতে চান,আপনিই তা হতে পারেন।যদি আপনি জীবন নিয়ে প্রশ্নের উওর খুজে পেতে চান,আপনার ভেতর থেকে সেই অসাধারণ মানুষটাকে ভেতর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে আসেন।আপনার আত্মবিশ্বাসের ইতিবাচক শক্তি,আপনার নিজেস্বতাকে খুজে পেতে, আজই খুলে ফেলুন , সেই অপার সম্ভনার মানুষটিকে আঁটকে রাখার দরজাটি।