আজ একটি অন্যরকম টপিক নিয়ে কথা বলব আজ আমি যে টপিকটি নিয়ে কথা বলবো তা আবহাওয়া সম্পর্কিত আর শিরোনাম দেখেই আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে,কী নিয়ে আজ আমি কথা বলতে চাচ্ছি।আজকের আর্টিকেলটি তাই অনেকেরই জানা প্রয়োজন।তো চলুন শুরু করা যাক।
আমরা অনেকেই টিভিতে আবহাওয়ার বিপদ সংকেত দেখতে পাই যেমন ১ নম্বর, ২ নম্বর,৩ নম্বর ইত্যাদি।কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে এতটা জানি না যে কী এই আবহাওয়া বিপদ সংকেত ।অনেকেই হয়তো বিষয়টি জানতে আগ্রহী।গত কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ভয়াবহতার কথা আমরা সবাই জানি।আর ওইসময়টাতে টিভি খুললেই দেখা যেত যে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত, ৯ নম্বর বিপদ সংকেত।আসলে কী এই ৯ নম্বর বিপদ সংকেত?সেটাই জানবেন ক্রমে ক্রমে,তো ১ নম্বর বিপদ সংকেত থেকে শুরু করা যাকঃ
১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত :- এর অর্থ বঙ্গোপসাগরের কোন একটা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং সেখানে ঝড় সৃষ্টি হতে পারে৷অর্থাৎ এটি ভয়াবহ বিপদ সংকেতের প্রকাশক নয়।সাধারণ ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে এটি ভবিষ্যৎদ্বানী দেয় এক্ষেত্রে একটি লাল পতাকা চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত :- এই সংকেত দ্বারা বোঝায় যে সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে৷ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলেই বার্তা হিসেবে এউ সংকেত দেয়া হয়।
৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত :- এটি দ্বারা বোঝায় যে দমকা হাওয়া সম্মুখীন ৷অর্থাৎ দমকা হাওয়া বন্দর বা সৈকতের দিকে ধেয়ে আসছে এক্ষেত্রে সংকেত হিসেবে দুইটি লাল পতাকা ব্যবহৃত হয়।
৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত :- এটি দ্বারা বন্দর ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে বোঝায়, তবে এটি ততটা বিপদজনক হয় অর্থাৎ এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে,আর সবাইকে ঘরবাড়ি ফেলে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে।
৫ নম্বর বিপদ সংকেত :- এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঝড়টি বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে(চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে)। অন্য বন্দরের বেলায় অন্য দিক থেকেও আসতে পারে।
৬ নম্বর বিপদ সংকেত :- এটি দ্বারা অল্প বা মাঝারী ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে তা বোঝায়৷ ঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে পারে এমন বোঝায়।
৭নম্বর বিপদ সংকেত :- এটি দ্বারা অল্প অথবা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড় হবে এবং এজন্য আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে, তা নির্দেশ করে৷ ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷ সংকেত হিসেবে তিনটি লাল পতাকা ব্যবহৃত হয়।আর বাতাসের গতিবেগ হবে ৬২-৮৮ K.M per hour.
৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত :- যখন প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হবে এবং বন্দরের আবহাওয়া খুবই দুর্যোগপূর্ণ থাকবে,তখনই এই সংকেত ব্যবহৃত হয়৷
৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত :- এটি দ্বারা বোঝায় যে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ থাকবে৷ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করবে।এইক্ষেত্রে ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা এর বেশি হতে পারে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত :- এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া ভয়ানকভাবে দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঘূর্ণিঝড়টির বন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷
১১ নম্বর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংকেত :- ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সাথে সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে এই সংকেত ব্যবহৃত হয়। আবহাওয়া সর্বোচ্চ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেলে এই সংকেত দেওয়া যায়।এক্ষেত্রে আবহওয়া খুবই, খুবই খারাপ থাকবে।
আশা করি বিপদ সংকেত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।কোথাও ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,ধন্যবাদ।