আমলকী আমাদের অতি পরিচিত একটা ফল। কিন্তু এই আমলকীতেই আছে এমন সব উপাদান যা দিয়ে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সহ আমারা আমাদের তক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজে ও ব্যাবহার করতে পারি।
আর বর্তমানে দাঁড়িয়ে প্রায় সবাই চায় নিজের সৌন্দর্যকে দীর্ঘদিন ধরে রাখতে। কিন্তু আমাদের ব্যাস্ত জীবন, পরিবেশ দূষিত হওয়া, আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন সহ বিভিন্ন কারনে অনেক সময় আমাদের সৌন্দর্য সময়ের আগেই অনেকটাই হারিয়ে যায়। এছাড়াও সৌন্দর্যের সবথেকে বড় অংশ চুলকে নিয়ে ও আমারা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগি।
কিন্তু আমাদের এই পরিচিত ফল আমলকীর নিয়মিত ব্যাবহারের মাধ্যমে আমারা সহজেই আমাদের এসব সমস্যার থেকে অনেক অংশই মুক্তি পাওয়া সম্ভাব হয়। আমলকী প্রকৃতির দেওয়া এমন একটা উপাদান যা মধ্যে রয়েছে এমন সব প্রকৃতিক গুনাবলি যা আমাদের শরীর, তক,চুল ইত্যাদি ভালো রাখতে সাহায্যে করে। তাই আজ আমরা আমলকীর কিছু সহজ এবং ঘরয়া ব্যাবহার নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
১) আমলকী তে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি। মানুষের শরীরে যা প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
ভিটামিন-সি মানুষের শরীরের তক, দাত, ইত্যাদি কোষ পরস্পরের সাথে জোড়া লাগিয়ে মজবুত গাথুনি তৈরি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তককে মসৃণ করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন মাত্র ২টা আমালকী একটি প্রাপ্ত বয়সষ্ক মানুষের ভিটামিন-সি এর অভাব পূরন করতে পারে।
২)বলিরেখাঃ প্রতিদিন নিয়মিত কিছু টা আমলকীর রস খাওয়ার মাধ্যমে তক থেকে অনেক অংশে বলিরেখা দূর করা যায়।
৩)প্রকৃতিক ভাবে তকের উজ্জ্বলতাঃ বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারনে আমাদের তক নিজের প্রকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে।
তকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে আমলকী অনেক কার্যকর। এর জন্য কিছুটা আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিসিয়ে তকে লাগাতে হবে আধ ঘন্টা রেখে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলেই
হবে।
৪)ব্রণের সমস্যাঃ ব্রণ মেয়েদের চীরকালই অনেক সমস্যার মধ্যে অন্য একটা। ব্রণ নিয়ে মেয়েদের সমস্যা হয় নানা রকম।কিন্তু ব্রণ শুধু মেয়েদেরি না ছেলেদের একটা সমস্যা। কিন্তু এই ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে আমলকী অনেক কার্যকর। এর জন্য ব্রণের জায়গায় আমলকীর রস ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হব। কিছু ক্ষনের মধ্যেই ব্রণ ঠিক হয়ে যাবে।
৫)তক পরিষ্কার রাখেঃ আমলকীতে থাকা ভিটামিন-সি তক সুস্থ রাখতে সাহায্যে করে। তকের লাল ভাব দূর করে। তককে আমলকী গভীর থেকে পরিষ্কার করে।
৬)চুল পড়া প্রতিরোধেঃ
চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটা অংশ। কিন্তু বিভিন্ন কারন চুল ঝরে যায়। কিন্তু এই আমলকী দিয়ে আমার আমাদের চুল পড়া সহজে প্রতিরোধ করতে পারি। এর জন্য আমলকীর রস এবং মেথি এক সাথে মিসিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখতে হবে। ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ২/১ দিন করলে উপকার পাওয়ার যাবে।
৭)চুল পাকা ভাব কমবেঃ
চুল পাকা সাধারণত বয়সের ব্যাপার কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বয়সের আগেই অনেকেরই চুল পাকা শুরু হয়ে যায়। এর জন্য নিয়মিত আমলকীর রস দিয়ে চুল ভালো ধুলে চুলের পাকা ভাব অনেকটাই কমে।
৮)চুলের আগা ফাটা কমেঃ চুলের আগা ফাটা সবারই একটা সমস্যা। এর জন্য অনেক সমস্যাই পড়তে হয়। এর জন্য চুলের বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত হয়। আমলকীতে থাকা ভিটামিন-সি চুলের আগা ফাটা রোধ করে।
এর জন্য নিয়মিত চুলের গোড়ায় আমলকীর রস, মধু, টক দই এক সাথে মিসিয়ে লাগাতে হবে ১ ঘন্টা রেখেই ধুয়ে ফেলতে হবে।
৯)খুশকি প্রতিরোধ করেঃ আমলকী খুসকী প্রতিরোধ করতে অনেক কার্যকরী। এর জন্য আমলকীর রসের সাথে মেথির পেষ্ট ভালো করে মিসিয়ে লাগাতে হবে। ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে করলে খুশকি প্রতিরোধ করা সম্ভাব।
১০)চুল দেখতে মসৃণ হয়ঃ
চুলের রুক্ষতা একটি অনেক বড় সমস্যা। এর জন্য অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে। চুলের রুক্ষতা দূর করতে হলে আমলকী খুব কার্যকর উপাদান। এর জন্য আমালকীর রসের সাথে ঘৃতকুমারীর রস মিসিয়ে লাগাতে হবে। এছাড়া আমলকীর রস মাথার তককে খুব ভালো ভাবে পরিষ্কার করে। মাথায় পুষ্টি জোগায়। চুল কে করে তোলে ঝলমলে, কোমল এবং সুন্দর।
এই ছিল আজ আমলকী কিয়ে আমার কিছু কথা। আশা করি সবারই এগুলো ভালো লাগবে।