হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? আশা করি শীতের এই তিক্ত সময়েও আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই করি সব সময়। আজ আমি স্বাস্থ্য বিষয়ক নতুন একটি টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণের এ পোষ্টটি পড়ে কিছুটা হলেও নিজেদের উপকার আসবে।
আজকের পোষ্টটি হৃদপিন্ডজনিত বুকে ব্যাথা– অ্যানজাইনা সম্বন্ধে।
বুকে ব্যাথা হয়নি এমন লোক খুব কমই আছে। কিন্তু ঠিক কি কারণে আপনার বুকে ব্যাথা হচ্ছে এবং তা এড়িয়ে গেলে কি প্রতিফল হতে পারে সেটা জানা সকলের একান্ত প্রয়োজন।
নানা কারণে বুকে ব্যাথা হতে পারে। কিন্তু বুকে ব্যাথা হলেও সবচেয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে তা হলো— আপনার বুকে ব্যাথা কি হৃৎপিন্ডজনিত। যদি হয় তাহলে তার ফল মারাত্মক হতে পারে।
সাধারণত হৃৎপিন্ড যখন তার পর্যাপ্ত অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ পায় না, তখন বুক নিষ্পষিত বা দম বন্ধ হয়ে আসছে এমন মারাত্মক অস্বস্তি অনুভূত হলে সে ধরণের বুক ব্যাথাকে অ্যানজাইনা বলে। আর আপনি হয়তো জানেন না চিকিৎসা বিজ্ঞানে অ্যানজাইনাকে হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাবস্তা মনে করা হয়।
তবে আপনার অ্যানজাইনা কিনা তা বুঝবেন কিভাবে। নিচে আমি অ্যানজাইনার কয়েকটি প্রাথমিক লক্ষণ দিচ্ছি—
অ্যানজাইনার প্রাথমিক লক্ষণঃ
১. সাধারণত উরঃফলক বা স্টার্ণামের পেছনে ব্যাথা হয়।
২. ব্যায়াম কিংবা শারীরিক কাজে ব্যাথা হতে পারে।
৩. মানসিক চাপ, অতি ভোজন অথবা কোনো আতঙ্কে বুকে ব্যাথা হতে পারে এবং ব্যাথা ৫–১০ মিনিট অবধি স্থায়ী হয়।
৪. অ্যানজাইনা বুক থেকে গলা, কাঁধ, চোয়াল, বাহু, পিঠ এমনকি দাঁতেও ছড়াতে পারে।
৫. বুকে বেশ জ্বালাপড়া ও আড়ষ্ট ভাব সৃষ্টি হয়ে অস্বস্তির প্রকাশ ঘটায়।
৬. তবে অনেক সময় ব্যাথা কোত্থেকে আসছে তাও বোঝা মুশকিল হয়।
৭. সারাদিন দুর্বল ও পরিশ্রান্ত মনে হয় এবং তখন সহজ কাজও কঠিন মনে হয়।
৮. বুকে ব্যাথা ছাড়াও হজমে গোন্ডগোল ও বমি বমি ভাব মনে হতে পারে।
তাছাড়া অনেক রোগী অ্যানজাইনা টের পায় না। তবে কাঁধ ও দুই বাহু অনেক ভারী হয়ে আসে। বুকে ব্যাথার সাথে সাথে ঘাম হয়, মাথা ঝিমঝিম করে বা শরীর ফ্যাকাসে দেখায়।
উল্লিখিত লক্ষণসমূহের যদি দুটি কি তিনটি আপনার মধ্যে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার অ্যানজাইনা হয়েছে এবং আপনার উচিত নিকটস্ত চিকিৎসাকেন্দ্রে যত দ্রুত সম্ভব যোগাযোগ করা ও চিকিৎসা নেওয়া।
আজকে এ পর্যন্তই।
ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করুন। সামনে নতুন এক টপিক নিয়ে যেন আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসতে পারি তার জন্য দোয়া রাখবেন।
সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।