আসসালামু আলাইকুম।
আজকে আমরা, আপদ বিপদের গল্পের, আরো কিছু শিখব। আজকে আমরা শিখব নিরাপদে পথ চলা। জানবো কিভাবে চলা যায়, সাবধান থাকা যায়।
নিরাপদে পথ চলা।
স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে। মালা আর বাবু ছুটিতে নানা বাড়ি যাবে। ছোটমামা এসেছেন ওদের নিয়ে যেতে। মা বললেন, সাবধানে যাস। আজকাল সড়ক দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে।
এই প্রসঙ্গে মামা বললেন, রাস্তায় চলাচলের সময় কিছু নিয়ম মানতে হয়। যানবাহনে চলাচলের সময় কিছু নিয়ম মানতে হয়। নিয়মকানুন না মানলে বিপদ ঘটতে পারে। তোমরা রাস্তা পার হওয়ার সময় সব সময় বড়দের সাহায্য নেবে। হাঁটার সময় রাস্তার ডান পাশ দিয়ে হাটবে। বাবু জিজ্ঞেস করল, মামা আমরা রাস্তা পার হবো কিভাবে। মামা বললেন, রাস্তা পার হওয়ার নিয়ম হল-প্রথমে ডানে দেখবে। তারপর বামে। পরে আবার ডানে দেখবে। এরপর কাছাকাছি কোন যানবাহন থাকলে রাস্তায় পার হবে। হাঁটতে হাঁটতে ওরা বাসস্ট্যান্ডে কাছে চলে এলো। বাবু বাসে উঠার জন্য হঠাৎ দৌড় দিল। মামা বাবুকে ধরে ফেললেন। তারপর তারা বাসের সিটে গিয়ে বসলো। বাস চলতে শুরু করল। এক সময় ওরা নানাবাড়ির গ্রাম কদমতলীতে এসে পৌছালো। মামা, বাবু আর মালা বাস থেকে নামতে শুরু করলো। মামার হাত থেকে বাবুরহাট ছুটে গেল। বাবু দুধ দিয়ে রাস্তা পার হতে গেল। হঠাৎ একটা গাড়ি বাবু সামনে এসে কড়া ব্রেক কষে থেমে পড়ল। মালা প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেল। মুহূর্তে চারপাশ থেকে অনেক লোকজন ছুটে এলো। তবে বড় একটা দুর্ঘটনা হাত থেকে বেঁচে গেল বাবু। মামা বললেন, গাড়ি ভালোভাবে থামার পর গাড়ি থেকে নামতে বা উঠতে হয়। তোমরা গাড়ি চলার সময় কখনো গাড়ি থেকে উঠানামা করবে না। এছাড়া গাড়ি থেকে নামার পর একটু অপেক্ষা করবে। গাড়ি চলে গেলে তারপর রাস্তা পার হবে। বাবু ফুল্ল আর এমন ভুল করবোনা মামা। এখন থেকে রাস্তা পার হওয়ার সময় অবশ্যই নিয়মকানুন মেনে রাস্তাপার হবো।
আসসালামালাইকুম। আজকের গল্প থেকে আমরা এই শিক্ষা পেলাম। চলাচলের সময় সাবধানে চলাচল করতে হবে। সব দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আজকের গল্পটি এ পর্যন্তই। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।