আধুনিক বিজ্ঞান জগতে ফ্লাশ ফটোলাইসিসের রহস্য ও গুরুত্ব
সুপ্রিয় সাথী,
কেমন আছেন সবাই? ভালো আছেন তো।আজ আমি জগতের অন্য কোনো রহস্য নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। প্রতিদিনের মতো বরাবরই আমি আপনাদের সান্নিধ্যে পাওয়ার জন্য শুরুতে আমেজ তুলতে চাই সবসময়। যাই হোক, কথা বাড়াবো না আর।।আজকে বিজ্ঞানের আধুনিক যুগের একটা রহস্য নিয়ে আলোচনায় উদ্ভাবন করতে যাচ্ছি। এ সম্পর্কে ছোটকালে সকলেই শুনেছেন, নাম হয়তো এখনো মনে নাও থাকতে পারে।
এটি হচ্ছে ফ্লাশ ফটোলাইসিস প্লাটফর্ম।
ইহা একটি সমান্তরাল আয় তাকার আকৃতি কাঁচনল। যার প্রধানত ২ টি অংশ থাকে। একটি তে আলোক সজ্জা নিক্ষেপণের কাজে বড় কাঁচের জার ব্যবহৃত হয়।আরেকটি মধ্যবর্তী উৎপাদ বক্রিয়া অংগ্রহণ কাজে সরু কাচনল ব্যবহৃত হয়।
ইহা আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি অন্যতম প্রধান কৌশল।
বড় জারে একপ্রান্তে থাকে ফ্লাশ ক্যাপসিটর যেখান থেকে নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোক ঝালরের সৃষ্টি হয়। জারের অপরপ্রান্তে থাকে ২ টি উচ্চ ভোল্টেজ ব্যবধানে ইলেক্ট্রোড যেখানে ক্যাপসিটর হতে উৎপন্ন হওয়া আলোক রশ্নি খুব দ্রুতবেগে এখানে ২ ইলেক্ট্রোড দ্বয়ের মাঝে ধাতব পাতের উপর আঘাত করে এবং প্রচুর পরিমাণ ধাতব ইলেক্ট্রন, অনু,পরমানু বা ফ্রি রেডিক্যাল উৎপন্ন হয়। এরা আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়া অংশগ্রহণে নিচে সমান্তরালে সরু জারে প্রবেশ করে। সরু জারের উপর সাবসিডিয়ারী ফ্লাশ বাহ্যিকভাবে নিক্ষিপ্ত করা হয়।সাবসিডিয়ারী হিসেবে টাংস্টেন ফিলামেন্টাস ল্যাম্প ব্যবহার করা হয়।যাতে করে প্রাথমিক ফ্লাশের সমন্বয়ে বর্ণালি সৃষ্টি করতে পারে। ইহা কিছু সময় পর পর নিক্ষিপ্ত করে বিভিন্ন বর্ণালী সৃষ্টি করে।বর্ণালি রশ্নি সমূহ উৎপাদে ফেললে উৎপাদের অনুপ্রভা,রঙ পরিবর্তন ও আকার ও পরিবর্তিত হয়।এ থেকে উৎপাদে বর্নালীমিতিক পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বর্নালীর সিরিজ প্লাটফর্মে বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য আলোক রশ্নি আপতিত করে নিক্ষেপ করার মাধ্যমে প্রাপ্ত উৎপাদের পরিমান,বয়স ও কার্যকারিতা নির্ণয় করা হয়। এভাবে ফ্লাশ ফটোলাইসিস ব্যবহৃত হয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মে।
মাঝে মাঝে উচ্চ ভোল্টেজ এর কারনে একটি বড় জারের সাথে অনেক গুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সরু কাঁচের জার সমন্বিত করা হয় এবং প্রচুর পরিমান আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত করা হয়।
এগুলা আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে লক্ষ করলে পাই। এক্সরে, কেমোথেরাপি, সেলথেরাপী এবং অন্যান্য রেডিয়েশন প্রযুক্তিতে ফ্লাশ ফটোলাইসিস ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়।
আমরা দেখতে পাই, আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অন্গ সমুহের ত্রিমাত্রিক বিন্যাসিত ছবি সমুহ তোলার জন্য ইহা ব্যবহার করা হয় প্রায়ই। সেজন্য আমরা রিপোর্টে ত্রিমাত্রিক কালারিং ছবি ধারণ দেখতে পায় এবং চিকিৎসক রা সহজে এর সমস্যা সমাধান উপলব্ধি করতে পারে।তাছাড়াও টিউমার, ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য সমস্যা গুলোতে এর ব্যাপক প্রচলন বিদ্যমান। এভাবেই আমরা ফ্লাশ ফটোলাইসিসের গুরুত্ব বুঝে জীবনে প্রয়োজনীয় সেক্টর গুলাতে এর ব্যাপক ব্যবহার গড়ে তুলবো।আমাদের দেশে এসব প্রযুক্তি সমুহ উৎপাদনে সামর্থ্য এবং সাহস। দেশে প্রচুর রোগী থাকার সত্বেও এসকল যন্ত্র সামগ্রী সমুহ বাহির হতে আনতে হয়।
তাই ভবিষ্যতে নিজেদের স্বার্থে এগুলা উৎপাদন ক্ষমতা দেশেই তৈরি করতে হবে। বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে স্বনির্ভরতা গড়ে তোলে দেশের অর্থনৈতিক এবং ব্যাক্তিগত জীবনযাপনের মান অক্ষুণ্ণ রাখার প্রচেস্টা করতে হবে।